গতরাতে মানিকমিয়া এভিনিও এর কাছে আসাদগেটে আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাব রুটিন চেকপোষ্ট বসিয়েছিল। রাত সাড়ে বারটার দিকে আনুমানিক বাইশ তেইশ বছর বয়সের দুই তরুনকে হাটতে দেখে ডাক দেয় র্যাব। র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী দুই তরুন র্যাবের ডাক শোনে দাড়ানোর পরিবর্ততে তাদের পকেট থেকে রিভলভার বের করে গুলি করতে শুরু করে, র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে দুজনেই মারা যায়।
আজ সকালে জানা গেল, এরা দুজনই ছিল ঢাকা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট এর ছাত্র, যারা কিনা গতরাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছে।
Click This Link
র্যাব এ ঘটনাকে কি বলবে জানি না, এই দুজনকে শীর্ষ সন্ত্রাসী বলা হবে, নাকি গার্মেন্টসে হুমকিপ্রদানকারী বলা হবে, রাতারাতি তাদের নামে দশটা করে মামলা আবিস্কার করা হবে কিনা, তাদের নামের সাথে ওরফে কাল্লু অথবা বিলাই যোগ করে ভয়ংকর রুপ দেয়া হবে কিনা, ঠিক কি ভাবে আমাদের কাছে এদের ভয়ংকর রুপ দেয়া হবে এখনও জানি না।
তবে, ভাবতে চেষ্টা করছি ছেলেদুটোর পরিবারের সদস্যদের কথা। তাদের মায়েদের কথা। তাদের চোখের জলের কথা।
ছেলেদুটো যদি সাধারন ছাত্রই হয়, তাহলে আমরা সাধারন জনগনরা কি নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারি?
র্যাব নামের একটি মানুষ হত্যাকান্ডের লাইসেন্সপ্রাপ্ত কিলার বাহিনীকে কি এখন বন্ধ করে দেবার সময় এসেছে?