somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস (৫ম পর্ব-আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



৪র্থ পর্ব পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস (৪র্থপর্ব - ফ্রান্সের সফল প্রতিরোধ)

বৃটেন, ফ্রান্স ও বেলজিয়াম জার্মানীর কলোনীগুলোতে যৌথভাবে আক্রমণ শুরু করে। তারা জার্মানীর ৫টি আফ্রিকান কলোনী টোগো, ক্যামেরুন, রুয়ান্ডা, নামিবিয়া ও তানজেনিয়াতে একসাথে আক্রমণ করা শুরু করে। তাদের লক্ষ্য ছিল কলোনীগুলো দখলের মাধ্যমে জার্মানীতে কাঁচামাল ও যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া। জার্মানীও তার কলোনী গুলো রক্ষায় প্রাণপন প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশও হয়ে ওঠে যুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট।

অন্যদিকে এশিয়ায় জাপান তখন আর্থিক ও সামরিকভাবে দ্রুত উন্নয়ন করছে। বৃটেনের সফল দূতিয়ালীতে জাপান তাদের সাথে মিত্রতা ঘোষণা করে। এরই প্রেক্ষিতে জাপান চীনের পোর্ট অফ সিংতাও আক্রমণ করে যা চীনের উপকূলে জার্মানীর একটি এনক্লেভ। ৭ দিন ধরে জাপান আর্টিলারি শেলিং করে সিংতাও জার্মানদের দখল মুক্ত করে নিজেরা দখল করে। এরপর জাপান শুরু করে তার চীন দখলের অভিযান।

অন্যদিকে তখন প্রায় সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইস্তাম্বুল পর্যন্ত অটোম্যান সাম্রাজ্যের অধীন। তখন অটোম্যান সুলতান মেহমেদ ৫। কিন্তু দেশের প্রকৃত ক্ষমতা ও সৈন্য বাহিনীর নেতৃত্ত্ব ইয়ং টার্কিস নামক মুভমেন্টের হাতে যাদের নেতা আনোয়ার পাশা।


মেহমেদ ৫


আনোয়ার পাশা

আনোয়ার পাশা জার্মানীতে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন যার ফলে তার জার্মানীর ভাষা-সংস্কৃতির উপর দখল ছিল। অন্যদিকে জার্মানী কূটনৈতিকভাবে অটোম্যান তথা তুর্কি শাসকদের সমর্থন লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এইদুয়ের সম্মেলনে অটোম্যান সুলতান জার্মানীর সাথে মিত্রতা ঘোষণা করে এবং একই সাথে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আনোয়ার পাশা একে "হোলি ওয়ার" হিসেবে অভিহিত করে। অটোম্যানদের এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ জার্মানীর জন্য সুখবর বয়ে আনে। কারণ এতে করে দার্দানেলিস প্রণালী যা ভূ-মধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগরকে যুক্ত করেছে তার উপর মিত্র অটোম্যানদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও রাশিয়াকে ককেশাস ফ্রন্টে ব্যস্ত রাখা যাবে। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫১
২টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×