somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প: আমাদের গল্প

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেয়েটা আমার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে ভালবাসি বলে চলে গেল! কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই মেয়েটি আবার পিছন ফিরে হাটা দিল! আমি শুধু তার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম! ইচ্ছা হচ্ছিল রাস্তাটাকে নাটাইয়ে পেঁচিয়ে মেয়েটিকে আমার কাছে নিয়ে আসি। কেমন এক অদৃশ্য বাধা আর শক্তি আমাকে নিজ স্থানে বসিয়ে রেখেছে! কিছু একটা বলতে যাবো কিন্তু সেটা মুখ ফুটে বের হচ্ছে না! কি আজব ব্যাপার তাই না? মেয়েটি ভালবাসি বলে গেল আমার উত্তরের অপেক্ষাই করল না! এমনি আবার চলে গেল! আমি নাবুঝ নির্বোধ নির্বাক হয়ে ঠায় দারিয়ে আছি! এগুলো কি আরও আগে হওয়া দরকার ছিল! এমনটা আগে কখনও হয় নি। হয়তো আগেও সে বুঝাতে চেয়েছে কিন্তু আমিই বুঝতে চাই নি!!!!!
.
লিজা আমাকে মোটেই সহ্য করতে পারে না। কেন পারে না তা আমি কখনও বলি নি বা এই ধরনের কোন প্রসঙ্গও আমি ওর সামনে তুলি নি। রুপে গুণে লিজা কোন অংশে কম না! অপূর্ব রূপবতী মেয়ে সে। লেখাপড়ায় ভাল, সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও পারফেক্ট! কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান লিজার গান গাওয়া ব্যতীত হয় নি! আমার মত সবাই লিজার ওর কতবার ক্রাশড সে হিসাব কেউ রাখে না। প্রতিদিন একটু করে নতুন নতুন ভাবে ক্রাশ খায় সবাই! আমিও অনেকবার... না না অনেকবার না প্রত্যেকবার নতুন করে মুগ্ধ হই। তবে লিজার প্রতি আমার মুগ্ধতা গোপনে গোপনে! আড়ালে দারিয়ে বা দুর থেকে দেখেই খুশি হতাম। অবশ্য আমার মত সকল ছেলেরাই এমনটা করবে। যারা অল্প বয়সে প্রেম ভালবাসাকে খুব সিরিয়াসলি নেয় তাদের পক্ষে এইভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে নিজের ভালবাসার মানুষ দেখার মজাই আলাদা। লিজার প্রতি মুগ্ধতা কারো সাথে শেয়ার দরকার। কিন্তু আমি খুব ভীতু টাইপের ছেলে। যে ঘটনাই শেয়ার করি সেটা যেন কারও কাছে ফাঁস না হয় সেই চিন্তাই বেশি করি! আর শুধুমাত্র জান্নাতের সাথে এসব ঘটনা শেয়ার করে টেনশন ফ্রি থাকা যায়। আজকের ঘটনাও জান্নাতকে জানাতে হবে। জান্নাতকে খুঁজতে সোজা ক্লাসরুম বরাবর হাটা দিলাম। আমি জানি বাসা ব্যতীত জান্নাত দুই জায়গায় থাকবে! এক ক্লাসে, দুই লাইব্রেরীতে। ক্লাসের দিকে যেতেই দেখি জান্নাত ক্লাসরুম থেকে বের হল। "শোন, আমি এখন লাইব্রেরীর দিকে যাচ্ছি যদি কিছু বলার থাকে তাহলে লাইব্রেরী পৌঁছানোর আগেই বল।" কিছু বলার আগেই মেয়েটা পথ মেপে দিল! মেয়েটা কিভাবে বুঝে যায় যে আমি তাকে কিছু বলতে চাচ্ছি! আজব মেয়ে! "আচ্ছা থাক পরে বলবো, তুই লাইব্রেরীতে যা।" এছাড়া আমার কিছু বলার নেই। ওর সাথে ক্লাসের অন্যান্য মেয়েরাও ছিল! তাদের সাথে আমার তেমন ওঠাবসা নেই। তাই এই মুহূর্তে জান্নাতের সাথে যে কোন ছেলে/মেয়ের সঙ্গ আমার কাছে কাম্য নয়। এরচেয়ে ওর জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। বিশাল ক্যাম্পাসের ওয়াজেদ ভবনের সামনে বসে বাদাম চিবাতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে পিছনে কয়েকটা মেয়ের কোলাহল শুনতে পেলাম। আমি সেদিকে তোয়াক্কা না করে বাদাম চিবাতে ব্যস্ত হয়ে পরলাম। দুইহালি সংখ্যক মেয়ে আমার কিছুটা দুরে গোল হয়ে বসে পরলো। তাদের দিকে তাকিয়ে দেখি লিজাও উপস্থিত! তাও আবার আমার মুখোমুখি! এপর্যন্ত লিজা আমাকে দেখতে পায় নি। দেখতে পেলে নিশ্চিত দল নিয়ে অন্যদিকে চলে যেত। লিজা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলি। পুরো নাম আমার জানা নেই। শুধু জানি ওর বন্ধু বান্ধবীরা সবাই লিজা নামে ডাকে। একই ভার্সিটি ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট। সে ইনভায়রনমেন্ট সায়েন্স এর শিক্ষার্থী। আমি কম্পিউটার সায়েন্সের। লিজা দেখতে দারুন সুন্দর ছিল! হাজার ভীড়ের মাঝেও যাকে এক নজরে চেনা যাবে এমন রূপবতী ছিল সে। ওর ডিপার্টমেন্টের সিনিয়ররাই ওর সাথে কথা বলার সুযোগ পায় না আর আমি তো অন্য ডেপ্টের! আরও সেম এজ!! মনের মিলন হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি জানি লিজাকে মনের কথা বলার কোন সুযোগ আমি পাবো না। আমার দ্বারা ভালবাসি বলা হবে না। ভীতু ছেলে বলে কথা। লিজার বান্ধবীরা গান গাওয়া শুরু করলো। দুই একটা গান গেয়ে লিজাকে গান গাইতে বললো! লিজার যে দিকটা আমার ভাল লাগে না তা হল কেউ যদি লিজাকে আকুতি মিনতি না করে তাহলে সে কোন সারা দেয় না। যেমন এখন, সবাই তাকে গান ধরতে বলছে কিন্তু মহারাণী গান ধরতে চাইছেন না! ও জানে ওকে গান ধরতে হবে তবুও বারবার রিকুয়েস্ট না পাওয়া পর্যন্ত সে গান ধরবে না! অবশেষে, অনেক জোড়াজুড়িতে লিজা গাওয়া আরম্ভ করলো,
"ভালোবাসি ভালোবাসি
এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে
বাজায়.....
বাজায় বাঁশি,
ভালোবাসি ভালোবাসি
আকাশে কার বুকের মাঝে ব্যথা
বাজে
দিগন্তে কার কালো আঁখি
আঁখির জলে যায় ভাসি
ভালোবাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি
.
সেই সূরে সাগর কূলে বাঁধন খুলে
অতল রোদন উঠে দুলে
সেই সূরে সাগর কূলে বাঁধন খুলে
অতল রোদন উঠে দুলে
সেই সুরে বাজে মনে অকারনে
ভুলে যাওয়া গানের বাণী
ভোলা দিনের কাঁদন.....
কাঁদন হাসি,
ভালোবাসি ভালোবাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি!!
এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে
বাজায়...
বাজায় বাঁশি,
ভালোবাসি ভালোবাসি ....."
আশেপাশের করতালিতে আমার ধ্যান ভাঙলো! লিজার গানে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছিলাম! ওর কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত এই প্রথম শুনলাম। খুবই সুন্দর করে গাইলো লিজা! এখনও আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি! হঠাৎ লিজা খেয়াল করলো আমি ওর মুখোমুখি বসে আছি। মুহূর্তেই ওর হাসি বাতাসে মিশে গেল! আমিও খেয়াল করলাম ব্যাপারটা! অন্যান্য সময় লিজা উঠে যেত কিন্তু এখন ওর হাসির জন্য আমি উঠে গেলাম! কিছুদুর গিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখি লিজা আমার দিকে তাকিয়ে ছিল! কি কারণে আমি সেখানে আর থাকলাম না। হাটতে হাটতে ক্যাম্পাসের বাইরে এসে পরেছি! এই কিছুক্ষণের মধ্যে জান্নাতের কথা ভুলে গেলাম! আবার লাইব্রেরীর দিকে হাটা শুরু করলাম। জান্নাত কি এতক্ষণ থাকবে সেখানে? ভাবতে লাগলাম।
.
লাইব্রেরীতে পৌঁছে দেখি জান্নাত বই পড়ায় মগ্ন! কিছুক্ষণের মধ্যে জান্নাত বের হল। "কিছু বলবি?" "হুম, আজকের ঘটনা শেয়ার করা দরকার তোর সাথে না হলে আমি স্বস্তি পাচ্ছি না!" হাটতে হাটতে জান্নাতকে আজকের সব ঘটনা বলে দিলাম। "পিছনে লেগে থাক, একসময় আশার আলো দেখতে পাবি।" "অনেকদিন হল লেগে আছি কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।" জান্নাত কিছুই বলছে না। চুপচাপ আছে! "কি রে কি হল তোর?" "হা... ও কিছু না... আচ্ছা থাক, আমি যাই। কাল দেখা হবে।" এই বলে জান্নাত বাসে উঠে পরলো! এদিকে লিজার আচার আচরণে ইদানিং অনেক পরিবর্তন হয়েছে! এখন আমাকে দেখলে আগের মত বিরক্ত হয় না। মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিত যা আমার হৃদয়টায় খুব ধারালো মিষ্টি আঘাত করে গেঁথে যায়! আবার মাঝে মাঝে চোখে চোখ পরলে লজ্জা পেয়ে অন্যদিকে চলে যায়! জীবনের সময়টা কেমন যেন সিনেমার মত কেটে যাচ্ছে! হুম, এটাই মনের কথা বলার উপযুক্ত সময়! আমি নিশ্চিত এখন প্রপোজ করলেই লিজা রাজি হয়ে যাবে! সময়ের কাজ সময়ে না করলে পরিবর্তিতে খুব বড়ভাবে পস্তাতে হয়। কালই আমি প্রপোজ করবো! যা হয় হবে.....!
পরেরদিন,
বুকে অনেকখানি সাহস নিয়ে আজ প্রথম নিজের ডিপার্টমেন্ট বাদে অন্য কারও ডিপের দিকে যাচ্ছি! দেখা যাক আমার লাক আমাকে কতটুকু সহায়তা করে! সিড়ি দিয়ে উঠতে মনে হচ্ছে আমি এভারেস্টে উঠছি! হাত পাঁ কাপতে শুরু করলো! তখন লিজার ক্লাসের সামনে দেখি দুইজন সিনিয়র ছেলের সাথে লিজা হেসে হেসে কথা বলছে! এটা দেখে আমার সকল ভিতরের রবিনহুড নিঃশব্দে বেড়িয়ে গেল আর আমি ধরফর করে ওদের ভবন ছেড়ে বেরিয়ে একেবারে ওয়াজেদ ভবনের নিচে চলে এলাম! এভাবে সাহস ফুরিয়ে গেলে জীবনে একটা মেয়েও কপালে জুটবে না! আচ্ছা বাদ দেই! লিজা বের হলেই ওকে প্রপোজ করবো। আমি কিছুটা সামনে এগিয়ে লিজার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। ঠিক দেড় ঘন্টা পর লিজা বের হল! এই দেড়ঘন্টা সময়ে আমি প্রপোজ করার জন্য কি কি বলবো তা সাজিয়ে নিচ্ছিলাম! লিজাকে দেখে আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে! হঠাৎ দেখি ও আমার দিকে এগিয়ে আসছে! কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমা হয়ে গেল! আমার সামনে দারিয়ে বললো, "কি ব্যাপার? প্রতিদিন আমার অপেক্ষায় এখানে দারিয়ে থাকো কেন? আর এমন ভ্যাবলার মত তাকিয়ে থাকো কেন?" আমি লিজার প্রশ্নের একটা উত্তরও দিতে পারছি না! গলা দিয়ে কোন আওয়াজই বের হচ্ছে না! "ওই হ্যালো, চুপ করে আছো কেন?" খানিকক্ষণ পর বললো, "আমাকে ভালবাসো?" ওর প্রতিটা কথায় আমার পায়ের ভারসাম্য কমে যাচ্ছিল! কি উত্তর দেব বুঝতেই পারছি না! লিজা তুরি মেরে আবার জিজ্ঞেস করলো, "ওই, কি হল?" "আই লাভ ইউ লিজা! আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি!" "তো আমি কি করবো?" আমি আবার ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম! সাহস করে বললাম, "যা ইচ্ছা করতে পারো। চড়, থাপ্পড় বা অপমান! আর যদি ভালবেসে থাক তবে একটু হাসিতে জানিয়ে দিও!" লিজা কিছুক্ষণ চুপ থেকে একটু হাসি দিয়ে আমার মাথায় হাত রেখে চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে গেল! ব্যস, এই হাসিতেই আমিত কুপোকাত! শীতকালও এখন বসন্ত মনে হয়!
.
ইদানিং জান্নাত আমাকে এড়িয়ে চলছে! বিষয়টা একটু একটু করে আমি বুঝতে পারছি। কি এমন হয়েছে যে আমাকে এভাবে এভোয়েট করছে জান্নাত। গত মাস তিনেক হল ওর সাথে আমার কোন প্রকার ঝগড়া বা আমি এমন কিছু বলি নি যাতে জান্নাত আমাকে এভাবে এভোয়েট করবে! মাঝে একসময় বলেছিল ওকে কোন এক ছেলে প্রপোজ করেছিল! হয়তো এখন জান্নাত ওর সাথে প্রেম করে যাচ্ছে আর ওই ছেলেটি হয়তো বলেছে অন্যসব ছেলেদের থেকে দুরে থাকতে! না না... এমন হবে না। জান্নাতের কিছু একটা হয়েছে যা আমাকে বলছে না! এভাবে ওকে ছেড়ে দেয়া যাবে না। আমি সব সহ্য করতে পারি কিন্তু অবহেলা একদমই সহ্য করতে পারি না। এভাবে কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে গেল কিন্তু জান্নাতের ভাবমূর্তি আগের মতই! কথাই বলতে চাচ্ছে না আমার সাথে! ক্লাসের পর সেদিন শক্ত করে ধরলাম ওকে! "আমাকে যেতে দে, বাসায় অনেক কাজ পরে আছে!" কিন্তু আজ আমি যেতে দিচ্ছি না! পথ আগলে দারালাম! "কি হয়েছে তোর? এমনভাবে অবহেলা করছিস কেন? আর হঠাৎ এত চুপচাপ হয়ে গেলি কেন?" জান্নাত আমার কোন কথার উত্তর দিচ্ছে না! শেষমেশ সিনেমার ডায়ালগ ঝারলাম, "তোকে আমার কসম, বল তোর কি হয়েছে? আমার এত চঞ্চল বন্ধু হঠাৎ চুপচাপ কেন?" না.... জান্নাত কথার উত্তর দিল না! আরও আমার দিকে রেগে তাকিয়ে চলে গেল! আজিব মেয়ে তো!!! আমারও মেজাজ পুরাদমে খারাপ হয়ে গেল! "ঠিক আছে, আমিও তোর সাথে কথা বলবো না।" কিন্তু আমার মনের কথাগুলা কার সাথে শেয়ার করবো! ভাবনা নেই, লিজা তো আছেই! ওরসাথেই শেয়ার করবো!
.
লিজার ডিপার্টমেন্টের সামনে দারিয়ে আছি। অপেক্ষা করছি ওর জন্য! কখন আসবে তাও জানি না। কারণ ওর ফোন নাম্বারটাও আমার কাছে নাই! কেমন প্রেম ভালবাসা করি যে প্রেমিকার ফোন নাম্বারটাই নিতে পারলাম না! বিশাল লজ্জার বিষয়!
লিজা আসলো। এরপর একসাথে হাটা শুরু করলাম। কিন্তু আজ ওর সাথে নিজেকে খুব আনইজি ফিল করছি! সবাই বলে প্রেমে পরলে সবসময় ভিতরে এক প্রকার অজানা অনুভূতি কাজ করে কিন্তু লিজা আমার পাশে হাটছে কিন্তু ওর প্রতি আমার কোন ফিলিংস কাজ করছে না! ব্যাপারটা আমাকে খুব চিন্তার মাঝে মগ্ন করে দিয়েছে! এদিকে আমি লিজাকে ভালবাসি! কিন্তু কি হচ্ছে আমার মাঝে! আমি চেষ্টা করলাম নিজেকে লিজার সাথে মানিয়ে নিতে কিন্তু অতটা পারছি না যতটা পারা উচিৎ! হালকা আলাপচারীতা হচ্ছে আমাদের মাঝে!। তখনই মনে পরলো লিজার ফোন নাম্বারের কথা! কোন প্রকার জড়তা না রেখে নাম্বার চাইলাম লিজার কাছে। লিজাও বেশ ভালভাবে নাম্বারটা দিয়ে দিল। এরপর থেকে নিয়মিত লিজার খোঁজখবর রাখা শুরু করলাম। খেয়েছো কিনা, কেমন আছো, কি করছো ইত্যাদি। এক সময় ওর সাথে আমার সবকথা শেয়ার করতে থাকি! আমার ইচ্ছা, চাওয়া পাওয়াসহ প্রায় সবকিছু শেয়ার করা করলাম। কিন্তু লিজা আমার ইচ্ছা, চাওয়া-পাওয়ার কথা শুনে সেগুলো হেসে উড়িয়ে দেয়! আমার ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠতো ওর এমন ব্যবহারে! ধীরে ধীরে ওকে শাসন করাও কমিয়ে দেই! লিজার এমন খাপছাড়া ব্যবহারে ধীরে ধীরে আমি অনেক কিছু শিখতে পারি যা আমার অনেক আগেই শিক্ষা নেয়া উচিৎ ছিল! ইদানিং লিজা আরেকটা ছেলের সাথে ঘুরে বেড়ায়! প্রথম প্রথম স্বাভাবিকভাবেই নিতাম কিন্তু এখন আর সম্ভব হচ্ছে না! লিজাকে সরাসরি প্রশ্ন করলাম, "এসব কি? ওই ছেলেটা কে? ওর সাথে এত কথা বল কেন?" লিজা রেগে গিয়ে বললো, "আচ্ছা আমি কি করি না করি তাতে তোমার কি? আমার লাইফে তুমি আমাকে শাসন বারণ করার কে? আমার যা ইচ্ছা আমি করবো তাতে তোমার কি?" আসলেই তো আমার কি!! একয়েকদিনে আমি বুঝেছি লিজাকে ভালোবাসা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি শুধু ওর রুপ দেখে ওকে পছন্দ করেছি! সেই পছন্দটাকেই আমি জোর করে ভালবাসায় পরিণত করতে চেয়েছি!
.
জান্নাতকেও সেই আগের মতই দেখছি! চুপচাপ বসে থাকে বাচ্চা মেয়ের মত! ওকে দেখলে মনে হয় নার্সারি কেজির বাচ্চা মেয়ে ক্লাসে চুপচাপ বসে আছে! নতুন স্কুলে ভর্তি হয়েছে তাই এখানের কাউকে সে চেনা না! ওর এমন নিরবতা আমাকে খুব চিন্তিত করে তুলছে! "কি হয়েছে ওর?" এই প্রশ্নটা বারবার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিকে সামনে সেমিস্টার পরীক্ষা! কিছু এসাইনমেন্ট বাকি আছে। আমার সকল এসাইনমেন্টে জান্নাত হেল্প করতো। কিন্তু এসব একা নিজের পক্ষে করা অনেকটা কঠিন হয়ে দারিয়েছে! বাসায় বসে প্রজেক্ট করতেও মন বসে না। আর ফলাফল তিনটা প্রজেক্ট জমা দিতে পারি নি! টেনশনে চোখ মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে! প্রজেক্টগুলো জন্য স্যারদের হাতে পায়ে ধরলে হয়তো নিয়ে নিতে পারে কিন্তু তারপরও আমি ভিতরে ভিতরে খুব আতংকিত হয়ে যাচ্ছি! জান্নাতের কি অবস্থা কে জানে!
এরপর পরীক্ষা চলে আসলো। আমার পাশের বেঞ্চে জান্নাতের সিট এবং জান্নাতের সামনে লিজার সিট! জান্নাত মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকাতো! আর আমি জান্নাতের দিকে তাকালেই ও চোখ সরিয়ে নিত! পরীক্ষার মাঝে লিজার সাথে অল্প স্বল্প কথাবার্তা হয়েছে। হাই, হ্যালো, কেমন আছো এতটুকুর মাঝেই সীমাবদ্ধ! লিজাও আমার সাথে কথাবার্তায় বেশি একটা ফ্রি ফিল করতো না! এভাবে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল আর ধিরে ধিরে রেজাল্টের দিন ঘনিয়ে আসছে! পরীক্ষার রেজাল্টের দিন আমি খুব খুশি! আমি অল্পের জন্য পাশ করে গেছি! আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল লিজা আমার রেজাল্ট জানার জন্য আসলো না এমনকি একটা কলও দিল না! আমি ওর রেজাল্ট জানার জন্য কল করলাম কিন্তু সে রিসিভ করলো না! আমিও আর জানার প্রয়োজন মনে করলাম না। হঠাৎ মনে পরলো জান্নাতের কথা! তাকে তো আশেপাশে কোথাও দেখছি না! জান্নাতকে কল করলাম কিন্তু ফোন বন্ধ করে রেখেছে! রেজাল্ট লিস্টে জান্নাতের রোল খুঁজতে লাগলাম। সব লিস্ট চেক করলাম কিন্তু জান্নাতের রোল পেলাম না! তার মানে জান্নাত ফেল! মাথাটা ঘুরছে ওর ফেইলের রেজাল্টে! সেমিস্টার ড্রপ! আমি ওর পরিবারকে চিনি। এক সেমিস্টার ড্রপ দেয়ার কথাটা আগামী একশো বছর ওকে খোটা দিয়ে বেড়াবে! ওর পরিবার ওকে পড়ালেখা করতে দিতে রাজি না। পরিবারের কাছে এক প্রকারের বোঝা সে! আমি না হয় ভার্সিটি পাশ করে সামনের বছর বের হয়ে চাকরি বাকরি করবো। কিন্তু তখন জান্নাতের কি হবে! ক্যাম্পাসের এদিক সেদিক জান্নাতকে খুজে বেড়াচ্ছি! কিন্তু পাচ্ছি না! বিশাল ক্যাম্পাসের সকল এলাকা পায়ে হেটে খোজা সম্ভব নয়। তাই পরিচিত এক ছোট ভাইয়ের সাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসের সম্ভাব্য সকল স্থান খুজতে লাগলাম। কিন্তু ওকে পাচ্ছি না! এভাবে তিন চারদিন পার হয়ে গেল! জান্নাতের কোন হদিস পাই নি। আর ওর বাসায় যাওয়ার মত সাহস নেই আমার! এভাবে কেটে গেল আরও কয়েক সপ্তাহ! আমি জান্নাতকে ক্যাম্পাসে দেখতে পাই নি!
.
হঠাৎ একদিন জান্নাতকে দেখতে পাই লোকাল বাসে! আমাকে দেখেই চমকে ওঠে সে! আমি বাসে ওঠার পরপরই জান্নাত নেমে পরে! লোকাল বাসের ভীড় ঠেলে আমার নামতে নামতে একটু দেরি হয়ে গেল! চোখের দৃষ্টিসীমায় জান্নাতকে এখনও দেখতে পাচ্ছি। ওর পিছু পিছু চলতে থাকি। দ্রুত পায়ে হেটে জান্নাতের কাছে গেলাম। এরপর থামালাম ওকে। হাপাতে হাপাতে বললাম, "যা বলবো তাই শুনবি, এখন চল আমার সাথে...." অনেকটা জোড়াজুড়ি করার পর ওকে নিয়ে একটা নিরিবিলি জায়গায় বসলাম। আগের চেয়ে অনেক শুকিয়ে গেছে মেয়েটা! "আমি বাসা ছেড়ে দিয়েছি। বর্তমানে ছোট খাটো একটা এনজিওর চাকরি করছি!" আমি রেগে গিয়ে বললাম, "বাসা ছেড়ে দিয়েছিস মানে? আর এনজিও তে চাকরি করছিস কেন? আর ক্লাসে আসিস না যে?" জান্নাত কিছুটা ক্ষেপে গিয়ে বললো, "তুই কি আমার বাসার অবস্থা জানিস না? ওই নরকে থাকার চেয়ে রাস্তায় থাকা ভাল।" "তুই এত কষ্ট করছিস আর এত ঝড়ঝাপটা বয়ে যাচ্ছে আমাকে জানালে কি আকাশ ভেঙে পরতো?" জান্নাত কিছু বলছে না। চুপ করে আছে। "শোন, এই সেমিস্টার ড্রপ গেছে কিন্তু লাইফ ড্রপ যায় নি! তোকে সামনের সেমিস্টার দিতে হবে এবং ভাল করতে হবে। আগে যেমন ছিল তেমন হতে হবে!"
এরপর জান্নাতকে সবরকমভাবে আমি সাপোর্ট করতে থাকি! অনেক বলে একটা ম্যাগাজিনে জান্নাতের ব্যবস্থা করি! এরপর থেকে আমাদের দিনকাল একদম পাল্টে গেল! প্রতিদিন বিকেল বেলা আমরা একসাথে হাটি। হাসি আড্ডায় সময় কাটিয়ে দেই! জান্নাতের সাথে কাটানো দিনগুলোকে আমি কোনদিনও ভুলতে পারবো না! লিজা আমার সাথে যোগাযোগ রাখে না এটা নিয়ে আমার কোন দুঃখ নেই! জান্নাত ওর কথার জাদু দিয়ে আমার দুঃখ গুলো নিমেষেই দুর করে দিত! আর আমার সকল জমানো ইচ্ছে গুলো জান্নাতকে বলতাম আর জান্নাত সেগুলা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতো!
.
আমি ভার্সিটি থেকে ভাল ডিগ্রি অর্জন করি। এখন চাকরি নেয়ার পালা। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পদে চাকরির ইন্টার্ভিউ দেই কিন্তু সবখানেই কয়েক পয়েন্টের জন্য টিকতে পারি না! ইন্টার্ভিউ এর জন্য জান্নাত আমাকে নানা ভাবে সাহায্য করছে! এই যেমন আগামীকাল যে ইন্টার্ভিউ দিতে যাবো সেজন্য আজ জান্নাত আমাকে বললো, "আচ্ছা, কিছুক্ষণের জন্য ভেবে নে তুই আমার অফিসে চাকরির জন্য এসেছিস আর ভাইবাবোর্ডে আমি বসে আছি! এখন আমি যা বলবো তার উত্তর দিতে হবে!" "আচ্ছা, ঠিক আছে।" "আরেকটা কথা, কথাবার্তা খুব স্পষ্ট এবং সুমিষ্ট ভাষায় বলবি আর অতিরিক্ত কোন কথা বলবি না!"
আমি ঠিক সেইভাবে আছি যেভাবে ভাইবাবোর্ডে থাকি। জান্নাত প্রশ্ন করতে শুরু করলো,
"সো মিস্টার বাইজীদ, আপনার কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ? ফ্যামিলি নাকি জব?"
আমি সোজা উত্তর দিলাম, "ফ্যামিলি!"
"তাহলে আপনি চাকরি করতে এসেছেন কেন?"
আমি এর উত্তর খুজে পাচ্ছি না! জান্নাতের সামনেই এই অবস্থা আর ভাইবাবোর্ডে কি হবে তাহলে! জান্নাত আবারও বললো, "উই ডোন্ট হ্যাভ অল ডে... প্লিজ টেল আস।"
কিছুটা সময় নিয়ে বললাম, "আমি আপনাদের এখানে চাকরি না করলেও আমার সমস্যা হবে না। আর আমি নিজেই আমার ফার্ম খুলতে পারবো। তাই আমার আপনার প্রতিষ্ঠানের বা অন্য প্রতিষ্ঠানের চাকরির জন্য আমার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হবে না! আর আমি যা কিছু করছি এবং করবো তা আমার ফ্যামিলির জন্য! সো ফ্যামিলি কামস ফার্স্ট!"
জান্নাত আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো! তারপর বললো, "ঠিক আছে এভাবেই বলিস। ইনশাআল্লাহ চাকরি হয়ে যাবে! বেস্ট অফ লাক!"
কেমন যেন আজ জান্নাতকে দেখে আমার খুব ভাল লাগছে! ওর স্নিগ্ধতা, হাসি, রাগ, অভিমান, শাসন সবই আমার খুব ভাল লাগছে! এক নজরে তাকিয়ে আছি ওর দিকে! পৃথিবীর সকল মায়া আর আজ জান্নাতের রূপের কাছে এসে ধরা দিয়েছে! এমন জান্নাত মেয়েটা আমার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে ভালবাসি বলে চলে গেল! কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই মেয়েটি আবার পিছন ফিরে হাটা দিল! আমি শুধু তার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম! ইচ্ছা হচ্ছিল রাস্তাটাকে নাটাইয়ে পেঁচিয়ে মেয়েটিকে আমার কাছে নিয়ে আসি। কেমন এক অদৃশ্য বাধা আর শক্তি আমাকে নিজ স্থানে বসিয়ে রেখেছে! কিছু একটা বলতে যাবো কিন্তু সেটা মুখ ফুটে বের হচ্ছে না! কি আজব ব্যাপার তাই না? মেয়েটি ভালবাসি বলে গেল আমার উত্তরের অপেক্ষাই করল না! এমনি আবার চলে গেল! আমি নাবুঝ নির্বোধ নির্বাক হয়ে ঠায় দারিয়ে আছি! এগুলো কি আরও আগে হওয়া দরকার ছিল! এমনটা আগে কখনও হয় নি। হয়তো আগেও সে বুঝাতে চেয়েছে কিন্তু আমিই বুঝতে চাই নি!!!!! ভাবতে ভাবতে দেখি জান্নাত চলে গেছে! ওর ছায়াও দেখতে পাচ্ছি না! কিন্তু আমার উত্তরটা যে ওকে জানানো হল না!
.
ইন্টার্ভিউ দিয়ে জান্নাতের সাথে এখন দেখা করতে যাচ্ছি! লোকাল বাসে আছি। বাসের শত ভীড় আর শহরের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিকে আজ আমার কোন ক্লান্তি বা কোন বিরক্তি মনে হচ্ছে না। ফোনের নেট কানেকশন চালু করার সাথে সাথেই ওয়াটস অ্যাপ থেকে নোটিফিকেশন আসলো! জান্নাত একটা ভয়েস পাঠিয়েছে! আমি যেখানেই যাই সাথে ইয়ারফোনটা নিয়েই যাই! তাই এখন ব্যাগ থেকে ইয়ারফোন বের করে শুনতে থাকলাম!
"ভালোবাসি ভালোবাসি
এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে
বাজায়.....
বাজায় বাঁশি,
ভালোবাসি ভালোবাসি
আকাশে কার বুকের মাঝে ব্যথা
বাজে
দিগন্তে কার কালো আঁখি
আঁখির জলে যায় ভাসি
ভালোবাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি
.
সেই সূরে সাগর কূলে বাঁধন খুলে
অতল রোদন উঠে দুলে
সেই সূরে সাগর কূলে বাঁধন খুলে
অতল রোদন উঠে দুলে
সেই সুরে বাজে মনে অকারনে
ভুলে যাওয়া গানের বাণী
ভোলা দিনের কাঁদন.....
কাঁদন হাসি,
ভালোবাসি ভালোবাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি!!
এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে
বাজায়...
বাজায় বাঁশি,
ভালোবাসি ভালোবাসি ....."
এতো লিজার চেয়েও মধুর কণ্ঠ! আমি ভাবতেই পারি নি জান্নাতও গান গাইতে পারে! তাও আবার এত ভালবাসা দিয়ে! কি কারণে আজ আমার চোখ দিয়ে অশ্রু বের হল! আশেপাশের মানুষজন দেখার আগেই চোখ মুছে বাস থেকে নেমে গেলাম! ছোট একটা ফুলের তোড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছি জান্নাতের জন্য। আমি জানি উপহারটা ছোট হলেও আমার জান্নাতের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাগাজিন অফিস থেকে জান্নাতকে নিয়ে লাঞ্চ করার জন্য গেলাম। সোজা কথায় বললাম, "শোন, তোকে আর চাকরি করতে হবে না! আজ থেকে তোর সব দায়িত্ব আমার।"
"তোর কি চাকরি হয়েছে?"
"তোর ইন্টার্ভিউয়ে যখন পাশ করে গেলাম তাদের ইন্টার্ভিউ ভাল না হয়ে পারে? হুম, চাকরি হয়েছে। সবার আগে আম্মু আব্বুকে জানিয়েছি! তারপর তুই। আর খুব শীঘ্রই আম্মু আব্বুকে আমাদের ব্যাপারে জানাবো!"
.
আজ আমার সবচেয়ে বেশি খুশির দিন! কারণ আমার পাগলীটার গ্রাজুয়েশন কম্পলিট! আমার নামের আগে যেমন ইঞ্জিনিয়ার আছে পাগলীটারও তাই! এখন তাকে ইঞ্জিনিয়ার পাগলী বলে ডাকি! আরও খুশির কথা হল জান্নাতের পরিবার জান্নাতকে আপন করে নিয়েছে! বংশের প্রথম ইঞ্জিনিয়ার সে! কতদিন দুরে রাখবে তারা! সাথে উভয় পরিবার আমাদের সম্পর্কও মেনে নিয়েছে আর বিয়ের দিন তারিখও ঠিক করেছেন! মনে হচ্ছে আজ পৃথিবীর সকল সুখ শুধু মিস্টার আর মিসেস ইঞ্জিনিয়ারের দুয়ারে এসে জমা হয়েছে! একটা জীবনে এরচেয়ে আর সুখের ছোয়া কি হতে পারে! এখন বাকিটা পথও এভাবে কাটাতে পারলেই চলবে।
.
.
লেখা: Dorponer Protibimbo
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×