somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প: "ক্যালিবার"

২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
১ম পর্ব





"ময়নাল, উঠছিস ঘুম থেকে?"
কোন সারা শব্দ পাচ্ছি না ওর! বিছানা ছেড়ে গেলাম ময়নালের রুমে। গিয়ে দেখি রুমে ময়নাল নেই! ওহ আমিই ভুলে গেছি! ময়নাল নেই, কোথায় আছে সেটাও জানি নাহ। গত সপ্তাহে ওকে অপহরণ করা হয়েছে। কে করেছে, কেন করেছে কিছুই জানা নেই। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওকে ডাকার জন্য আসি, সেই অভ্যাস এখনও রয়ে গেছে। প্রতিদিন সকালে উঠে বা ক্যাম্প থেকে ফেরার পথে আমি বারবার ভাবি ময়নাল বাসায় আছে কিন্তু প্রতিবারই আমি ঘর খালি দেখি! আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে অপহরণকারী এখন পর্যন্ত কোনো মুক্তিপণ বা হুমকি দিবে এমন কোনো কল করে নি আমার ফোনে! খাওয়ার টেবিলে বসে আছি, ময়নালের পছন্দের পাউরুটি, চকলেট আর জেলি রাখা আছে। তৃপ্তি সহকারে খুব মজা করে চকলেট আর জেলি মাখিয়ে তিন চারটা পাউরুটি ঝটপট খেয়ে নিয়ে স্কুলের যেত। সেই খাবার গুলো আমার সামনেই রাখা কিন্তু ময়নাল নেই! ভাবতে ভাবতেই চোখে পানি চলে আসলো! "কই গেলিরে ভাই আমার" বলেই কাঁদতে শুরু করলাম আমি। এটা আমার প্রতিদিন সকালের কান্না, কাঁদতে কাঁদতে খাওয়ার কথা মনে থাকে না, চলে যাই ক্যান্টনমেন্টে! আমার মন মানসিকতা একদমই খারাপ। কোনকিছুতেই মন বসে না। খুব কষ্টে নিজেকে সামলিয়ে কাজ করি। চেয়ারে বসে ভাবছি ময়নালকে যে কিডন্যাপ করেছে সে কে হতে পারে? আমার কারও সাথে কোনো শত্রুতাও নেই। হঠাৎ দরজায় নক পরলো,
- Come in
- স্যালুট, স্যার চিফ আপনাকে ডেকেছেন।
- হুম, যাও আসছি।
কর্পোরাল হাসান এসে বললো।
আমি চলে গেলাম চিফের রুমে। উনি বললেন, "মালদ্বীপে দুই সপ্তাহের একটা ট্রেনিং আছে, নতুনদের নিয়ে যাও, স্পেশাল টিমের যোগ্যদের যাচাই করে নিয়ে এসো। Any question?"
কি বলবো ভাবছি, হ্যা বলবো নাকি না বলবো। আর্মিতে কমান্ড নাকচ করার কোন সুযোগ নেই। নিয়ম শৃংখলাই সবার আগে। হ্যা বললে মালদ্বীপ আর না বললেন শাস্তি তো আছেই।
"No Sir, তবে আমার পরিবর্তে অন্য কেউ ছিল না মানে এত অফিসার স্টাফ থাকতে আমি কেন?"
"এবারের ট্রিপের জন্য আমি তোমাকেই সিলেক্ট করলাম, সবার সুযোগ আসা দরকার, তোমাকেও দিলাম। নিজের টিম গঠন কর।"
আমিও বের হয়ে আসলাম। কোনরকমভাবে সময় কাটিয়ে বাসায় আসলাম। কয়েকটা লেবু কেটে শরবত বানালাম। চেয়ারে বসে স্যারের দেয়া কাগজটা হাতে নিয়ে ভাবছি কি করবো? যাবো কি যাবো না। কিছুক্ষণের জন্যে চোখ দুইটা বন্ধ করলাম, শুধুই ময়নালের চেহারা ভেসে উঠছে! হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো! অচেনা নাম্বার দেখছি! রিসিভ করলাম,
- হ্যালো।
- শুনলাম মালদ্বীপে ট্রেনিং এর জন্য যাওয়া হচ্ছে?
অপরিচিত কণ্ঠ!! নাম্বারটায় আরেকবার নজর দিলাম।
- কে আপনি?
হাসতে হাসতে বললো, "ময়নালের কিডন্যাপার!!"
কথাটা শুনেই আমি দারিয়ে গেলাম। খুব অনুরোধ করে বললাম, "আপনিই যেই হোন দয়া করে আমার ভাইকে ফেরত দিন, যত টাকা লাগে আমি দেব!"
আমার কথা শুনে হেসে বললো, "আরে আমি ফকির নাকি যে আমার টাকা লাগবে?"
আমি বললাম, আপনার কি লাগবে আমাকে বলেন, আমি দিব।"
"সেটা সময় হলে বলবো, কোন চিন্তা কর না।" অপরিচিত কণ্ঠের উত্তর!
আমি কেঁদে ফেললাম! একটু নিঃশ্বাস নিয়ে বললো, "আপনি আমার ভাইকে ফেরত দেন, কসম করে বলছি আমি কাউকে কিছুই বললো না।"
"আমি কি অন্যান্য কিডন্যাপারের মত ভয়কাতুরে নাকি? তোর যাকে ইচ্ছা বল তবুও আমার কিছু করতে পারবি না...."
আমি আবারও অনুনয় করে বললাম, "আপনি ওকে ফেরত দেন ভাই, যা লাগে দেব আমি।"
আমি চাইতে চাইতে ফ্লোরে বসে পরলাম। কান্না দেয়াল ভেঙে বাইরে চাইছে কিন্তু পারছে না। বারবার বলছি ময়নালকে ফেরত দিন কিন্তু অপহরণকারী কিছুই বলছে না!
"হ্যালো, হ্যালো!!"
"তোর কান্নাটা আমার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগছে। আরও জোরে কাঁদ!" এই বলে আবার হাসতে শুরু করলো সে! আমি বারবার করে বললাম ফেরত দিন আমার ভাইকে কিন্তু কোন কথা বলছে না! একসময় কল কেটে দিল সে!

পরেরদিন,
"স্যার আমি এই ট্রিপে যেতে পারছি না এজন্য আমি খুবই দুঃখিত..." চিফ আমার দিকে তাকালেন।
"Are you sure?"
"Yes Sir..."
"Ok, আমি আরেকজনকে সিলেক্ট করবো কিন্তু মনে রেখ এই সুযোগ পরবর্তীতে পাওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ!"
"এই সময় আমার ছোটভাইকে আমার সব থেকে বেশি প্রয়োজন"
- মানে?
- স্যার আমার ছোটভাইকে কিডন্যাপ করা হয়েছে এবং কিডন্যাপারের কলও এসছিল গতকাল।
- What??? কবে? কখন? কি বললো সে?
- স্যার খুবই অদ্ভুত ক্যারেক্টার! কোন টাকা পয়সা চায়নি। কি চায় সেটাও বলছে না। ছোট ভাইটার জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে।
এই নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বললাম উনার সাথে। এরপর বললাম, "স্যার, একটা হেল্প করবেন?"
উনি সম্মতি জানালেন।
"Sir, I need a sniffer dog.."
উনি বললেন, "I can't help you son, you know that there is a rule that you can't use sniffer dog at your own purpose!!"
উনার কথায় তেমন একটা হতাশ হলাম না। কারণ এটা আমি জানতাম। চাচ্ছিলাম উনার সাহায্য নিয়ে আর্মির স্নিফার ব্যবহার করতাম। সময়টাও বেচে যেত এবং আমার কাজও এগিয়ে আসতো...


দুইদিন হল কিডন্যাপারের কোনো কল আসছে না! যে নাম্বার থেকে কল এসেছিল সেটার সংযোগও বন্ধ! দুশ্চিন্তায় খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। মাথায় শুধু একটাই টার্গেট, কিডন্যাপারকে খুঁজে বের করতে হবে। খবরের কাগজে ২য় পৃষ্ঠায় দেখলাম যমজ ভাই নিখোঁজ! কোনো মুক্তিপণ চায়নি অপহরণকারী! আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি এই অপহরণকারীর কথা ভেবে, ময়নালের অপহরণকারীও কি একই ব্যক্তি? কলামটা কেটে আলাদা করে রাখলাম। দুইদিন পর আবারও এক নিখোঁজ সংবাদ! একই ধরণ এবং মুক্তিপণ চায় নি! এরকম করে এক সপ্তাহে পাঁচটা অপহরণের খবর ছেপেছে! হিসাব করে দেখলাম ১২জন নিখোঁজ! এসব কলাম কেটে আলাদা করে রাখলাম সাথে প্রদত্ত মোবাইল নাম্বার গুলোও সেভ করে রাখলাম।


১ সপ্তাহ, ২দিন পর..

যে পত্রিকায় এসব খবর ছাপা হয়েছে সেই অফিসে বসে আছি। কাগজ গুলোও সাথে এনেছি। এখন শুধু জানতে হবে এদের ঠিকানা। অনেককেই কল দিয়েছিলাম কিন্তু ভয়ে কেউ কিছু বলছে না। বুঝলাম না এরা পত্রিকায় নিখোঁজ সংবাদ দিয়েছে ঠিকই কিন্তু এখন কিছুই বলছে না! এমন সময় একটা ফোন বেজে উঠলো, স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি অপরিচিত নাম্বার! হ্যালো বলতেই সেই অপরিচিত বিরক্তিকর ভয়ানক হাসি! হালকা হেসে বললো,
"সাহস নিয়া মাঠে নামো ক্যাপ্টেন, পত্রিকা অফিসে ঘুরে ঘুরে আর কয়দিন আমার কাজের খোঁজ করবা?"
তার কথা শুনে আমি আশেপাশে তাকালাম। অনেকেই মোবাইলে কথা বলছে, হালকা সন্দেহ জেগে উঠল মনে! সে কি এখানেই আছে? কিন্তু তার কথাবার্তা একদম স্পষ্ট অতএব সে এখানে নেই। আবার সিসি ক্যামেরার তাকালাম, এটা দিয়ে কি সে কোনভাবে আমাকে দেখছে?
"কি হল কথা বলছো না যে? দেখ তুমি কিভাবে বলবে.." লোকটি বললো!
"ভাইয়া!!!!"
এযে ময়নালের আওয়াজ! আমার বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠলো! তাড়াতাড়ি বাহিরে এলাম এবং বললো, "ময়নাল, ভাইয়া তুমি কেমন আছো??"
- আমার ভয় লাগতেছে, অনেক অন্ধকার এখানে! ক্ষুধাও লাগছে খুব! কিছুই খাইতে দেয় নাই আমাকে...
- ময়নাল ভাই আমার তুই একদমই চিন্তা করিস না। ভাইয়া আসতেছি, খুব তাড়াতাড়ি আসতেছি...
- ভাইয়া.. আমি...
"এত বেশি কথা বলাও ঠিক ক্যাপ্টেন। এই নিয়ে যা এই বিলাই টারে, সারাক্ষণ খালি খাই খাই..."
আমিও চিৎকার দিয়ে অনুনয় করে বললাম, "দেখেন আপনি যেই হোন না কেন, প্লিজ আমার ভাইটার কোন ক্ষতি করবেন না। আমি কখনও ওকে কোন কিছুর অভাব দেই নাই। আমার বাচার একমাত্র আশা আমার ভাই।"
"আরে তুই তোর ন্যাকা কান্না বন্ধ কর, আর্মিতে এই ট্রেনিং পাস তোরা? আর্মি তোরে শিখায় নাই কিভাবে কঠিন পরিস্থিতি আর মানসিক চাপ সহ্য করা লাগে?? বাল.." ক্ষাণিকপর আবার বললো, "তোরে একটা ক্লু দেই, সেটা হল আমি সবসময় আদরে গড়া শিকারের খোঁজে থাকি। আমি পারলে বস্তির পোলাপানও তুলতে পারতাম, তুলছি?? তুলি নাই কারণ এদের তুললে খেলা জমবে না... তোর ভাইয়ের মত দুইচারটাকে তুললে খেলা জমবে। অলরেডি পুলিশ আমার খোজ করা শুরু করছে! আর পুলিশ তো পুলিশ! সবসময় অসময়ে সিনেমার মতন শেষ দিকে আসে!"
আমার মাথার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে! রাগে শরীর কাপতে শুরু করেছে! ফোনটা শক্ত করে ধরে দাঁতে জোর দিয়ে বললাম, "খুব মজা লাগে হারানোর যন্ত্রণা দেখে? ঠিক আছে, যত মজা নেয়া দরকার নিয়ে নে। আমি তোর একটা ভুলের অপেক্ষায় রইলাম। আমার হাতে আসলে তুই তো তুই, তোর মত কাজ যেন ভবিষ্যতে কেউ করার কথা না ভাবে তার ব্যবস্থাও করে রাখবো আমি!"
লোকটা আবারও হাসলো!! এবার যেন তার হাসি থামছেই না!!! একটু পর বললো, "এবার খেলা জমে উঠবে ক্যাপ্টেন"
আমি উত্তর দিলাম, "ওপেন শ্যুট আউট কাউন্টডাউন শুরু তোর জন্য..."
কল কেটে দিল সে! আমি ফোনটা পকেটে ঢুকিয়ে বাসার পথে হাটা দিলাম। এসব পত্রিকা, পুলিশ কেস এসবে কাজ হবে না। আমাকে আমার টেকনিক কাজে লাগাতে হবে। যেহেতু আমার মুভমেন্টের উপর নজর রাখছে সে, সেহেতু দিনের কাজ এখন রাতে করতে হবে। হাটতে হাটতে হঠাৎ একটা বুদ্ধি এল মাথায়, দুশ্চিন্তায় ভুলেই গিয়েছিলাম ওর কথা! এখন বোধ হয় আমার কাজটা আরও সহজ হয়ে যাবে। অপেক্ষা শুধু রাত হওয়ার। শিকার খুঁজতে হবে, অনেক হিংস্র হয়ে আছি।


রাত ১১টা,
বাড়ির গেটে দারিয়ে আছি, চায়ের দোকানটা বন্ধ হবে কিচ্ছুক্ষণ পর। এরপর পুরো রাস্তা সুনসান! একদম নীরব, শুধুমাত্র রাস্তায় কুকুর বিড়ালই থাকবে। দেখতে দেখতে দোকানটা বন্ধ হয়ে গেল। আমি বের হলাম "ক্যালিবার" কে নিয়ে। হুম, ক্যালিবার! আমার স্নিফার ডগ। ময়নাল কিডন্যাপ হওয়ার পর এতদিন ওকে খাইয়েছি ঠিকই কিন্তু ওকে দিয়ে খুঁজানোর কথাটা মাথায় আসে নি আমার! কিভাবে ভুলে গেলাম আমি নিজেও জানি নাহ। ময়নালের একটা টিশার্ট ওর নাকের কাছে রাখলাম। এরপর ক্যালিবার দৌড়ানো শুরু করলো! আমিও ধীরে ধীরে আশার আলো দেখতে পাই। ক্যালিবার মাঝে মাঝে থামছে এবং যতটুকু ঘ্রাণ পাওয়া যায় সেটার দিকে ছুটছে। একটুপর রাস্তার মোড় এসে গেল। ক্যালিবার ডানদিকে মোড় নিলো। এটা ময়নালের স্কুলের রাস্তা। ধীরে ধীরে স্কুলটা পার করলাম। ক্যালিবার থামছে না, ধীরে ধীরে আগাচ্ছে! এভাবে অনেকক্ষণ হাটার পর একটা মোড়ে এসে ক্যালিবার থেমে গেল! আমি আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম আমি সেই রাস্তার মোড়েই এসেছি যেখান থেকে ক্যালিভার ডানে গিয়েছিল! হতাশ হয়ে রাস্তার একপাশের বেঞ্চে বসলাম। তার মানে কিডন্যাপার আগেই জানতো যে আমার একটা কুকুর আছে এবং এটা জেনে সে এটাও শিখে নিয়েছে কিভাবে এসব কুকুরকে বোকা বানানো যায়! কিডন্যাপার এই চার রাস্তার মোড়ে বিভিন্ন দিক থেকে গিয়েছে। এতবার যখন হাটাচলা করছে কেউ কেউ তো তাকে দেখার কথা! আমি ভাবতে লাগলাম কারা কারা হতে পারে। যারাই হোক, আবার আমাকে সকাল হওয়ার অপেক্ষা করতে হবে! যাওয়ার আগে এলাকাটা আরেকবার ঘুরে দেখা যাক। তার আগে স্কুলের দিকে যাওয়া যাক। আবার গেলাম সেখানে। রাস্তার দুই পাশে ছয়তলা দুটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে, মনে হয় এর চার তলা বা পাঁচ তলা থেকে ভালই নজর রাখা যাবে। দেখা যাক সকালে।
"Let's go home Caliber." ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত প্রায় আড়াইটা বাজে।


সকাল ৭টা,

জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি অনেক অভিভাবক তাদের বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলের দিকে যাচ্ছেন। আমিও চট করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। আজও কিডন্যাপারের ফোন আসে নি, অর্থাৎ আমার রাতের অভিযানে তার নজর আপাতত নেই। সকালের দিকে রাস্তার আশেপাশের টঙের দোকানগুলোতে লোকসমাগম তেমন হয় না। এমনই এক ফাকা দোকান দেখে আমি বসলাম চা বিস্কুট খাওয়ার জন্য। পকেট থেকে ফোনটা বের করে ময়নালের ছবিটা বের করলাম। দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হয়েছে, এরমধ্যে একবার ওর সাথে কথা হয়েছে।
"ভাই, চা নেন.."
হঠাৎ একটু অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিলাম। চা শেষ করে আবার উঠলাম, চলে গেলাম স্কুলের সামনে। তিনজন ঝালমুড়ি আর ফুসকা আর একজন আইসক্রিম দুইজন বিভিন্ন আচার বিক্রি করে। স্কুলের ক্যান্টিন ভিতরে এত লোকের ভীড়ে ময়নালকে কিডন্যাপ করা সম্ভব না। স্কুল ছুটির পর এরা কোথায় ফুসকা ঝালমুড়ি কোথায় বিক্রি করে দেখা দরকার। সেই মোতাবেক আমি সেই নির্মাণাধীন ভবনের চার তলায় আছি এবং সাথে একটা বাইনোকুলার। এদের পাঁচজনের উপর নজর রাখছি, এসব খাওয়ার জন্য বাচ্চারা আর কিশোর কিশোরী ছাড়া তেমন কেউ আসে না। এমন সময় আইসক্রিম বিক্রেতার কাছে দুইজন লোক আসলো! দুজনের মাথায় কালো ক্যাপ! বাইনোকুলার দিয়ে দেখলাম তারা কি করে, কিছুক্ষণ পর দেখি এক শিশি পানীয় কিছু দিয়ে চলে গেল! তারমানে আজ আরেকটা একজন কিডন্যাপ হবে!! একটুপর তারা চলে গেল। ঘড়িতে সময় দেখলাম, ১১টা বাজে। ক্লাস সিক্স থেকে টেন এর ছুটি হয় তিনটার দিকে, আর রাস্তা ফাকা হতে হতে ত্রিশ পঁয়ত্রিশ মিনিট লেগে যাবে এবং কিডন্যাপাররা প্রায় এক ঘন্টা আগে এখানে উপস্থিত থাকবে। যাকে টার্গেট করে রাখা হয়েছে সে নিশ্চিত দুইদিকের যেকোনো একদিকে যাবে। তার আগে আইস্ক্রিম কেনার জন্যে সে এদিকে আসবে! ওকে ফলো করে কিডন্যাপাররা যেতে থাকবে। একটু ফাকা রাস্তা বা জনমানব শুন্য এলাকা আসতেই তাকে অপহরণ করা হবে! আমার হাতে সময় আছে মাত্র দেড় ঘন্টা! এই সময়ের মধ্যে আমার টিমকে পজিশনে আনতে হবে। কল করলাম সার্জেন্ট ফাহাদকে যার কোড নেম Benz, বললাম টিমের অন্যান্যদের নিয়ে বাজারের দিকের রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে দারাতে এবং তিনজন স্নাইপার ক্যাপ্টেন সাগর (Barrett), লেফট. আনিস (Fox) এবং সার্জেন্ট কাদির (F5) কে নিয়ে থাকবে রাস্তার পাশের সেসব বিল্ডিং গুলোর ছাদে যেখান থেকে ভাল ভিজুয়াল পাওয়া যায়। একটা সাদা রঙের Haice মাইক্রোবাসের মুভমেন্টে নজর রাখবে তারা। অবশ্যই পাবলিকের আড়ালে এবং কোন প্রকার ডিস্টার্ব ছাড়াই। আপনাদের সাথে যোগাযোগ হবে কনফারেন্সে তাই কি কি করতে সেটা ফোনেই জানিয়ে দিব। তৈরি হয়ে যান সবাই।


দেখতে দেখতে তিনটার কাছাকাছি বেজে গেল। haice গাড়িটা এখনও আগের জায়গায়। এরমধ্যে আমি আমার কিছু কাজ সেরে নিয়েছি। আমিও ফলো করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। হেলমেটটার দিকে তাকালাম। এটা কেনার সময় ময়নালকে সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম। অনেক দোকান ঘুরার পর ময়নালের পছন্দ মত এটা কিনেছিলাম। কিডন্যাপারের থেকেও কোন কল আসে নি, জানি নাহ সে কেমন আছে! এমন সময় ঘন্টা বাজলো! ছেলে মেয়ে সব দৌড়ে বের হতে লাগলো। এই সময়ে একটা প্রতিযোগিতা চলে যে কে কার আগে দৌড়ে স্কুলগেট পার করতে পারবে! ছোট বেলায় যা করতাম, ময়নালও এই ভীড়ে দৌড়ে আসতো। দেখতে দেখতে ভীড় বারতে লাগলো।
- টিম রেডি?
সবাই একত্রে বললো, "Yes sir.."
আমি বললাম, "Remember, do not engage, just keep your eyes on that haice."
- Roger.
১৫-২০ মিনিট পর গাড়ি রওনা দিল। আমি টিমের সবাইকে খবর দিলাম। ground unit এর সবাই সিভিলে আছে। একটু পর গাড়ি চালানো আরম্ভ করলো।
All mates, this is Captain, hostiles are moving towards west, keep your eyes on him & don't compromise..
- This is F5, got an activity on road, a white color Haice is heading..
- Ground unit, what's your status? Over,
- this is Hammer (স্পেশাল অফিসার সাদ্দাম), confirmed 4 hostile inside the haice but on sign of hostages!!
এদিকে কিছু ছেলেমেয়ে এখনও স্কুলের ভিতরে আছে! প্রায় ৩০ মিনিটের বেশি অতিবাহিত হয়েছে, ঝালমুড়ি এবং কুলফিমালাই এখন আগের জায়গায়!
- Any activity, Barrett?
- negative sir.
- this is fox, I have got a visual. Hostiles are stopped and looking for something, over.
- copy that Fox.


এরমধ্যে আমি কুলফিমালাই বিক্রেতাকে হারিয়ে ফেলি! হুট করে কোথায় যেন গায়েব হয়ে গেল সে! বাইনোকুলার দিয়েও খুঁজে পাচ্ছি না।
- I've lost the package, I repeat, I've lost the package. Send ground unit in my position ASAP.
- Copy that captain.

"এই ভাই আপনে কে? এই বিল্ডিং এ কি করতেছেন?" দুইজন ঠিকাদার এসে বললো। আমার হাতে স্নাইপার দেখে তারা আরও ভয় পেয়ে গেল এবং চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করল! এদের এই চিৎকার চেঁচামেচি আমাকে গণধোলাই এর মুখোমুখি নিয়ে যেতে পারে এবং এই খবর বাতাসের চেয়ে তীব্র গতিতে কিডন্যাপারের কানে পৌঁছে যাবে! আর তাছাড়া এদের আমার পরিচয় দিলেও শান্ত হবে না। তাই উপায় না পেয়ে আশেপাশের রশি দিয়ে তাদের হাত পা বেধে দিলাম এবং তাদের গায়ের পোষাক দিয়ে মুখ বেধে দিয়ে আমি নেমে পরলাম বিল্ডিং থেকে। এরমধ্যে স্নাইপারটা খণ্ড খণ্ড অংশে আলাদা করে ব্যাগে ঢুকিয়ে নিলাম।

- this is N1 to Captain, I've found the package near bus stand.
- great job N1. keep eyes on him & keep your distance. I'm on my way.


রাস্তার মোড়ে দারিয়ে আছি, সাথে আছে স্পেশাল অফিসার জহির (N1) এখানে দারিয়ে দারিয়ে ওর দিকে নজর রাখছি। আমাদের দিকে ওর কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। এমন সময় ক্যাপ্টেন সাগর (Barrett) বললেন,
- Captain, there is something you must know.
- হ্যা আমি শুনছি..
- স্যার, হাইচ এর মধ্যে থাকা চারজন আন্ডারকভার পুলিশ!
- Are you sure? Any identity?
- 100% sure Sir, সামনের সিটে বসা উনি গোয়েন্দা বিভাগের লোক, আমি তার সাথে দেখা করেছিলাম মাস দুয়েক আগে। নাম, জামশেদ।
- তার মানে উনারা কুলফিমালাই বিক্রেতার কাছে কিছুই দিয়ে আসে নি!
- হয়তো আপনার চোখের ধাধা ছিল স্যার।
- I don't believe this...
কি হচ্ছে আমার মধ্যে? এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলবে না.. আমার স্পষ্ট মনে আছে এরাই ছিল। এমন সময় ফোনটা কেঁপে উঠলো! স্ক্রিনে সিনিয়র চিফের নাম!
- স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান, কাল ক্যাম্পে সবার আগে সরাসরি আমার সাথে দেখা করবে।
- yes sir.
এই বলে কল কেটে দিলেন! মেজাজটাও সুবিধার মনে হচ্ছে না। না জানি কোন জরুরি তলব করেছে!


পরেরদিন,
বাসা থেকে বের হয়ে হেটে হেটে রাস্তার মোড়ে দারিয়ে আছি। বেশিরভাগ মানুষ গতকালের ঘটনা নিয়ে যেটা সেই নির্মাণাধীন বিল্ডিং এ আমি ঘটিয়েছিলাম। আশেপাশের এলাকা জুড়ে শুধু এটা নিয়েই নাকি আলাপ আলোচনা করছে! অথচ ময়নালের নিখোঁজের খবর যখন মাইকিং করেছিলাম তখন কারও মুখে কোন দুঃখ বা সান্ত্বনা শুনি নি! এই হল শহরাঞ্চলের প্রতিবেশীর নমুনা।
অফিসে পৌঁছে স্যারের রুমে গেলাম। কোন কথা ছাড়াই আমাকে একটা চিঠি ধরিয়ে দিলেন! আমি বললাম, "স্যার এটা কি?"
উনি বললেন, পড়ে দেখ এটা কি..."
আমি পড়তে শুরু করলাম, একটু পুর বুঝতে পারলাম কেন চিঠি দেয়া হয়েছে! আমি স্যারের দিকে তাকালাম।
"আমি আশাকরি তুমি বুঝতে পেরেছো সুলতান।" কর্ণেল স্যারের উক্তি!
- এটা না করলে হতো না স্যার?
- না করলে হতো না মানে কি? (রেগে বললেন)
কাউকে না জানিয়ে কেন তুমি ওই স্কুলের আশেপাশে এবং বিল্ডিং এ টহল দিচ্ছিলে? এটা পুলিশের কাজ এমনকি পুলিশ তাদের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং স্পেশাল আন্ডারকভার অফিসারদের মোতায়েন করেছে এই কিডন্যাপারের পিছনে! আর সেখানে বোকামি করেছ, কি ভেবেছো এটা তোমাকে দেয়া কোন ক্লাসিফাইড বা সিক্রেট মিশন যে তোমার কমান্ডে বাকিসব কাজ করবে?"
- স্যার, আমার ছোট ভাই ওই কিডন্যাপারের কাছে আছে। সপ্তাহের বেশি হয়ে গেল কোন কথা হচ্ছে না, আমার অবস্থাটা বুঝতে পারছেন আপনি?
- মনে কর আমি এসব কিছুই বুঝি নাহ এবং যাওয়ার আগে তোমার ব্যাচ এবং ইকুইপমেন্ট জমা দিয়ে চলে যাও। You've been suspended. তোমার পরিবর্তে টিম লিড করবে ক্যাপ্টেন সাগর। এখন তুমি আসতে পারো।


ব্যাচ এবং অন্যান্য ইকুইপমেন্ট জমা দিয়ে বের হলাম। তখনই দেখা হল ক্যাপ্টেন সাগরের সাথে। আমি কোনো কথা বলছি না এবং সাগরও! কিছুক্ষণ পর সাগর বললো,
- স্যার, আমি আপনার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি কিন্তু আপনার পদবির যোগ্য আমি নই।
- কেউ কোনকিছুর যোগ্য হয় না, যোগ্য হওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। আমি জানি আপনি সেটা পারবেন। খেয়াল রাখবেন সবার। আমি আসি..


বাসায় এসে আয়নার সামনে দারালাম। নিজেকে আয়নাতে দেখে খুব অসহায় এবং দুর্বল মনে হচ্ছে যেটা এতদিন কখনই অনুভব করি নি। এসবের পিছনে সেই কিডন্যাপার দায়ী। রাস্তাঘাটে, অলিগলিতে আমার চোখ শুধু ওর কাল্পনিক চেহারা খুঁজে বেড়ায়। আমার কানে ওর কণ্ঠস্বর এখনও বাজতে থাকে। দিন গুনছি এবং নিজেকে হিংস্র করে তুলছি। এমন সময় ডাইনিং টেবিলে রাখা মোবাইলটা কেঁপে উঠল! আবারও কম্পন দিয়ে উঠল মোবাইল! প্রথমে ভেবেছি হয়তো কোন মেসেজ এসেছে কিন্তু পরে মনে হল সেই কিডন্যাপার! তাড়াতাড়ি ফোনের কাছে গেলাম।
- শুনলাম আপনাকে নাকি সাস্পেন্ড করা হয়েছে? দুঃখের মধ্যে এত প্যারা নিয়ে আপনারা কিভাবে থাকেন?
আমি ওর কথা শুনে যাচ্ছি, রাগে আমার শরীর কাঁপছে! একটুপর আবারও বললো,
- নিন আপনার ভাইয়ের সাথে কথা বলেন।
আমি এখনও চুপ, ওর কথা শুনে কেঁদে দিলাম।
- হ্যালো ভাইয়া
আমি কাপা কাপা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলাম, "ময়নাল, ভাই আমার, একদমই চিন্তা করিস না। আমি আসছি, খুব তাড়াতাড়িই আসছি।"
- ওরা আমাকে ভাল ভাবে খেতে দেয় না, অর্ধেকেরও কম! আমি বাসায় যাবো এখানে খুব ভয় লাগে..
"ব্যস, আর বেশি কথা বলতে হবে না। ওই ওরে নিয়া যা.... হ্যা, তো আমরা কোথায় ছিলাম?" কিডন্যাপারের কথা।
- দেখ, তোমার কি লাগবে বল আমাকে আমি সেটাই করবো। আমার ভাইকে কষ্ট দিয়ে কি লাভ হচ্ছে তোমার?
- লাভ তো একটাই, আপনার মত এত বড় একজন মানুষ আমার কাছে অনুনয় এবং বিনয়ের সহিত অনুরোধ করছেন এর চেয়ে বড় লাভ আর কি?
আমি অসহায়ের মত কাঁদতে লাগলাম। আমার জীবনের একটাই লক্ষ্য, সেটা হল ময়নাল। ওর জন্যেই আমার বেচে থাকা।
- আচ্ছা, রাখি এখন, পরে কথা বলবো আর আমি জানি আমার কল আপনি ট্র‍্যাক করতে পারবেন না। আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে আমি কে! হা হা হা...
ফোন রেখে দিল সে! আমিও ঠায় বসে রইলাম। ভাবতে লাগলাম কিভাবে ওর পর্যন্ত পৌঁছানো যায়! সবচেয়ে আজব যে ব্যাপারটা সেটা হল আমার সাস্পেন্ড হওয়ার খবর তার কান পর্যন্ত পৌঁছেছে! কে হতে যে এসব খবর গুলো আদান প্রদান করছে????


পরের পর্বে সমাপ্তি...


লেখা: Dorponer Protibimbo
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৫১
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×