৩৪ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার পড়া শুরু করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। কারণ, সব কেটেকুটে আমার Total marks আসে ৭৪.৫। যেহেতু ৬২- ৬৬ পর্যন্ত নম্বরে প্রিলিতে পাশ করে একজন পরীক্ষার্থী (বিগত সালে সাধারণত এরকমই হয়ে আসছিলো), তাই আমার প্রিলি নিয়ে টেনশন ছিলনা। কিন্তু গতকাল বিকেলে ফল প্রকাশের পর মাথায় বাজ পড়ল যখন দেখলাম মাত্র ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। দু:খ- কষ্টে পুরাই স্পীকার হয়ে গেলাম। পরে জানতে পারলাম, এবছর ৩২ স্পেশাল বিসিএস এর মত ৩৪ এ কোটাধারীরা অগ্রাধিকার প্রাপ্ত হয়েছে।
*বর্তমান ব্যবস্থায় বিসিএসে (১০০%)
১. মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনি কোটায় ৩০ শতাংশ
২. মহিলা কোটায় ১০ শতাংশ,
৩. উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ এবং
৪. জেলা কোটায় ১০ শতাংশ
৫. প্রতিবন্ধী কোটায় ১ শতাংশ রয়েছে।
এবং এটি ৫৫ শতাংশ কোটা থেকে প্রাধিকার ভিত্তিতে বন্টন করা হয়।
৩৪তম বিসিএসের ফল প্রকাশ : কোটাধারীরা এগিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে ফল কারচুপির অভিযোগ
'' ৩৩তম বিসিএস- এক লাখ ৯৩ হাজার । উত্তীর্ণ- ২৮ হাজার ৯১৭।
৩১তম বিসিএস- এক লাখ ১১ হাজার ৪৬৫। উত্তীর্ণ- ১০ হাজার ২১২ জন।
এভাবে বিগত বছরের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ বছরই সবচেয়ে কম সংখ্যক প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করা হয়েছে।
বিশেষ গোষ্ঠীকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কারণে এযাবত্কাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে সবচেয়ে কম সংখ্যককে পাস করানো হয়েছে। পাশাপাশি অধিক নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন তারা। এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আজ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে পরীক্ষার্থীরা।
১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫ নম্বর পেলেও সাধারণ প্রার্থীদের পাস করানো হয়নি। কিন্তু কোটাধারীদের ৫৪ থেকে ৬০ নম্বরের মধ্যেই পাস করানো হয়েছে। রাজধানীর গণগ্রন্থগারে গ্রুপে লেখাপড়া করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়া ৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু দু’জন উত্তীর্ণ হন। তাদের দু’জনেরই মুক্তিযোদ্ধা কোটা রয়েছে বলে জানান ওই গ্রুপের অন্য সদস্যরা।
*এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চেয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান আহমেদুল হক চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি কথা বলতে অসম্মতি জানান। তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন রেখে দেন। ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষার আহ্বয়ক মুহাম্মদ লিয়াকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এছাড়া নূ্যূনতম কত নম্বর পাস করানো হয়েছে জানতে চাইলে এটি একান্ত পিএসসির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে কথা বলতে বিব্রতবোধ করেন।......''
এ বিষয়ের কারণ বিশ্লেষণ করার মন-মানসিকতা নাই এখন। তবে, সরকার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসির প্রতি অনুরোধ দয়া করে কোটার সংখ্যা কমান (বিশেষ করে নাতি কোটা)। সাধারণ আমরা যারা আছি, বেকার হয়ে বসে থাকবো কতদিন। আমাদেরও তো পরিবার-পরিজন আছে!! সরকারি চাকরির আবেদনে বয়সীমা আমাদের ৩০ আর মুক্তিযোদ্ধা ৩২। সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু নাতি কোটামুক্ত সরকারি চাকরির সার্কুলার নাই। উল্লেখ, সম্প্রতি সরকারি ব্যাংক গুলোতেও সম্পূর্ণ (১০০%) মুক্তি কোটা সংরক্ষণ করা হচ্ছে!!
আর সম্ভব না হলে সাধারণদের জন্য একটি স্পেশাল বিসিএস এর আয়োজন করুণ
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



