somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম ... :(

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৯৭-৯৮ সালের কথা। এলাকার বন্ধুদের সঙ্গে রোজ বিকেলে আড্ডা না দিলে, এখন একদিন ফেসবুকে ঢুঁ না মারলে যেমনটা লাগে ঠিক তেমনই লাগতো! তখন দেশে মোবাইল ফোনের বিস্তার ছিলো হয়তো হাজারে একটির মতো! আর ডেস্কটপ কম্পিউটার সবে মাত্র ঘরে ঘরে ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে আড্ডা হতো ঠিক আড্ডারই মতো। আড্ডায় পারস্পরিক বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ের পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোও যে আসতো না তা কিন্তু নয়। ;)

তবে দিন পাল্টে গেছে। এখন ৫ জন বন্ধুর আড্ডায় বসলে দেখা যায় একজন মোবাইল ফোনে ফেসবুকে চ্যাট করছে, একজন হয়তো বা ফোনে প্রেমালাপ করছে। আর একজন ল্যাপটপ নিয়ে গুটুর গুটুর করছে, যা অন্য দুজন মন দিয়ে খেয়াল করছে। এই হলো এখনকার আড্ডার একটা নমুনা। আড্ডার মতো আড্ডাও যে হচ্ছে না এমনটা নয়। তবে সেখানেও উপদ্রব হিসেবে কাজ করে মোবাইল ফোন। মিনিটে মিনিটে কারো না কারো ফোনে কল আসবে আর আড্ডায় বিরতির ঘন্টা বাজবে। এভাবে আর যাই হোক আড্ডা তো জমে না ... :(

××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××××

২০০৭-০৮ সালের কথা। সামহোয়ারইন ব্লগে তখন অনলাইনে থাকতো ১৫-২০ জনের মতো! আমি তখন দৈনিক যায়যায়দিনে কাজ করি। যায়যায়দিনে ব্লগিং করতাম আমরা প্রায় ২০ জনের উপরে। এক সময় এমন দাঁড়ালো, অফিসের সাব-এডিটর কিংবা রিপোর্টার মধ্যে খুব কমই ছিলেন, যিনি সামহোয়ারইনে ব্লগিং করতেন না। ফলে পুরো পত্রিকা অফিসেই কাজের পাশাপাশি ব্লগিং-মুখর একটি পরিবেশ বিরাজ করতো। তখন ব্লগে রেটিংয়ে সেরা পোস্টটি আলাদা ভাবে স্টিকি করা হতো। ফলে রেটিংয়ের ক্ষেত্রে যায়যায়দিন ব্লগারদের ক্ষমতা ছিল ব্যাপক! ;)

আস্তে আস্তে যায়যায়দিনের ব্লগাররা বিভিন্ন পত্রিকায় চলে গেলেন। ব্লগিংয়ের মিলিত উদ্যমে ভাটা পড়ায় প্রায় প্রত্যেকেই ব্লগিং থেকে পেশাগত কাজেই বেশি ব‌্যস্ত হয়ে পড়লেন। :(

সামহোয়ারইনের ব্লগারদের মধ্যে সম্প্রীতির একটি বাঁধনও এসময়ই মূলত গড়ে উঠে। ব্লগাররা একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতেন। পরস্পর পরস্পরকে চিনতে আগ্রহী হতেন। এখন সামহোয়ারইনে অসংখ্য ব্লগার। হয়তো অনেকেই ভীষণ মজা করে ব্লগিং করেন। কিন্তু আমি ও আমার সমসাময়িক অনেকেই এখন আর ব্লগিংয়ে মজা পান না। পাঠকের মৃত্যুর মত হয়তো অজান্তেই ব্লগারয়েরও মৃত্যু ঘটেছে... :(
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×