আবে হালায়, আগে নিজ দেশে পায়খানা বানা, পরে বাংলাদেশ দখলের কথা চিন্তা করিস
কিছুদিন আগে এক মার্কিন কূটনীতিক বলেছিলো, “ভারতীয়রা কচু-ঘেচু খায়, আর ধর্ষণ করে বেরায়”। তবে শুধু ধর্ষণ নয়, অতিরিক্ত কচুঘেচু খাওয়ার কারণে নিম্নবিত্ত ভারতীদের মস্তিষ্কে গোমাতার পবিত্র গোবর স্থান করে নিয়েছে, তা তাদের বিভিন্ন বক্তব্য শুনলে বোঝা যায়।
যেমন বিজেপি’র এক কেন্দ্রীয় মূর্খনেতা নাকি দাবি করে বসেছে, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নাকি তাদের চাই। আসলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এ ধরনের হাসির খোরাক হতে ভারত ছাড়া আমি অন্যকোন দেশকে দেখিনি।
সত্যি কথা বলতে যুদ্ধ করা তো অনেক পরের বিষয়, মৌলিক চাহিদা বলতে যেগুলো বোঝায়, সেই টয়লেটই তো নেই ভারতের। দেশটির জনসংখ্যা ১২০ কোটি হলে তার অর্ধেক অর্থ্যাৎ ৬০ কোটি লোক টয়লেট সুবিধা পায় না, ফলে যত্রতত্র পায়খানা করে বেরায় তারা। যার কারণে পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ তো বলেই ফেলেছে, “ভারতে মন্দিরের চেয়ে শৌচাগার বেশি জরুরী। (Click This Link)
শুধু কি টয়লেট সংকট, ভাত খেতে ভারতের মেয়েরা পেট পর্যন্ত ভাড়া দেয়, মানে পশ্চিমারা এসে তাদের পেটে টেস্টটউব বেবি পর্যন্ত স্থাপন করে। (Click This Link)।
আবার কেউ কেউ সংসার চালাতে নিজের মেয়ে-বউদেরকেও বিদেশীদের কাছে কন্ট্রাকে ভাড়া দেয়। (Click This Link)
আসলে যাদের ঘরে পায়খানা নেই, যারা দুবেলা দুমুঠো খেতে বউ-মেয়ে কিংবা পেট ভাড়া দেয়, তাদের কাছে অন্যদেশ দখলের চিন্তা করা আকাশ-কুসুম ভাবনা ছাড়া কিছু নয়।
আর যুদ্ধ করার ক্ষমতাও কি ভারতের আছে?? কিছুদিন আগে প্রকাশিত এই নিউজ দেখলেই বুঝবেন যেখানে বলা হয়েছে, “ গোলাবারুদ সংকটে ভারতীয় সেনাবাহিনী, যুদ্ধ লাগলে মাত্র ২০ দিনের বেশি যুদ্ধ করতে পারবে না তারা (সূত্র: Click This Link)।
তবে যে সকল ভারতীয় এখনও বাংলাদেশ দখলের স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে তাদের দুইটা ঘটনা মনে রেখে তারপর তা চিন্তা করা উচিত।
১) ১৯৬৫ সালে ভারত যখন ৪০০ ট্যাঙ্ক নিয়ে পাকিস্তান দখলের জন্য প্রবেশ করে তখন পাকিস্তানের তেমন যুদ্ধাস্ত্র ছিলো না। তবে সেই সময় ৪০০ ভারতীয় ট্যাঙ্কের জন্য ৪০০ জন মুসলমান দাড়িয়ে যায়, যারা প্রত্যেকে পেটে ডিনমাইট বেধে ভারতীয় ট্যাঙ্কের নিচে ঝাপিয়ে পড়ে, আর তাতেই নাজেহাল হয়ে ক্ষমা চেতে বাধ্য হয় ভারতীয় বাহিনী। উল্লেখ্য, সেই ৪০০ জন শহীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলো পূর্ব পাকিস্তানী বা বাংলাদেশী।(সুবহানাল্লাহ)
২) ১৯৭১ সালে যুদ্ধের নাম দিয়ে বাংলাদেশে একদল ভারতীয় সেনা ঢুকায় ইন্দিরা। লোক দেখানো উদ্দেশ্য ‘মুক্তিযুদ্ধে সহযোগীতা করা’ হলেও, মূল উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশে ভারতীয় সেনাদের স্থায়ী ঘাটি তৈরী । কিন্তু এখানেও বাংলাদেশীদের কাছে হার মানে ভারতীয়রা। বাংলাদেশে দামাল ছেলেরা যখন বুঝে ভারতীয় সেনাদের টার্গেট অন্যকিছু, তখন তারা ভারতে ঢুকে তাদের স্টেট ব্যাংক লুট করে আসে। এতে ভয় পেয়ে তাদের সেনা সরিয়ে নেয় ইন্দিরা, কারণ যে বাঙালী স্টেট ব্যাংক লুট করতে পারে, তারা চাইলে পুরো ভারতও দখল করতে পারে।
অনেকে বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনের কথা উঠতেই সিকিমের প্রসঙ্গ টেনে আনে, বলতে চায় ‘বাংলাদেশকে সিকিমের মত দখল করা হবে’।
তবে এখানে জেনে রাখা প্রয়োজন সিকিমের আয়তন মাত্র ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা মাত্র ৬ লক্ষের মত, যা বাংলাদেশের একটা জেলার সমান। উপরন্তু সিকিমের অধিকাংশ জনগণ হচ্ছে হিন্দু। কিন্তু সেই সামান্য সিকিমের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশে মত বিরাট একটা মুসলিম দেশ দখলেরর চিন্তা করা কি ঠিক??
তাই ঢাকাইয়া ভাষায় বললাম: “আবে হালায়! আগে হাগুর জন্য পায়খানা বানা, তারপর বাংলাদেশ দখলের কথা চিন্তা করিস।”
(ছবি: খোলা আকাশের নিচে পায়খানা করছে ভারতীয়রা)
(ফ্রম ফেসবুক)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



