.নুরুল ইসলাম ফারুকী ছিলেন বেরেলভী আকিদার আলেম এই বেরেলভী আকিদার আরেকজন আলেম হলোঃ তাহের উল কাদরী(Tahir Ul Qadri), এই আলেম খ্রিষ্টান দের বড়দিন এ খ্রিষ্টানদের সাথে বড়দিন পালন করেছে। ইউটিউব এ ভিডিও আছে। গানে নেচেছে,যারা করাচীতে থাকে তাদের জন্য সুদ দেওয়াকে হালাল বলেছে।
বেরেলভী আকিদার কিছু পণ্ডিতদের নাম,যাদেরকে বর্তমান বেরেলভীরা পীড় মানেঃ
১.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী, যে এই বেরেলভী আকিদার প্রবর্তক...।।
২.আহমাদ ইয়ার খান নইমী, যে আহমাদ রেযা খান বেরেলভী এর ছাত্র...।।
৩.মুসা, যে আহমাদ রেযা খান বেরেলভী এর পীড় ছিল...।।
৪.খাযা গোলাম ফরিদ, যাকে বেরেলভীরা বড় আলেম মানে...।।
৫.বাবা বুলান্দ শাহ্, যাকে বেরেলভীরা বড় বাবা মানে...।।
৬.মানছুড় হাল্লাজ, যাকে বেরেলভীরা অনেক বড় আল্লাহর অলী মানে...।।
৭.ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি, যাকে বেরেলভীরা বড় আলেম মানে...।।
৮.ইবনে আরবি, যাকে বেরেলভীরা বড় আলেম মানে...।।
৯.হামযা খোরাসানী, যাকে বেরেলভীরা অনেক বড় আল্লাহর অলী মানে...।।
আসুন এদের আকিদা সম্পর্কে কিছু জানা যাক,
১. আহমাদ রেযা খান বেরেলভী বলেছেঃ মুসা(আহমাদ রেযা খান বেরেলভী এর পীড়) যে সর্বদা মেয়েদের কাপড় পড়তো ও মেয়েদের মত সেজে থাকতো। একবার তাকে বৃষ্টি এর জন্য দোয়া করতে বলা হয়,তখন সে একটি পাথর নিলো এবং তার হাতের চুড়ির সাথে লাগাল এবং উপরের দিকে তাকিয়ে বলল আল্লাহ্ কে-‘হয় বৃষ্টি দে না হয় তোর বউ কে ফিরিয়ে নে’
আরেকবার একজন বলল এই মুসা কে- ‘হুজুর এবার ছেলেদের কাপড় পড়ে নিন, এবং মসজিদ এ চলেন নামাজ পড়তে’যখন মসজিদ এ গেল ইমাম ‘আল্লাহু আকবর’ বলল, তখন এই পীড়(মুসা) বলল-‘সে আমার স্বামী যার কখন মরন আসবে না’ (আহমাদ রেযা খান বেরেল্ভী -মালফুযাত;১৫২) মানে এই মুসা নিজেকে আল্লাহর স্ত্রী বলতো।(নাউযুবিল্লাহ)
২.ইবনে আরবি বলেছেঃ “যে মাখলুক ও আল্লাহ্ কে দু’রকম বলে বা আলাদা বলে, মানে পার্থক্য আছে বলে সে মুশরীক,আর যে মাখলুক অ আল্লাহ্ কে এক বলে,বলে যে কোনও পার্থক্য নেই,সে ভাল মানুষ”(ইবনে আরবি -ফাসুসুল হিকাম;৯৯)
৩.ইবনে আরবি বলেছেঃ “এই দুনিয়ায়ে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন অস্তিত্ব নেই”(ইবনে আরবি-রাসাইলে ইবনে আরবি,কিতাবুল জালালা;১২) এর মানে এই দুনিয়াতে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহ্... (নাউযুবিল্লাহ)
৪.ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি বলেছেঃ “মাসআলা ‘ওয়াহাদাতুল ওয়াজুদ’ সঠিক এবং এতে কোনও সন্দেহ নেই”(ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি-শাফায়েমে ইমদাদিয়া;৩২)
*** ‘ওয়াহাদাতুল ওয়াজুদ’ এর মানেঃ এই দুনিয়াতে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহ্... (নাউযুবিল্লাহ)
৫.ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি বলেছেঃ “মানুষ বাহির দিয়ে মানুষ, বাহ্যিক ভাবে মানুষ কিন্তু আসলে বিতর থেকে সে আল্লাহ্”(ইমদাদুল্লাহ মহাজ্জের মাক্কি-শাফায়েমে ইমদাদিয়া;৫৩)...(নাউযুবিল্লাহ)
৬.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “মানছুড় হাল্লাজ কে কেউ জিজ্ঞেস করল-‘তুমি নাকি নবী হওয়ার দাবি করো?’ মানছুড় হাল্লাজ বললো-আফসোস তুমি আমার সম্মান কমিয়ে দিয়েছ,আমিতো খোদা হওয়ার দাবি করি”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৭৬)
৭.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “হামজা খোরাসানীর কানে এক বকরীর আওয়াজ আসলো, সে সাথে সাথে বলতে লাগলো-লাব্বাইক জাল্লাহ শানু”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৭৪)
৮.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী বলেছেঃ “আল্লাহর সকল হুকুম রাসুল(সাঃ) এর দরবারে যায়ে তারপর সেখান থেকে হুকুম করা হয়। মানুষ যা পায়ে সব রাসুল(সাঃ) এর কাছ থেকে পায়ে”(আহমাদ রেযা খান বেরেলভী-মালফুজাত;৩৬৯)
৯.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী বলেছেঃ “গাউস(যেমন-আব্দুল কাদের জিলানী) ছাড়া আকাশ ও জমীন টিকে থাকতে পারে না”(আহমাদ রেযা খান বেরেলভী-মালফুজাত;১০৬)
১০.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “এক ব্যক্তি খাযা মইনুদ্দিন চিশতী এর কাছে এসে বললো- হযরত আমাকে আপনার মুরিদ বানিয়ে নিন,চিশতী বললো-পড়,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ চিশতি রাসুলুল্লাহ”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৮৩)
১১. বাবা বুলান্দ শাহ্ বলেছেঃ “চিতা আল্লাহ,হরিনও আল্লাহ,শিকার আল্লাহ,শিকারিও আল্লাহ্”(বাবা বুলান্দ শাহ্-কালাম বাবা বুলান্দ শাহ্;৩৪৫)
১২.খাযা গোলাম ফরিদ বলেছেঃ “আবুল হাসান বলেছে-সকালে আল্লাহ্ আমার সাথে কুসতী করেছে এবং আমাকে হারিয়ে দিয়েছে কারন আমি আমার রব থেকে ২ বছর এর ছোট”(খাযা গোলাম ফরিদ-ফাজায়েলে ফারিদিয়া;৭৪)
১৩.আহমাদ রেযা খান বেরেলভী এক হিন্দু সাধু কে আল্লাহর অলী বলে