somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতে কাছে বাংলাদেশ বিক্রির ১ম ইন্সটলমেন্ট ‍‍"বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের তোয়াক্কা করেনি ভারত"

২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১ম-ই এই পোষ্ট টা একটু দেখেন তার পরে ভিতরে ঢুকুন।







তাকী মোহাম্মদ জোবায়ের : বাংলাদেশে ভারতের ট্রানজিটের অংশ হিসেবেই নারায়ণগঞ্জের কনটেইনার পোর্ট নির্মাণ করা হবে। আর বন্দরটি বাংলাদেশে নির্মাণ করা হলেও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে মানতে হবে ভারতের আইন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইনকে কোনো তোয়াক্কা করেনি বন্দরের দরপত্র আহ্বানকারী ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের লংঘন বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। দরপত্রের অগ্রাধিকারের শর্ত (টার্মস অব রেফারেন্স) বিশ্লেষণে এসব তথ্যই ওঠে এসেছে।
নারায়ণগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার পোর্ট নির্মাণে প্রযুক্তিগত ও বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ১০ মে দরপত্র আহ্বান করে ভারত। ভারতকে অতি গোপনে এই বন্দর নির্মাণের অনুমোদন দেয়ার কথা শনিবার ইনকিলাবের কাছে স্বীকার করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
দরপত্রের অগ্রাধিকারের শর্তে পার্ট-এ’র ৪ নম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, ভারত থেকে নারায়ণগজ্ঞের বন্দরে পণ্য আনা-নেয়ার সড়ক জরিপ করতে হবে। একই অংশের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের এফ উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এই বন্দরের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনে ট্রানজিটের সময় ও ব্যয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে হবে কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে।
অগ্রাধিকার শর্তের দ্বিতীয় অংশের প্রথম অনুচ্ছেদের প্রথম উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সড়কপথে ভারত থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত কনটেইনার পরিবহনের মূল্যায়ন ও নারায়ণগঞ্জে জাহাজিকরণ করে ভারতে পণ্য পরিবহনের মূল্যায়ন করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় ভারতের এক অংশ থেকে অন্য অংশে পণ্য পরিবহনের সময় ও খরচের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জে পণ্য পরিবহন ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ভারতে সড়কপথে পণ্য পরিবহনের সময় ও খরচের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে।
টার্মস অব রেফারেন্সের দ্বিতীয় অংশের ৯.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘এই চুক্তির সকল কাজ সম্পন্ন হবে ভারতের আইন অনুযায়ী।’ সকল ভূতাত্ত্বিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক জরিপ বাংলাদেশে হলেও দরপত্রে বাংলাদেশের আইনের প্রতি কোনো সম্মান দেখায়নি ভারত। দেশের অভ্যন্তরে অন্যদেশের আইনে কারো কাজ করাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জ্বালানি-গ্যাস-বিদ্যুৎ ও বন্দররক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেছেন, এটা ভারতকে দেয়া ট্রানজিট সুবিধারই অংশ। এটা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। গোপনে সরকার ভারতকে পোর্ট নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। এটাই প্রমাণ করে এখানে স্বচ্ছতা নেই। এটা বিপজ্জনক। জনগণের কাছে আড়াল করেই বাংলাদেশে অন্য দেশ পোর্ট নির্মাণ করছে। ট্রানজিটের ক্ষেত্রেও একই লুকোচুরি হচ্ছে। ভারত একদিকে বাংলাদেশের চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে জেলখানা বানাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশকে তাদের সড়ক বানাচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের বন্দর নির্মাণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ৪৬ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে এই পোর্ট। দরপ্রস্তাব জমা দেয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৭ জুন বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত দরপত্রের টার্মস অব রেফারেন্সে উল্লে¬খ করা হয়েছে, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে ৪৬ একর জমি রয়েছে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটি ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওই জমিতে একটি অভ্যন্তরীণ নৌ-কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। টার্মিনাল নির্মাণে কারিগরি ও বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ভারত সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দরপত্র আহ্বান করেছে। দরপত্র বিবরণীতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আওতাও তুলে ধরা হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের প্রস্তাবিত টার্মিনালের স্থান পরিদর্শন করে একাধিক প্রতিবেদন জমা দেবে। এসব প্রতিবেদনে স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পপণ্যের উৎপাদন, বর্তমান প্রবৃদ্ধি, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি প্রকল্পের শক্তি, সম্ভাবনা, দুর্বলতা ও ঝুঁকি বিষয়েও বিশ্লে¬ষণ করতে হবে।


View this link
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×