আমার রাষ্ট্র চিন্ত কিছুটা উল্টা পথের ভাবনা ভাবে। আমার পথ এক্টু আলাদা। আসুন দেখি আমার রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা।
১.অর্থনীতিঃ
আমার অর্থনীতি হবে দু ধরণের। একটা আভ্যন্তরীন এবং অন্যটা বাইরের পৃথবীর জন্য। দেশের জন্য থাকবে উদার পন্থী সামরিক অথবা সমাজতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থা। এখানে বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে দেশের কোটিপতিদের সরাসরি নিঃস্ব করে ফেলা হবে না। এখানে তাদের উন্নয়মূলক কাজ করানো হবে। যার দায়িত্ত্ব থাকবে সরকার তথা সামরিক বাহিনীর। তাদের দিয়ে ততদিন পর্যন্ত এ কাজ করানো হবে যতদিন না তারা একটা সাধারণ মধ্যবিত্ত ফ্যমিলিতে পরিনিত হয়। সরকার শুধু কিছু পরিবার কে নিঃস্ব করে দেবে তাদের নিজেদের প্র্যোজনে। সেই সকল পরিবার গুলো হলো দেশের সাবেক আমলা এবং বিল্পব বিরোধী আমলাদের। তাবে তদের লালন পালন ও সরকার করবে। প্রতি বিপ্লবী অভ্যুথ্যান ঠেকাতে।
সরকারের বর্হিবিশ্বর সাথে আর্থিক যোগাযোগ হবে পুরোপুরি পুঁজিবাদী পদ্ধতিতে। এবং তার থেকে যা প্রফিট হবে অথবা লস হবে তার ভাগ পাবে দেশের সকল মানুষ। কিন্তু সরকার কোন সাবসিডিয়ারি দেবে না। এবং সরকার বিদেশীদের এ দেশে আর্থিক বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে। তবে তাদের কোন স্থাবর সম্পত্তি অর্জনের ক্ষমতা দেবে না। বিদেশীদের জন্য সরকার আলাদা বিনিয়োগ জোন খুলবে এবং বিদেশীদের সাথে পাবলিক প্রাইভেট প্রকিউরমেন্ট এর মাধ্যমে তাদের সকল বিনিয়োগে সরকারের ৫০% ভাগ থাকবে এবং প্রফিট সেই অনুসারে ভাগ হবে। শুধু মাত্র বিদেশি দের জন্য বাজার অর্থনীতি খুলে দেয়া হবে তবে আভ্যন্তরীন বাজার হবে কমান্ড মার্কেট অর্থাৎ সমাজতান্ত্রিক কঠোর ব্যবস্থা।
দেশের শিল্পাঞ্চল গুলো কে ঢেলে সাজানো হবে। আমাদের পোর্ট এরিয়াকে আমাদের শিল্প ও বানিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র অর্থাৎ বানিজ্যিক রাজধানী। তা ছাড়া শিক্ষা আর চিকিৎসা খাত জনগণের জন্য উন্মুক্ত মানে ফ্রি করে দেয়া হবে। এবং বাজেটের ৬-১১% এই ক্ষেত্র বরাদ্দ করা হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে স্বেচ্ছাসেবক সেনাবাহিনী।
২.রাজনীতিঃ
দেশে দল থাকবে একটি। এবং তাতে বিভিন্ন উপদল থাকবে যারা বিভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী। দেশ সামরিক গনতন্ত্র মেনে চলবে। নির্বাচনী এলাকার নুন্যতম ইউনিট ওয়ার্ড থেকে ভেঙ্গে গ্রামে নামিয়ে আনা হবে। প্রতিটি গ্রাম থেকে সরাসরি নির্বাচিত গ্রাম প্রধান রা ইউনিয়ন প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। অই ইউনিয়ন প্রতিনিধি রা নির্বাচন করবেন থানা প্রধান। থানা প্রধান নির্বাচন করবেন জেলা প্রধান। আগেই বলে রাখা ভালো দেশকে প্রদেশে নয় ৪ টি জোনে ভাগ করা হবে। তা হবে উত্তর , দক্ষিণ , পুর্ব এবং পশ্চিম। যাই হোক জেলা প্রধানরা নির্বাচন করবেন বিভাগীয় প্রতিনিধি। এইক্ষেত্রে প্রধান নয় প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে। এবং তাদের থেকেই জোনাল কমান্ডার নির্বাচন করা হবে। এই জোনাল কমান্ডার অঞ্চলিক সরবরাহ বিভাগের প্রধান থাকবেন। যে কোন সমস্যায় তিনি ব্যখ্যা প্রধানে বাধ্য থাকবেন। প্রতি ৫ বছর পর পর এই সকল প্রতিনিধি, প্রধান , কমান্ডার রা প্রতিটি জোন থেকে সরাসরি ভোটে সংসদীয় প্রতিনিধি নিয়োগ করবেন। সকল প্রধান , প্রতিনিধি এবং কমান্ডারেরা সাংসদদের কাছে জবাবদিহী করতে বাধ্য থাকবেন। এই সাংসদরা নির্বাচন করবেন তাদের রাষ্ট্রপতি। সাংসদদের থেকে রাষ্ট্রপতি তার পসন্দনুযায়ী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন। রাষ্ট্রপতি ৫ সদস্যের এলিট বোর্ড অফ ডিরেক্টস এর কাছে জবাবদিহী করতে বাধ্য থাকবেন। এই বোর্ড এর রায় সকল ক্ষেত্রে চুরান্ত হিসেবে ধরা হবে। তবে সংসদ চাইলে ডিরেক্ট্র বোর্ডকে তাদের সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য অনুরোধ করতে পারবে। তবে এই বোর্ড এর সদস্যরা সবসময় লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকবে। সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়কের পদ তারা গ্রহণ করবেন। তাদের অনুমোদন ছাড়া কোন দেশকে আক্রমণ করা যাবে না। তবে আভ্যন্তরীন প্রতিরক্ষার দ্বায়িত্ত্ব থাকবে সংসদের। এইক্ষেত্রে বোর্ড কিছু করতে পারবে না। শুধু তাদের সাজেশন দিতে পারবে। তবে জরুরি অবস্থা এবং সেনা বাহিনী ডাকার একমাত্র ক্ষমতা থাকবে বোর্ডের। এই বোর্ডের সদস্যরা বিপ্লবের একনিষ্ট সমর্থক এবং সোইনিক হবেন। তাদের সকল দ্বায়িত্ত্ব সরকার বহন করবে। এবং তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের দ্বায়িত্ত্ব পালন করবেন।(ক্রমশ)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




