somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস (১ম পর্ব - পটভূমি)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নভেম্বর ১১, ১৯১৮ সকাল ১১ টা, গির্জার ঘন্টা অার বিউগলের সুরে ধ্বনিত হচ্ছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি। এর কিছুক্ষণ পূর্বেই কানাডিয়ান জর্জ লরেন্স প্রাইস যুদ্ধের শেষ নিহত যোদ্ধা তার প্রাণ ত্যাগ করেছেন। কিন্তু তার পূর্বেই ১৯১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে ১৮ মিলিয়ন বেসামরিক মানুষ তাদের জীবন হারিযেছেন, এর সাথে ১০ মিলিয়ন সৈনিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং ২০ মিলিয়ন আহত অথবা পঙ্গু হয়েছেন। কিসের জন্য অস্ট্রিয়া, সার্বিয়া, রাশিয়া, জার্মান, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইটালি, জাপান, তুর্কি, আমেরিকা এ যুদ্ধে জড়ালো তা জানতে সেসময়ের বাস্তবতা জানা প্রয়োজন। প্রায় অর্ধশতক আগে ইউরোপে শেষ বড় কোন যুদ্ধ হয়েছে। বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানী তাদের কলোনীগুলি থেকে লুন্ঠনের মাধ্যমে অঢেল সম্পদ গড়েছে। এর সাথে শিল্প-কারখানার অভূতপূর্ব উন্নয়নে ইউরোপ তখন অগ্রগতির চূড়ায়। কিন্তু ফ্রান্স বাদে বাকি দেশগুলি কিং, জার, কাইজার তথা রাজা শাসিত। সে সূত্রে সাম্রাজ্যবাদ তখনও বিদ্যমান এবং এর সাথে অঢেল পুঁজি এসকল রাজাদেরকে আরও সাহস যোগাচ্ছিল যুদ্ধের। এই সময় ব্রিটেনের রাজা ছিলেন পঞ্চম জর্জ।

পঞ্চম জর্জ

রাশিয়ার জার ছিলেন নিকোলাস ২। তিনি পঞ্চম জর্জের কাজিন ছিলেন।

নিকোলাস ২

ফ্রান্স তখন প্রেসিডেন্ট রেমন্ড পইন্কেরের শাসনাধীন।

রেমন্ড পইন্কের

জার্মানীতে শাসক উইলহেলম ২।


উইলহেলম ২

অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান শাসক ছিলেন ফ্রান্জ জোসেফ।

ফ্রান্জ জোসেফ

আমেরিকায় তখন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।

উড্রো উইলসন

বৃটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া পরস্পর মৈত্রী বন্ধনে যুক্ত। অন্যদিকে জার্মানী ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়া পরস্পর মৈত্রী বন্ধনে যুক্ত। আামেরিকা তখন আটলান্টিকের ওপারে নিজেদের সমৃদ্ধি নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু ইউরোপে তখন নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ত্বের প্রশ্নে সবাই মৌন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কিন্তু একটি ঘটনায় এই মৌন প্রতিযোগিতায় দাড়ি টেনে আরম্ভ করে সম্মুখ সমরের।

জুন ২৮, ১৯১৪ রবিবার অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার ফার্ডিনান্ড সারায়েভোতে শিকার হন ঘাতকের গুলির। আর তার ঘাতক বসনিয়ান গ্রাব্রিয়েলো প্রিন্সিপকে সার্বিয়া সহায়তা করে। এই ঘটনা থেকে বেজে উঠে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা। (চলবে)

ফার্ডিনান্ড

গ্রাব্রিয়েলো প্রিন্সিপ
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪২
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×