somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলমানি নিয়া আবজাব কথকতা (ফানি পোস্ট, ১৮+ হইতে পারে)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার বয়স তখন পাঁচ বছর। কিছুদিন হল আপু আমার সাথে দুষ্টামি করা শুরু করেছে এই বলে, মুসলমানি কইরা তোর নুনুটা কাইটা দিবে। আমিও পালটা বলতাম, তাইলে আমি তারে লাথি দিয়া হাত-মুখ ভাইঙ্গা দিমু। তখন পর্যন্ত এই নুনু কাটার বিষয় সম্পর্কে ধারনা ছিল না। এর মধ্যে একদিন হাসপাতালে গেলাম। আমাকে নাকি চেকআপ করবে। এর আগে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে আমার পানি খাওয়া বন্ধ। আমি তখনও বুঝতে পারিনি ঘটনা কি। আমার সিরিয়াল আসল। আব্বু আমাকে ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে গেল। আম্মু আর আপু বাইরে বসে আছে। ভিতরে ডাক্তার আর দুইজন নার্স। ডাক্তার আর এক নার্স টেবিলে কি যেন কাজ করছে। আরেকজন নার্স এসে আমাকে বেডে বসালো এবং আব্বুকে বলল, আপনি বাইরে গিয়া বসেন। আব্বুকে আমাকে বলল, একা থাকতে ভয় পাবি না ত? আমি সাহস দেখিয়ে বললাম, ভয়ের কি আছে? আব্বু চলে গেল। নার্স আমাকে বলল, তোমার প্যান্টের ভিতরে একটু সমস্যা আছে, প্যান্টটা খুইলা ফেল। এই বলে নিজেই আমার প্যান্ট খোলা শুরু করল। আমি একটু প্রতিবাদ করতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু নার্স আমাকে কোন সুযোগ না দিয়ে মুহুর্তেই প্যান্ট খুলে ফেলল। বলল, এই ত লক্ষী ছেলে। তোমার এইখানে একটা সমস্যা আছে। ঠিক কইরা দিব। খালি পিপড়ার কামড়ের মত একটু ব্যাথা লাগব। বলে আমার তুলায় কি এক তরল পদার্থ লাগিয়ে নুনুতে ঘষে দিতে লাগল। আমি ততক্ষনে একটু ভয় পাচ্ছি। বললাম, আম্মুর কাছে যাব। নার্স কাজ করতে করতে বলল, এই ত একটু পরেই আম্মুর কাছে যাবা।

এর মধ্যে ডাক্তার চলে আসল। সাথে একটা ট্রেতে বেশ কিছু জিনিস নিয়ে আরেক নার্স পাশে এসে দাড়াল। ডাক্তার হাসি হাসি মুখে আমার নাম জিজ্ঞেস করল। প্রথম নার্স তখন বেডের পিছনে চলে এসেছে। ডাক্তার আমাকে বলল শুয়ে পড়তে। পিছন থেকে নার্স আমাকে ধরে শুইয়ে দিল। আর দুই পা শক্ত করে ধরে পিছনের দিকে নিয়ে আসল। আমি বললাম, ব্যাথা লাগে ত। নার্স বলল, কিচ্ছু হবে না। চুপ কইরা শুইয়া থাক। নড়াচড়া কইর না। পিপড়া কামড় দিলে যেমন লাগে ঐরকম একটু ব্যাথা লাগবে। ডাক্তার আমার নুনুতে কি যেন করতে লাগল। আমার তখন আপুর কথা মনে পড়ল। বলেছিল, আমার নুনু নাকি কেটে দিবে। কেটে দিলে আমি কিভাবে হিসু করব। ভাবতে না ভাবতেই নুনুতে গরম লোহার ছেকার মত ব্যাথা করে উঠল। আমি চিৎকার দিয়ে উঠলাম। এমন করে যুগ যুগ ধরে চলছেই। আমি জোরে জোরে কাদছি। কিন্তু নির্দয় ডাক্তার আমাকে ব্যাথা দিয়েই যাচ্ছে। আর নার্স এত জোরে পা ধরে রেখেছে যে আমার হাড্ডির জয়েন্টে খুব ব্যাথা করছে। আমার মনে হচ্ছিল, আমার নুনুটা কেটে দিয়ে আমাকে মেয়ে বানিয়ে দিচ্ছে। যুগ যুগ সময় পর আমি অনুভব করলাম, আমার নুনুতে কি যেন পেচিয়ে দেয়া হচ্ছে। আসলে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হচ্ছিল। তখন একটু আরাম লাগছিল। একটু পরে আব্বু এসে আমাকে পাজাকোলা করে বাইরে নিয়ে গেল। আম্মু আর আপু দেখলাম ভয়ার্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এর মধ্যে আমি আম্মুকে জিজ্ঞেস করে বসলাম, আমার প্যান্ট কোথায়? আম্মু বলল, আছে আমার কাছে। আমার খুব লজ্জা লাগছিল। মনে হচ্ছিল হাসপাতাল ভর্তি সব মানুষ আমার নুনু দেখে ফেলছে। তখন মনে হল, ব্যান্ডেজ ত করা আছে, দেখতে পাবে না।

এরপর শুরু হল দুঃসহ দিন। সারাদিন শুয়ে থাকতে হয়। খেলাধুলা করতে পারি না। মাঝে মাঝে ওখানে খুব ব্যাথা করে। হিসু করতে গেলে খুব কষ্ট হয়। গোদের উপরে বিষফোড়া হিসেবে আপু এসে দুষ্টামি করে, বলছিলাম না, তোর নুনুটা কাইটা দিবে। হিহিহি। কিছু ত করতে পারলি না।

আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী আর পরিচিত মানুষজন আমাকে দেখতে আসত। খুব লজ্জা লাগত যখন আন্টিরা লুঙ্গি সরিয়ে আমার নুনুর অবস্থা দেখত। তবে আমি অনেক খেলনা আর গিফট পেতাম। মাঝে মাঝে মানুষজনকে বিব্রতকর প্রশ্ন করে বসতাম, মেয়েরা কিভাবে মুসলমান হয়? আপু পালটা বলত, ছেলেরা ত বদের হাড্ডি। তাই নুনু কাইটা মুসলমান করতে হয়। মেয়েরা লক্ষী তাই মুসলমান হয়েই পৃথিবীতে আসে।

কিছুদিন পর ব্যান্ডেজ খোলার জন্য আবার আমরা হাসপাতালে গেলাম। আমার ভয় লাগল, আবার যদি কিছু করে। আব্বু সাহস দিল, আবার কি করবে, এখন ত মুসলমান হয়েই গেছ। ডাক্তারের চেম্বারের বাইরে অপেক্ষা করছি। তখন দেখলাম, আমার মত বয়েসী একটা ছেলেকে তার বাবা মা চেম্বারে নিয়ে গেল। কিছুক্ষন পর বাবা মা বাইরে চলে আসল। ছেলেটা ভিতর থেকে আম্মু আম্মু করছে। তারপর হঠাৎ তার আর্তচিৎকার ভেসে আসল। বুঝলাম যে তার মুসলমানি হচ্ছে। তখন এই ভেবে ভাল লাগল যে, শুধু আমার না, অন্য ছেলেদেরও মুসলমানি হয়। এক সময় ওর বাবা পাজাকোলা করে ওকে বাইরে নিয়ে আসল। আমরা তখন ভিতরে গেলাম। ঐ নার্স এসে আমার ব্যান্ডেজ খুলে দিল। তখন বেশ ব্যাথা লাগছিল। তারপর ওখানে ঔষধ লাগিয়ে দিল। নার্স বলল, এই দেখ, কত সুন্দর হয়ে গেছে। আমি আমার নুনুটার নবরূপ দেখলাম। সত্যি আগের চেয়ে সুন্দর হয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৩
৮৬টি মন্তব্য ৮৬টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অল্প পুঁজিতে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার সন্ধান, যে কেউ চাইলে শুরু করতে পারে

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫



কেউ একজন জানতে চেয়েছেন ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কিভাবে মাসে ১/২ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়? বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করে দেখলাম বাংলাদেশে ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×