somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিট থাকার হিট ডায়েট

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'সেডেন্টারি লাইফস্টাইল' ইংরেজি এই শব্দটি আজকাল শহরের বাসিন্দাদের জীবনের অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে। আর এর প্রভাব হল ওবেসিটি, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিসের মতো মারাত্মক রোগ। কিন্তু সুষম ডায়েটের মাধ্যমে এর মোকাবিলা সম্ভব।

সারাদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেয়ারে বসে কম্পিউটারের দিকে টানা তাকিয়ে থেকে কাজ করে যাওয়াই আজকের বহু মানুষের পেশাদার জীবনের অঙ্গ। তাই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় দশ ঘণ্টাই কাজের প্রয়োজনে চেয়ারের সঙ্গে আঠার মতো লেগে থেকে থেকে নুন্যতম শারীরিক পরিশ্রম করার উত্‍সাহটুকুও পাইনা আমরা। উল্টে দিন দিন বেড়ে চলে ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস। এর অবধারিত ফল ওবেসিটি ও আরও কত ছোট বড় রোগ। তবে জীবনযাপনে একটু বদল আনলেই আপনি এসবের হাত থেকে রেহাই পাবেন।

কিন্তু কীভাবে?
সেডেন্টারি লাইফস্টাইলে যারা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাদের জীবনযাপনের বদলের মূল অস্ত্রই হল প্রতিদিনের ডায়েট। কী খাবেন আর কোন খাবার এড়িয়ে চললেই ভালো এর একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার সবার আগে।
- ব্রেকফাস্ট কোনোমতেই স্কিপ করা চলবে না। তবে অনেকেই আছেন যাদেরকে সকাল আটটার মধ্যেই অফিস রওনা হতে হয়। বাড়ি ফিরবেন হয়তো সন্ধ্যে পার করে। তারা সকালে পেট ভরে ভাত খেতে পারেন। লাঞ্চে বরং হালকা কোনও স্ন্যাকস খান, যেমন: মুড়ি, চিঁড়ে ভাজা, দোসা, এমনকী টক দই, শসাও চলতে পারে৷ তবে চাউমিন, পরোটা, রোল এসব একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
- ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, সন্ধ্যার নাস্তা আর ডিনার- দিনের এই চারটে মিলের মাঝে মাঝেই কিছু না কিছু খান৷ কাজের ফাঁকে ফাঁকে চা খেতে পারেন।
- দুধ চিনি দিয়ে চা খাওয়ার অভ্যাস বদলে 'গ্রিন টি' খান। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার জন্য রোগ বালাই দুরে থাকবে। বয়সের ছাপও চট করে পড়বেনা। আর ব্যাগে রোস্টেড ছোলা বাদাম বা কোনও ফল রাখুন। কাজে মুখ চালাতে ইচ্ছে করলে এগুলো খান।
- মাঝরাত পর্যন্ত কাজ করতে করতে অনেকেরই খিদে পায়। তখন স্যালাড খেতে পারেন৷ খুব খিদে পেলে এক সঙ্গে এক স্লাইস পাউরুটিও চলতে পারে।
- দুপুরে অথবা রাতের খাবারের মেন্যুতে ভাত বা রুটির সঙ্গে ডাল, সবজি, ডিম অথবা চিকেন অথবা মাছের মতো প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকা জরুরি। তবে মাটনের জন্য মাসে একবার বরাদ্দ থাকা ভাল। নিরামিষাশী যারা তারা পনির ও দুধ খেতে পারেন।
- অনেকেরই দু বেলাই ভাত খান বা স্বাস্থ্যরক্ষা করতে গিয়ে ভাতের বদলে দুবেলাই রুটি খান। কিন্তু জানেন কি-আটায় গ্লুটেন জাতীয় প্রোটিন আছে যা খাবারকে তাড়াতাড়ি হজম করতে দেয়না। তাই সম্ভব হলে একবেলা ভাত ও একবেলা রুটি খান।
- প্রতিদিন একটা করে ফল খান। কাজের ফাঁকে যে কোনও একটা সময় আপেল, পেয়ারা বা মরশুমি কোনও ফল খাওয়া দরকার।

এড়িয়ে চলুন
ডিপ ফ্রায়েড ফুড, পিজা, বার্গার, চকোলেট, মিষ্টি, ঘি, মাখন, অতিরিক্ত নুন ও চিনি ইত্যাদি।

হালকা ব্যায়াম করুন
অনেকেই একথা শুনে প্রথমেই বলবেন সময় কোথায়। কিন্তু একটু ভেবে দেখবেন সময়ের অভাবটা তো অজুহাত মাত্র। ইচ্ছে থাকলেই হালকা শারীরিক ব্যায়ামের জন্য এক আধ ঘণ্টা সময় বার করা কোনও ব্যাপারই না। চাইলে আপনি সাঁতার, সাইক্লিং ইত্যাদির মতো স্পোর্টও বেছে নিতে পারেন। অফিসেও টানা বসে না থেকে মাঝে মাঝে হাত পা স্ট্রেচ করে নিতে পারেন। অফিস করিডরে একটু হেঁটেও আসতে পারেন। সকালে অফিসের তাড়া? তাহলে সন্ধ্যেয় হালকা নাস্তার একঘণ্টা পর একটু এক্সারসাইজ করে নিন। তা হতে পারে আপনার প্রিয় টিভি সিরিয়াল দেখতে দেখতেও।

নিয়মিত অভ্যাস করুন
- লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। বাড়িতেও এই অভ্যাস করুন। জানেন কি ৮০০ থেকে ১০০০ সিঁড়ি ভাঙলে তা আপনার প্রতিদিনের এক্সারসাইজের অনেকটাই হয়ে যাবে?
- বাড়ি থেকে কাছাকাছি কোথাও গেলে হেঁটেই যান।
- অফিসে বা বাড়িতে ছোট খাটো প্রয়োজনে কাজের লোকদের ফরমায়েশ না করে নিজেই করার চেষ্টা করুন।

এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে দেখবেন সিটিং ডিসঅর্ডারের অভিশাপ থেকে আপনি মুক্ত হয়ে গেছেন। নিজেকে একটু মোটিভেট করতে হবে এই যা।

পুষ্টি, ডায়েট ওসুস্থতা নিয়ে যে কোন পরামর্শের জন্য
ডায়েট প্লানেট
ঢাকা নবজাতক ও জেনারেল হাসপাতাল
(লালমাটিয়া মহিলা কলেজের বিপরীতে)
সি ব্লক, লালমাটিয়া, ঢাকা।
হটলাইন: 01782 182361
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×