হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ!!!

হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলো সারা বিশ্বেই আছে। কোন দেশে তারা কেমন আচরণ করে তা আমার জানা নেই,তবে ভারত কিংবা বাংলাদেশের এই হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলোর আরো একটা নাম হল "অপরাধ"। এই নামটি তাদের কাজ থেকেই রেখেছি আমি। আপনি আমি কোন না কোন ভাবে এদের মোকাবেলা করেছি।

সিলেট থেকে ফিরছিলাম পাহাড়িকা ট্রেনে করে। এর মাঝে সাতটা স্টেশনে ট্রেন থেমেছে,আর যত বারই থেমেছিলো ততবারই এই হিজড়াদের টাকা দিতে হয়েছে আমাদের। এর মাঝে শ্রীমঙ্গল স্টেশনে যে হিজড়াগুলো ট্রেনে উঠেছিলো তাদেরকে অরজিনাল হিজড়া মনে হয়েছে। কোন রকম বেয়াদবি কিংবা অশালীনতা না দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে,আর বাকি সব স্টেশনেই কোন না কোন ভাবে অশালীনতা করেছে। হিজড়াদের সাথে মোকাবিলা এই প্রথম না,আরো আরো করতে হয়েছে। রাস্তায়,বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা হাসপাতালে ও।

শ্রীমঙ্গল স্টেশনে এক হিজড়া আমাদের সিটে এসে বসলে মামাতো ভাই তাকে জিজ্ঞেস করে কি কি করে? জবাবে সে বলল,কিছুই করেনা,গাঁজা খায় আর কোকেন নেয়। হাত দিয়ে দেখাচ্ছিল। বাহ বেশ!!

হিজড়াদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি হল ট্রেন স্টেশনে। এখানে তারা সব ধরনের ক্রাইম করে থাকে। আপনি হয়ত জানেন না যে তাদের গ্যাং রয়েছে। যেটাকে আমরা হাসতে হাসতে বা ঠাট্টা করতে করতে বলে ফেলি,আরেহ ওদের ও গ্যাং আছে। আচ্ছা আপনি কি জানেন ওদের গ্যাং দিয়ে ওরা কি করে?

ধানমন্ডি লেকে বসে আছেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে,অথবা আড্ডা দিচ্ছেন বন্ধুদের সাথে,আপনার কাছে আসলো,টাকা চাইলো। দিলেন দশ টাকা বা বিশ টাকা,আপনি কি ভেবেছেন ওরা ভিক্ষুক? নাহ ওরা সন্ত্রাসী,ওদের দশ কিংবা বিশ টাকায় হবেনা,আপনাকে আরো বেশি দিতেই হবে,আপনি বাধ্য। না দিলে অশালীনতা শুরু করবে,আপনি অপমান বোধ করে রেগে গেলে ওরা ধমকি দিবে,আপনি ভয় পেয়ে যাবেন। চারপাশের মানুষ তাকিয়ে থাকবে,কেউ কেউ হাসবে। আপনি দাঁড়িয়ে আছেন,হুট করে দেখবেন আরো অনেকগুলো হিজড়া এসে আপনার ইজ্জত খেয়ে দিলো,কিংবা আপনাকে ফলো করে কোন ক্ষতি করে দিলো।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ এই হিজড়াদের দখলে রয়েছে। এর মধ্যা চাঁদাবাজি,অস্ত্রব্যবসা,মাদক ও পতিতাবৃত্তি
উল্লেখযোগ্য।

ঢাকায় রয়েছে হিজড়াদের পনেরো থেকে বিশটা গ্যাং বা তার ও বেশি । কারো বাচ্চা জন্ম নিলে মোটা অংকের টাকা দিতে হবে। আপনার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে,টাকা না দিলে বাচ্চা নিয়ে যাওয়ার হুমকি।

এদের নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই। পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে,আর ওরা চাঁদাবাজি করছে। টাকা না দিলে গালাগাল করতেছে,অশালীন আচরণ করতেছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে হিজড়াদের স্বীকৃতি দেয়। তাদের পরিচয়পত্রে হিজড়া লেখা থাকবে। তারা ও অন্য সব মানুষের মত সুযোগ সুবিধা পাবে। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল,হিজড়াদের চাঁদাবাজি,অস্ত্র ব্যবসা,মাদক কিংবা দেশের সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার বা অশালীন আচরণ এর জন্য এখনো কোন আইন করা হয়নি। তাহলে কি হিজড়াদের জন্য সব কিছুই বৈধ?

মাঝে মাঝে দেখি পত্রিকার পাতায় বড় বড় কলাম,ব্লগ পোস্ট দেখি হিজড়াদের অধিকার নিয়ে। হা হা,ওরা হয়ত এসব কিছু জানেইনা,হয়ত বা ওদের গড ফাদার বা গড মাদার এই কলামিস্ট গুলাই। রাস্তাঘাটে,দোকানে,যানবাহন কিংবা রাতের আধারের ক্রাইমের বলি হয়ে গেছেন এদের কারণেই।

জামাত বিএনপি প্রকাশ্য মিছিল করলে গুলি করা হয়,গুম করা হয়। কোটা আন্দোলনে নামলে ছাত্রছাত্রীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়,র‍্যাব কিংবা ডিবি অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জামাত শিবির কিনা। কিন্তু হিজড়াদের প্রকাশ্য চাঁদাবাজির জন্য কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়না,গুম হয়না,গ্রেপ্তার হয়না,ক্রসফায়ার এ পড়েনা,বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী হয়না। কারণ তারা তৃতীয় লিঙ্গের,তারা দেশের ভিআইপি সন্ত্রাস।