মানবিক হওয়ার অনুশীলন চাই
একসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে সহায়তার জন্য স্থানীয়ভাবে যুবকরা সংগঠিত হয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করতেন, বিতরণ করতেন দুর্গত মানুষদের মাঝে। শীতের দিনে, বন্যায়, ঝড়ে সব সময়েই এমন হতো।
এর ফলে যুবসমাজ অর্জন করতো মানবিক গুণাবলী আর সমাজের প্রতি পালন করতো এক বিশাল দায়িত্ব। এই তরুণরা অর্জন করতো মানুষের ভালবাসা।
কিন্তু কর্পোরেট কালচার এর যুগে- এখন এই সব মানবিক উদ্যোগও সিএসআর এর নামে হাইজাক করছে বড়- বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
এরা সাধারণের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে তার সাথে আরো কিছু যুক্ত করে হয়তো দরিদ্রদেরই দেবে। কিন্তু ক্ষতিটার কথা কেউ ভাবছে না।
এসব কারণে বর্তমানের যুবসমাজ মানবিক হয়ে ওঠার অনুশীলন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আর সাধারণের সাথে যুবসমাজের দায়িত্বশীল সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে না বরং বাড়ছে দুরত্ব। এটা আসলেই অনেক বড় ক্ষতি।
এমনিতেই প্রচলিত সিস্টেমে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কটি হয়ে উঠছে যান্ত্রিক। মানবিক জায়গায় কোনো চাষাবাদও হচ্ছে না-
সেখানে কর্পোরেট কালচারের প্রভাব সমাজকে কোথায় নিতে পারে?
সামাজিক দায়িত্বের ছদ্মাবরণে কর্পোরেশন গুলো ট্যাক্সের ক্ষেত্রে সুবিধা পায়, বাজারে বিনা কষ্টে সুনাম অর্জন করে আর বিনিয়োগ মুনাফা বৃদ্ধি করে- একথা কারো অজানা নয়। যত মানবিক বিজ্ঞাপনই হোক না কেন- সবটাই মুনাফা ( সেটা আর্থিক বা সামাজিক) অর্জনের উদ্দেশ্যে।
অতএব কর্পেোরেট কালচার এর প্রভাব থেকে বের হয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালনে অনুশীলন করার জন্য যুবসমাজের সুযোগটি পুনরুদ্ধার যৌথ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করি।