২৩ ঘণ্টা পর রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মৈত্রী সংঘ মাঠের কাছে রেলওয়ের পানির পাম্পের পাইপের মধ্যে থেকে শিশু জিহাদকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের সময় সে অচেতন অবস্থায় ছিল। তবে সে জীবিত না মৃত, তা জানা যায়নি।
উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই শাহজাহানপুরে ওয়াসার পানির পাইপের ভেতর থেকে শিশু জিহাদকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। ফারুক নামের এক ব্যক্তি একটি জাল ও রশি দিয়ে জিহাদকে টেনে তুলেছেন।
জানা যায়, ফারুকসহ কয়েকজন গাড়ি মেকানিক তাদের তৈরিকৃত একটি ‘ক্যাচার’ দিয়ে জিহাদকে টেনে তোলেন। তবে জিহাদ জীবিত কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শনিবার পৌনে তিনটার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তবে এর আগে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। গাড়ি মেকানিক ফারুক হোসেনর সঙ্গে ওই এলাকার আরো কয়েকজন মেকানিক একত্রিত হয়ে এই ক্যাচারটি তৈরি করেন। তাকে প্রায় ২৩৫ ফুট নিচ থেকে ওই যন্ত্রটি দিয়ে টেনে তোলা হয়েছে।
একটি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে জিহাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরই বিকাল তিনটায় ওই নেটের মাধ্যমে শিশুটির দেহ উপরে তোলা হয়। এরপর একটি গাড়িতে করে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসাপাতালে। সেখানে দেহ পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানাবেন শিশুটি জীবিত না মৃত। এদিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণার পর শিশুটিতে উদ্ধারে উপস্থিত হাজারো মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
আমাদের রাষ্ট্র এবং মিডিয়া যে কত বড় ভুয়া তা আবারো প্রমাণিত হল। স্থানীয় জনতাই শিশু জিয়াদকে উদ্ধার করেছে। আর জনতা শিশু জিয়াদকে উদ্ধার করতে সময় নিয়েছে মাত্র আধা ঘণ্টা।
এখনও কি তোদের কাণ্ডজ্ঞান হবে না কুত্তার বাচ্চারা? রাষ্ট্রের ইচ্ছার চেয়ে জনতার ইচ্ছা যে কত শক্তিশালী, এক শিশু জিয়াদকে উদ্ধার নিয়েই তা আবার প্রমাণিত হল। রাষ্ট্র আর মিডিয়া এই দুই দুবৃত্তকে জনতাই একদিন গণ ধোলাই দেবে!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




