somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসংগ সমকামীতা: আমার হল জীবনের একটি কাহিনী (কঠোরভাবে ১৮+ :|)

২২ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সামুতে কয়েকদিন ধরে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ছবি "ঘেটুপুত্র কমলা"র ব্যপারে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ক কোন পোস্টেই আমি নিজে মন্তব্য করি নাই কিন্তু সবার মন্তব্যই মন দিয়ে পড়লাম। বিষয়টা খুবই কৌতুহল উদ্দীপক! ওই ছবির সাথে সম্পর্ক নাই আমার আজকের কাহিনীর। তবে সিনেমাটি হওয়ার ব্যপারে আমার কোন সমস্যা নাই। কোন জিনিস লুকানো মানে সেটার প্রতি আরও আকর্ষন করে দেয়া। আর যারা মনে করেন এই ছবি দেখে মানুষ এই কাজে উৎসাহিত হবে তাদেরকে আমার কিছুই বলার নাই। শিল্পকলা সম্পর্কে ধারনায় তাদের কিন্চিৎ শর্টেজ আছে! হুমায়ূন সাহেব এই ছবির সেন্সর পাবে কিনা এই ব্যপারে অবশ্য আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। তবে কিনা হুমায়ূন বলে কথা!

যদিও ১৮+ ঝুলাইয়া দিলাম, তারপরও আমার মনে হয় যারা মাত্র কৈশোরে প্রবেশ করলেন তাদের এই কাহিনীটা পড়া দরকার বেশি।

ঘটনাটা আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম বর্ষের। যদিও প্রথম বর্ষ কিন্তু সেশন জটের কারনে আসলে তখন ২য় বর্ষের বয়সী একজন হয়ে গেছি। আমার বাসা হলের কাছেই, তারপরও আমি হলেই থাকতাম। এটাই আমার বাসার বাইরে প্রথম নিজের মত করে থাকা। হলে যাওয়ার পর প্রথম যে জিনিসটা খারাপ লাগল সেটা হল কোন মেয়ে নাই! :-/;):((পুরা হলে এতগুলা ছেলের মধ্যে বেশিক্ষন থাকাটা একটু কষ্টকর। হলের ভিতরে এই জন্য বেশিক্ষন থাকতামও না। আবার একই রুমে ৪ টা ছেলের সাথে আছি ভাবতেও মেজাজ খারাপ হইত। যাই হোক প্রকৃতির নিয়ম না যায় খন্ডন, কি আর করা! /:):((মেয়েদের সাথে যে থাকতে ইচ্ছা করে এটাও ত প্রকৃতিরই নিয়ম!:P

আমাদের পাশের রুমেই থাকত নাহিদ (ছদ্মনাম) নামের এক ছেলে। আমাদের ক্লাসেই পড়ত। দেখতাম খুব চুপচাপ ধরনের ছেলে। কারও কাছে খুব একটা পাত্তা পাচ্ছে না। আমি আবার সবাইকেই তখন পাত্তা দিতাম এবং খুব নিরীহ টাইপ ছিলাম। তাই অন্য সবার মত সেই ছেলের সাথেও পরিচয় গড়ে উঠল। কথায় কথায় আমার রুমেই একদিন এসে জিজ্ঞেস করল, বলত আমি তোমাদের রুমে আসি কি মতলবে? :|আমি বুঝলাম না কি জবাব দিব?:| অন্য সবাই রুমে বসে আড্ডা দিচ্ছে তাই বললাম, এই যে আমরা গল্প গুজব করতেছি, এই জন্য! দু'একবার ওর রুমেও গেলাম। দেখি রুমের মধ্য "কামসূত্র" বইটা সুন্দর করে সাজানো। হলের পোলাপান একটু পুংটা হয়, সবার বেডের নিচেই একটা করে চটি বই থাকে! ;)সুতরাং এটাতে সন্দেহ করার মত কিছুই ছিল না। এই বই দেখে আমার মাথায় আসার কথা না যে সে একজন সেক্স এডিক্ট! তার চেয়ে বড় কথা সেক্স এডিকশন বা হোমোসেক্সুয়ালিটি বিষয়গুলা সম্পর্কে আমার কোন পরিস্কার ধারনাও ছিল না। :|

যাই হোক একদিন বাসায় ফেরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি, বৃহ:স্পতিবার। হঠাৎ আমাদের ক্লাসেরই একটা ছেলে (কামাল, ছদ্মনাম) উত্তেজিত ভাবে রুমে ঢুকল। এই ছেলেটা নাহিদের সাথে কিছুদিন একই রুমেই ছিল। ওর সাথে আমারই রুমমেট এক ছেলে, সে আবার বিশিষ্ট চুশীল (X((), প্রায়ই তার সাথে আমার ঝগড়া লাগত। ওই দুজনের কথা থেকে যেটা বুঝলাম নাহিদ একজন গে! :|

প্রথমে ভাবলাম গুল মারতেছে। পরে কামাল খুব সিরিয়াসলি বলল, এই ছেলেকে তারা অনেকদিন থেকেই ফলো করতেছে। প্রায়ই তার প্রেমিক তাকে চিঠি লিখত। তারা বিষয়টা বুঝতে পেরেই রুম ছেড়ে দিছে। তার কথিত প্রেমিক এখন তার (নাহিদ) রুমেই গেস্ট হিসেবে আছে! গতরাতেই তারা ছাদ থেকে ওই রুমের জানালা দিয়ে বিশেষ একটি কর্ম সম্পাদন করতে দেখেছে! (রুচি শীল ব্লগারদের জন্য খুইলা কইলাম না! :P) সকালেও তাদের দরজা বন্ধ ছিল। এখনও তাই! ত আমাদের সমাজ সংস্কারক কামাল ভাই হোমোদের ঘিন্না করেন এবং নাহিদকে হল থেকে বের করে দিতে চান। তাই আশপাশের রুমের সবাইকে সাক্ষী রেখে তিনি বড় ভাইদের বিষয়টা জানাতে চান। ত আমাদের চুশীল সাহেবের এই ব্যপারে ভাষ্য হচ্ছে নাহিদকে সুন্দরভাবে রুমে ডেকে বোঝাইলেই ভাল। বড় ভাইদের এর মধ্যে জড়ানোর ব্যপারে তিনি ইচ্ছুক না। (কেমন জানি সন্দেহ হইল, তিনিও কি একজন প্রেমিক?!:P) কামাল সাব তখন যুক্তি দিলেন বড় ভাইদের না জানাইলে এটা রাজনৈতিক ইস্যু হইবে, কামাল সাব নিজেই তখন প‌্যদানি খাইবেন।

আমি তখনও কিছুই বুঝতেছি না। খালি দাত কেলাইয়া হাসতাছি! তখনই আমি প্রস্তাব করলাম, হে বন্ধুগন, আমি আগে দেখিয়া আসি ঘটনা সত্যি কিনা! পা টিপিয়া টিপিয়া নি:শ্বাস বন্ধ করিয়া করিডোর দিয়া হাটিয়া আমি নাহিদের রুমের জানালার কাছে গেলাম। করিডোরের সাথে জানালা গুলোতে কাগজ সাটা থাকে। একটা কাগজ একটু ছিড়ে নাহিদের রুমের ভিতরের সব কিছুই দেখা যাচ্ছিল!

ভাই এবং বোনেরা বিশ্বাস করবেন না, আমি যা দেখলাম, হাত পা ঠান্ডা হইলা গেল। ভর দুপুরে একজন লুঙ্গি পরা খালি গা, আরেকজন একজন শুধু একটা শর্টস পরা....একজন আরেকজনের উপর শুয়ে আছে। কি প্রেম! B-);):|কোন মতে আমি জানালার পাশ থেকে সরে এসে আমার রুমের খাটে বসলাম। হাত পা তখনও কাপতাছে! কিছুক্ষন পরেই বড় ভাইদের ডাকা হইল এবং তাদের বড় ভাইদের রুমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়া যাওয়া হইল। কোন মাইর ধইর হইল না। আর আমি রিডার ওয়ান কি রিড করিলাম এইটা চিন্তা করিতে করিতে বাসার পথে রওয়ানা হইলাম! (হলের অনেক চুশীল আমার এই উকি ঝুকিকে তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করেছিল। এটা ঠিক যে আমার ওই ভাবে রুমে তাকানো উচিৎ হয় নাই। কিন্তু কি করব, আমি ত চুশীল না! X(আর সমাজ সংস্কারক না দেখিয়া আমি তাকে প‌্যদানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করি নাই।)

নাহিদকে হল থেকে বহিষ্কার করা হল। পাঠানো হল অন্য হলে তাও আবার আমাদেরই ক্লাসের এক হুজুরের রুমে! হুজুর আবার হাফেজ। তার হেদায়েত হইছিল কিনা জানিনা। (খেক খেক খেক..:P) কিন্তু সে লেভেল ড্রপ দিয়া সাফল্যের সাথে অন্য ব্যচের সাথে ডিগ্রী কমপ্লিট করিয়াছিল!

এইবার বলি আমি বাসায় এসে কি করলাম। মাথা কেন জানি ধরে ছিল, রাতে খেতেও পারলাম না। পরেরদিন সকালে উঠেই নেট নিয়ে বসলাম। বেশ কয়েকটা আর্টিকেল পড়ে একটা ধারনা পেলাম। রিডারের কাজ রিড করা। সুতরাং যা পেয়েছি তাই বলছি....প্রয়োজনে আপনারাও নেটে খুজে পড়ে নিতে পারেন...লিংক দিতে পারব না।

হোমোসেক্সুয়ালিটি কোন প্রাকৃতিক ঘটনা না। এটা হচ্ছে একধরনের মনো বা রুচির বিকৃতি। দীর্ঘদিন নারীদের থেকে দূরে থাকলে বা দূরে থাকতে বাধ্য হলে বা নারীদের আকর্ষনে ব্যর্থ হলে এই ধরনের চিন্তা আসতে পারে। অনেকে আবার সেক্স এডিক্ট হওয়ার কারনে স্বাভাবিক সম্পর্কে আগ্রহ কম পায় বা স্বাভাবিক সম্পর্কের ব্যপারে আগ্রহ মিটে গেলে অন্যভাবে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করে। অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি এই এডিকশনের একটা কারন। এক বিজ্ঞানী একবার প্রমান করার চেষ্টা করেছিলেন, হোমোদের ব্যপারটাও প্রাকৃতিক, অনেকটা হিজড়াদের মত। কিন্তু সেটা ধোপে টেকেনি! মানে প্রমান করা যায় নি। নারীদের হোমোসেক্সুয়ালিটি (লেসবিয়ান) একটু ভিন্ন জিনিস! এইটা নিয়ে আর কথা বলতে চাচ্ছি না! তবে উভয়েই থেরাপি নেওয়ার মাধ্যমে সুস্থ স্বাভাবিক সেক্স লাইফে ফিরে আসতে পারে।

হোমোসেক্সুয়ালিটির প্রধান সমস্য হল, সেক্সুয়াল লাইফের যে প্রধান একটা উদ্দেশ্য, বংশবৃদ্ধি, সেটাই বাধাগ্রস্ত হয়। তার মানে বংশগতি এটাতে বিঘ্নিত হবে! কোরআনে এই রকম একটা জাতির কথা নাকি বলা আছে যারা নিশ্চিহ্ন হয়েছিল। বংশবৃদ্ধি না করতে পারলে নিশ্চিহ্ন না হয়ে উপায় আছে? বংশবৃদ্ধির সম্ভাবনা ছাড়া সেক্সুয়াল লাইফ অর্থহীন।

এই প্রসংগে আরও একটা ব্যপার বলার আছে, সেক্স আর জেন্ডার কিন্তু ভিন্ন জিনিস। সেক্স হল প্রাকৃতিকভাবে যেটা পাওয়া যায় আর জেন্ডার হল যেটা মনোবিকাশের সাথে সাথে হয়। দুইটা মিলেই আমরা কাউকে ছেলে বা কাউকে মেয়ে বলি। কোন ছেলে বা মেয়েই শতভাগ ছেলে বা মেয়ে নয়। ছেলেদের মধ্যে কিছুটা মেয়েলি ভাব এবং মেয়েদের মধ্যে কিছুটা ছেলেমি থাকাটা স্বাভাবিক। যদিও আমরা হাফ লেডিস বা টম বয় বলি। এটা ঠিক না। সবাইকেই তার ইমোশন প্রকাশ করতে দেয়া উচিৎ।

নাহিদের সাথে আমার পরেও দেখা হয়েছে। দেখা হলে আমরা হ্যন্ডশেকও করি। তার প্রতি আমার সমস্ত সহানুভূতি আছে। সে ঐ পথ থেকে ফিরে আসতে পেরেছিল কিনা জানি না। তবে আমি সবসময় আশা করি আমরা যদি সমাজে সুস্থ বিনোদন আর নারী-পুরুষের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখি তাহলে এইসব অনাকাঙ্খিত বিষয় এড়ানো সম্ভব। আর ছোট ভাই-বোনরা যারা আছেন, মনে রাখবেন এটা কোন ভাল কাজ না। যদি আপনারও এমন মনে হয় তাহলে দ্রুত একজন মনোচিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। তা না করলে এখন ত শুধু ছেলে মেয়েকে আলাদা হলে রাখা হয়, ভবিষ্যতে কি করতে হবে বুঝতে পারছি না।:|:D



৪৮টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×