এখনও বিদেশে যাবার সুযোগ না হলেও আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক রিপন স্যারের (অ্যাকোয়াকালচার বিভাগ,বাকৃবি) সুবাদে কয়েকজন বিদেশী গবেষকের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। উন্নত দেশের মানুষদের সান্নিধ্যে আসলেই জানতে চেষ্টা করেছি কি কি কারনে তারা আমাদের থেকে এগিয়ে আছে।তারা সকলেই নিজেদের নাগরিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন বলে আমার মনে হয়েছে। এমন ও দেখেছি একটা চকলেট খেয়ে সেটার খোসা ফেলার জায়গা না পেয়ে নিজের পকেটে রেখে দিয়েছে,তাও রাস্তায় ফেলেনি। কখনও অভিযোগ করতে দেখিনি, সমস্যার সমাধান খুঁজতে দেখেছি তাদের।
শুধু মাত্র সরকারের উপর সব দোষ চাপিয়ে দিলেই হয় না। দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের ও কিছু নাগরিক দায়িত্ব আছে, তার কত টুকু আমরা পালন করি? ঢাকায় মেয়র সাহেব রাস্তার ধারে ধারে ডাস্টবিন করে দিয়েছেন। আমি তাতে ময়লা ফেলবো না কিন্তু আমার আবার পরিচ্ছন্ন শহর ও চাই।আপনি ভেজাল, আমি ভেজাল, ঐ যে ঐ মানুষ টাও ভেজাল, তাহলে দেশটা কি করে খাঁটি হয় রে ভাই? আমরা সবথেকে ভালো যে কাজটা পারি তা হল সমালোচনা করতে, অন্যের দিকে একটা আঙ্গুল তুলতে কিন্তু ভুলে যাই যে বাকী আঙ্গুলগুলো নিজের দিকে তাক করা। যেদিন আপনি আমি বদলে যাবো সেদিন ই বদলে যাবে সবকিছু।
শেষ টা ভালো দিয়েই হোক, কারণ শেষ ভালো যার সব ভালো তার। সব কিছুর মাঝেও আমরা কেমন করে যেন হাঁসতে শিখে গেছি। শত অভাব অভিযোগ সত্ত্বেও আমাদের মুখে হাঁসি লেগেই আছে। সেদিন দেখলাম বন্যা কবলিত এলাকায় সাংবাদিক গেছে রিপোর্ট করতে। বাড়ী ঘর ডুবে গেছে, কোমর পানিতে দাড়িয়ে ক্যামেরা দেখেই হাঁসতে শুরু করেছে। এই হাঁসির মাঝে যে শক্তি আছে সেটার জন্যেই মনে হয় আমরা এখনও টিকে আছি। অনেক ধনী দেশ কে পেছনে ফেলে বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় অষ্টম স্থানটি আমাদের।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০