somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

জেনে রাখুন আপনি, সব কিছু উল্টা পাল্টা হয়ে গেছে

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুনিয়ার অনেক কিছু পাল্টে গেছে, আজব অনেক কিছু, আজব মানুষ, আজব আমরা।

১)আমরা সরকারি হাসপাতালে অনেকেই এই অজুহাত দেখিয়ে যাইনা। যে সরকারি হাসপাতালে মানুষ বেশি হয়। মানুষ বেশি হলে সেখানে ডাক্তার দেখানো অনেক কষ্ট হয়ে যায়। সিরিয়াল পাওয়া যায়না। সেবা ভালো পাওয়া যায় না। এসব অজুহাত দিতাম, এখনো দেই।

আসল কথা ৯০%লোক এই কথা ভাবে যে সরকারি হাসপাতালে লোক বেশি আসে। এই কথা ভাবতে ভাবতে সবাই বেসরকারি হাসপাতালে চলে যায়। খুশির খবর এই যে, এখন বেসরকারি হাসপাতালে বেশি ভিড়। মানুষ সেখানেই বেশি হয়ে গেছে আর সরকারি হাসপাতাল হয়ে গেছে খালি। সেবা পেতে কষ্ট করতে হয় না। কারন সবাই ভুল বুঝে বেসরকারি হাসপাতালে ভিড় করেছে। আর সরকারি হাসপাতালে মানুষ কম। তাহলে কি বুঝলেন। সরকারি হাসপাতালে যান। সেখানে অনেক বেশি আধুনিক মেশিন আছে। এমন অনেক মেশিন আছে যা সাধারণ ক্লিনিক মালিক তার সব সম্পদ বিক্রি করেও ক্রয় করতে পারবেনা।


২)মানুষের ভাবনা পাল্টানো খুব জরুরী। আমরা কি করি? চিলে কান নিয়েছে। চিলের পিছনে ছুটে মরি । ভাই একবার কানে হাত দাও।

৩)মানুষ আসলে যা ভাবে তা ঠিক নয়। ১০০% ঠিক হবে তার কোন গ্যারান্টি নাই। তাই আপনার নেগেটিভ ভাবনা দূর করে দিন। দেখুন দুনিয়া কত ভালো।। কে বলেছে দেশে শান্তি নাই? কে বলেছে আমরা গরীব? আমাদের মন অনেক বড়।

৪)আমাদের দেশে উন্নত মানের চিকিৎসা হয়। সরকারি হাসপাতালেই হয়। শুধু আপনাকে হতে হবে সাবধান আর চালাক। দালাল তো হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে সেই কবে।

৫) প্রতি ওয়ার্ড এর সামনে হট লাইন লেখা আছে। কেউ কোন অবৈধ টাকা চাইলে ফোন করুন। সরকারি রশিদ ছাড়া টাকা লেনদেন করবেন না।
৬) বেসরকারি এক ক্লিনিকে গেলাম, আমি যে ভিড় দেখতে পেলাম। সেই রকম রোগী আমি কোন জেলার সরকারি হাসপাতালেও দেখিনি কোনদিন। কি করে দেখবো? সবাই এখন শহরে আসে ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাবে এই চিন্তা করে। সরকারি হাসপাতাল তাই খালি

৭) আমি আমার ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম সরকারি হাসপাতালে। কোমরে ব্যথা পেয়েছিল, সিড়ি থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলো। আমি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। সাথে সাথে ইমার্জেন্সিতে চলে যেতে বললো একজন। আমি ১৫টাকায় টিকেট কাটলাম। তারপর সাথে সাথে টেস্ট, যা যা লাগে দিয়ে দিলো। সরকারি খরচে সরকারি হাসপাতালে এতো তারাতারি সব কাজ হয়ে গেলো। ২ঘন্টাতে সব কাজ শেষ। ডাক্তার বললো কোন সমস্যা নাই। নিয়ম মেনে চলতে হবে।
৮)আমি সিলেটে গিয়ে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। কারন সেখানে মানুষ পুকুরের পানি, কূপের পানি পান করে। আমি এগুলো খেয়ে একটু বদ হজম হয়েই যায়নি। সাথে সাথে ঠান্ডা বৃষ্টিবহুল আবহাওয়া তে খুব অসুস্থ হয়ে দুর্বল হয়ে যাই। হাতে টাকা পয়সা কম ছিলো। তাই সরকারি হাসপাতালে চলে গেলাম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গেলাম। তারা ধরতে গেলে ফ্রি চিকিৎসা দিলেন। সরকারি ঔষদ , নাম মাত্র কিছু টাকা খরচ হয়েছে। যা সরকারি কিছু টিকেট আর কিছু খরচ। যাই হোক আমার ভাবনা অনেক পজেটিভ হয়ে গেলো।

আর সারাজীবন যে অজানা ভয় ছিল, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়না সেটা দূরে চলে গেলো । আমার সাথে কেউ ছিলোনা। সত্য বলতে মায়ের সেবা পেয়েছি।


৯) ঢাকা মেডিকেলে এমন আপনি পাবেন না। এটা বলার কিছু নাই। কথা হল। ঢাকা মেডিকেলে কতজন রোগী একসাথে চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে? আর ঢাকায় কত কোটি লোক বসবাস করে?
ঢকা মেডিকেল হল ওই পণ্য যার যোগান ১টি সিট হলে ১সিটের জন্য রোগীর চাহিদা হল ৫০জন। ভাই দেশের ৩কোটি লোক ঢাকা শহরে বাস করে। এরা যায় ঢাকা মেডিকেলে। আবার গ্রাম থেকেও আসে। বিভিন্ন জেলা হতেও খুব সিরিয়াস রোগী এইখানে আসে
যার যোগান এতো কম। চাহিদা এতো বেশি। তার ভিতরে কিছু দুই নাম্বার কাজ তো হবেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
১১টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×