somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

(শুধুমাত্র জীন ভুতে বিশ্বাসীদের জন্য) বিজ্ঞান কী সকল অপার্থিবতার ব্যাখ্যা দিতে পারে?

০৩ রা আগস্ট, ২০০৭ রাত ১২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীন ভূতে বিশ্বাস আমার একেবারেই ছিল না। আমার জীবনে ঘটে যাওয়া যে ঘটনাটি এখন বর্ণনা করছি তাই আমাকে জীন ভূত বিশ্বাস না করলেও বাধ্য করেছে অপার্থিবতায় বিশ্বাস করতে।
১৯৯২ সালের কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। ছুটিতে গ্রামের বাড়ী এসেছি। সেটা সম্ভবত ভাদ্র মাসের দিকে। তালপাকা গরম শুরু হয়েছে গত দুদিন। মধ্যরাত পেরিয়ে যাচ্ছে। গরমের চোটে ঘুমুতে পারছি না। আমার সাথে শুত আমার সমবয়সী এক চাচা আর পাশের বেডে সসমবয়সী এক মামা। তিনজন মিলে পরিকল্পনা করলাম বাড়ী থেকে খানিকটা দুরে বড় রাস্তার পাশের ডাইভারশনের ওপর তৈরী করা বাশের সাকোর ওপর বসে গা’টা ঠান্ডা করে আসি।
দুর্দান্ত পূর্ণিমার আলোয় জলে ভরা ক্ষেত রুপোর মত চিক্‌ চিক্‌ করছে। মাঝে মধ্যে মাছেরা টুপ টাপ জলের মধ্যে খাবি খাচ্ছে। শব্দ বলতে ঐ টুকুই। সৌম্য বাতাসে আস্তে আস্তে শরীর জুড়িয়ে আসছে। আর আমরা একনাগাড়ে কথা বলে যাচ্ছি যে যার মত। কথা বলতে বলতে কখন যে আমাদের পাশের বাড়ীর দাদু যাকে আমরা ‘ন্যাংড়া দা’ বলে ডাকতাম তিনি বড় রাস্তায় হাওয়া খেতে এসেছেন টেরই পাই নি। বড় রাস্তায় তখন একটা পাকা সেতু নির্মানের কাজ চলছিল। রাস্তা ছিল অসম্পূর্ণ আর আমাদের ন্যাংড়া দা ডাইভারশনের মাথা থেকে ব্রীজের পার পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসছিলেন। রাত গভীর হচ্ছে। আমাদের গল্পের রেশ ক্রমেই কমে আসছে কিন্তু আমদের ন্যাংড়া দা একনাগাড়ে ব্রীজের কাছে যাচ্ছেন আর ফিরে আসছেন। একসময় আমরা উঠে পড়লাম বাড়ী ফিরবো বলে। বাড়ীর দিকে রওনা দিতেই মনে হল এই বয়স্ক লোকটাকে একা রেখে যাওয়া ঠিক হবে না। তাই আমি ডাক দিলাম-“দাদা, বাড়ী যাবেন না?’’ আমাদের ন্যাংড়া দা সোজা হেটে রাস্তার মাথায় যেখানে গর্ত করে ব্রীজের পিলার পোতা হচ্ছিল সেখানে নেমে গেলেন। ব্যাপার কী দেখার জন্য এগিয়ে গিয়ে বিস্মিত হয়ে গেলাম। ন্যাংড়া দা যেদিকে নেমেছিলেন সেখানে শুধুই জল। আশেপাশে আর কিচ্ছু নেই।
ঘটনার আকস্মিকতায় সবাই কেমন যেন থতমত খেয়ে গেলাম। মনের সন্দেহ দুর করার জন্য সোজা চলে গেলাম ন্যাংড়া দা’র বাড়ী। ন্যাংড়া দা’কে ঘুম থেকে উঠে আসতে দেখে আমাদেরতো চোখ ছানাবড়া। তাহলে একটু আগে যে ন্যাংড়া দা অদৃশ্য হয়ে গেলেন তিনি আসলে কে?
আমি যে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ নই তা নয়। আমি অবিশ্বাস করিনা দৃষ্টিভ্রমকেও। তবে এ ঘটনাটি দৃষ্টিভ্রমজনিত যে নয় তা একশ ভাগ নিশ্চিত করে বলা যায়। কেননা তিনজন মানুষের একইসাথে দৃষ্টিভ্রম ঘটা অস্বাভাবিক একটা ব্যাপার আর ঘটনাটি ঘটেছিল আমাদের দৃষ্টিসীমার এক্কেবারে কাছে। আমাদের মনে ঐ মুহুর্তে ভয়ের কোনই আবহ ছিলনা কেননা জায়গাটি ছিল খোলা, আশেপাশে কোথাও জঙ্গল ছিলনা আর আলোও ছিল দিনের মত। তবে আমাদের দেখা এই ন্যাংড়া দা কী অপার্থিব কিছু ছিল?
আমি জানিনা।
বিজ্ঞান কী সকল অপার্থিবতার ব্যাখ্যা দিতে পারে?

১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×