অনুষ্ঠানের শুরুতে ইভা রহমান ''দিল দে দিয়াছে'' শিরোনামের গানটি পরিবেশন করে। এরপর মিউজিশিয়ানদের মিউজিক্যাল পরিবেশনার পাশাপাশি চলে সঙ্গীত পরিবেশন। তবে সনু নিগমের জন্য শ্রোতারা অধীর হয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। মঞ্চের পাশের স্কৃনে দেখানো হয় সনু নিগমের শর্ট বায়োগ্রাফি।
অবশেষে ঘড়ির কাঁটা যখন ঠিক রাত ৮টা ৫০ মিনিট তখন স্টেজে আসেন সনু নিগম। ''কাল হো না হো'' গানের প্রথম প্যারা গেয়ে ধীরে ধীরে মঞ্চে আসেন সনু নিগম। শ্রোতারা এসময় প্রিয় স্টারকে পেয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন। এসময় সনু গেয়ে উঠেন তার অত্যন্ত জনপ্রিয় ''সুরয হুয়া মাধ্যাম'' গানটি। এরপর একে একে তিনি গেয়ে শোনান তার জনপ্রিয় অনেকগুলো গান।
এগুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো মেরা রাব দে, মেরি হাত মে, গুমশুদা, আজা সোনিয়ে, হায়রে তেরি কুরবান, সাথিয়া, জাস্ট চিয়ার্স, ম্যায় হু না প্রভৃতি গানগুলো। সনু নিগম গান, উপস্থাপনা ও বিচারকের কাজ ছাড়াও যে ভালো নাচতেও পারেন, তা ঢাকার শ্রোতারা সরাসরি এবার দেখলো। শ্রোতারা এসব গানের সঙ্গে স্বতস্ফূর্তভাবে নেচে সনু নিগমকে এদেশের সঙ্গীত পিপাসুরা যে সনু নিগমকে কতটা পছন্দ করে তা দেখিয়ে দেন।
গানের ফাকে ফাকে সনু নিগম শ্রোতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা চালিয়ে যান। বর্তমানে কিভাবে গানকে বিকৃত করে উপস্থাপনা করা হচ্ছে সে সম্পর্কেও শ্রোতাদেরকে বলেন তিনি। হিন্দি গানের পাশাপাশি ইংরেজি গানও পরিবেশন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সনু নিগম ১৯৭৩ সালের ৩০ জুলাই ভারতের হরিয়ানার ফাদিাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। সনু নিগম যখন খুব ছোট, তখন তার পিতা পরিবারসহ হরিয়ানা থেকে দিল্লি চলে আসেন। তার পিতা অঘম কুমার একজন সঙ্গীত শিল্পী। মাত্র সাড়ে ৪ বছর বয়েস থেকে গান গাওয়া শুরু করেন সনু নিগম। ১৯৯০ সালে তিনি ''জনম'' সিনেমার গানে প্রথম কন্ঠ দেন। তবে ছবিটি মুক্তি পায় নি। এরপর ১৯৯৬ সালে তার গাওয়া ''আযা মেরি জান'' এবং ''আচ্ছা সিলা দিয়া'' গান দুটি দিয়ে শ্রোতাদের হৃদয় জয় করে নেন।
১৯৯৭ সালে ''পরদেশ'' ছবিতে ''এ দিল দিওয়ানা'' গানটি সুপার ডুপার জনপ্রিয়তা পায়। কসিমাত, জান, ইয়াদ, কালারস্ অফ লাভ, মৌসুম, স্বপ্নে কি বাত, কিসমত, চন্দা কি ডলি,দিওয়ানাসহ সনু নিগেমর প্রচুর অ্যালবাম রয়েছে। এ পর্যন্ত ২০০ টিরও বেশি ফিল্মে গান করেছেন এবং ৩০ টিরও বেশি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। আর স্টেজ শো করেছেন প্রায় ২ হাজারেরও বেশি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯