somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুরের জগতে অসুর 'ইনকিলাব'!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সংগীত বোদ্ধা নই। কিন্তু কোনো কোনো সুরের দোলাচল পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রের আসুরিক পীড়নকে ক্ষণিকের জন্য হলেও ভুলিয়ে দেয়, সে ১০০% নিশ্চিত সত্য। এমন তো কতবার হয়েছে, বিপুল বিষণ্নতায় সময় স্থির; পাথরের চেয়েও কঠিন। যে-ই কানে সুরের সুধাবর্ষণ শুরু, গুরুভার বেদনা ততক্ষণে কর্পুরের মতো উবে গেছে। তাই গানের কাছে ফিরে যেতে হয় বারবার, সে হল দুঃখের সঙ্গী, বিষণ্নতার নিরাময়। স্থুল অর্থে যাকে আনন্দ বলে, সে ভোগের সুযোগ ঘানিটানা মানুষের জীবনে কতটাই-বা হয়?

মনে পড়ে, তখন আমি বেশ ছোট। কলকাতার দূরদর্শনে 'আয়েগা আনে ওয়ালা' গানটি শুনতে পাই। গানের কথা ধরতে পারি নি, ধরার বয়স হয় নি; ভুলে যাই। এর সুরটি মনে রয়ে যায় ঘনিষ্ট স্মৃতির মতো। তা কতবার ভ্রমরের গুঞ্জরণের মতো মনে অনুরণন তুলেছে, ইয়ত্তা নেই। প্রায় তিন দশক পরে সেটিই যখন ইউটিউব-এর সুবাদে কানে বেজে ওঠে, যেন মরুভূমিতে বৃষ্টির ফোঁটা, প্রবলভাবে সিক্ত করে দেয়। একান্ত আপনজনকে ফিরে পাওয়ার অনির্বচনীয় সে অনুভবের কথা লিখে বোঝানো দুরূহ। তা ছিল লতার কণ্ঠে পুরনো হিন্দি ছবি 'মহল'-এর বিখ্যাত সেই গানটি।

দেশীয় সংগীতও টানে বটে। ক্লান্ত, অবসাদগ্রস্ত আবহে আব্বাস উদ্দিন-আব্দুল আলিম বুঁদ হয়ে শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েছি, জেগে উঠে পুনরায় কাজে ব্যাপৃত হয়েছি পুনরোদ্দমে। তখন মনেই হয় নি, আমার কোনো ক্লান্তি ছিল। ভাটিয়ালি-পল্লী, জারি-সারি ইত্যাদি গানও অনেক শুনেছি। তখন বয়োজ্যাষ্ঠদের মুখেও টিপ্পনির ফোড়নঃ 'এই বয়সেই বুড়ো মানুষের গান!' আমি দমে যাই নি। একটু আড়াল করতাম হয়ত।

নজরুল-রবীন্দ্রনাথ তখন শোনা হয় না। আব্বা বলতেন, তা উচ্চ শিক্ষিতদের গান। হাসি পেত খুব। ভাবতাম, এ আবার কোনো গান হল না-কি? রেডিও-টিভিতে রবীন্দ্র-নজরুলের অনুষ্ঠান হলে সবাই উঠে পড়তাম। কেউ কেউ উপহাস করত এই বলে যে, এবার ননস্টপ ঘ্যাঁ ঘ্যাঁ শুরু হবে। এই সুর শুনে কুত্তা পানিতে ঝাঁপ দেবে। ততদিনে শ্রোতা থেকে পাঠকে উন্নীত হই, অথবা দুটোরই মিলন ঘটে, জাগরণ হয়। নজরুলের গানের কথাগুলো টানতে থাকে, রবীন্দ্রনাথও। অনেক পরে এক বন্ধুর সুবাদে সতীনাথের কণ্ঠে নজরুলের গান শুনি। সুর আর কথার হরগৌরী মিলনে প্রাণটা মোমের মতো গলে যেতে থাকে। বন্ধু তখন সতীনাথের উচ্চাঙ্গ সংগীতের একটি ক্যাসেট দেয়। সারা রাত শুনি। কী স্বর্গীয় সুধা! তারপর বড়ে গোলাম আলির কিছু গজল... এতো কণ্ঠ নয়... দূর পৃথিবীর মায়াবী ধ্বনি। পরে একে একে অনেক কণ্ঠশিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীর রেকর্ডকৃত সংরক্ষিত 'গানা-বাজানা' শোনার সুযোগ হয়। না, আশ মেটে না মোটেও।

এ হল অঁজপাড়া গাঁয়ে বেড়ে উঠা একজন অভাজনের সংগীত-রুচি গড়ে উঠা ও এর বিবর্তনের কাহিনি। উপযুক্ত শব্দ-চয়নে অপারগতা আছে অবশ্য। কারণ, কয়জন বাঙালিই-বা অমিয়নাথ স্যানাল কিংবা আব্দুশ শাকুরের মতো, যারা শ্রুত বিষয়কে শব্দের অনুষঙ্গে অনুভবের পাখনা দিতে পারেন, যা শুধু নিজেই উড়ে না, পাঠককেও উড়তে শেখায়, ঘুরতে শেখায় সুরের চরাই-উৎরাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে। যাপিত জীবনের মতোই ভাষা আমার দীনহীন এবং অসভ্য রকমের অক্ষম।

হ্যাঁ ততদিনে বুঝে গেছি, উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ আমার, একান্ত আমার; এ আমার সম্পদ। উস্তাদ আয়াত আলি খাঁ আমার ঐতিহ্যের অংশ। উস্তাদ আকবর আলি খান আমার বৈশ্বিক বিস্তার। এমন-কি পণ্ডিত রবিশঙ্কর, যিনি গুরুকন্যার পাণিধন্য, তিনিও আমার ঐতিহ্যের ধারক, বাহক ও প্রচারক। গুরুকন্যার বিচ্ছেদ-বেদনায় নীল হই। আবার যখন দেখি, এই পণ্ডিতের সুবাদেই উস্তাদের নাম-যশ বিশ্ব- ইতিহাসের অংশ, তখন পুলকিত হই। জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও শিল্প-সাহিত্যে ভূগোলের সীমানা-সরহদ্দ কাজ করে না। জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণের প্রশ্ন নেই। এ অন্য জাতের জিনিশ। সবার আপন। এসবের কেউ মালিকানা দাবি করলেও এতে তার স্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় না। আবার কোনো দুর্মুখ যদি এ-গুলো অস্বীকারও করে, এতে তার নাদানির প্রকাশ ঘটলেও, সেও এর ন্যায্য ভাগীদার, অন্যদের মতো সমান অংশীদার।

মিশরীয় প্রবাদ মতে, 'গীত, কামকলা ও নৃত্য হল সমৃদ্ধির প্রকাশ।' কিন্তু যে দেশে সমৃদ্ধি নেই, ঋণাত্বক সকল উপাদানের উৎপত্তি, সেখানের মানুষ কি গান গায় না? চারদিক থেকে পর্যুদস্ত হয়ে তারাও কি গেয়ে উঠে না, 'মন মাঝি তোর বৈঠা নে-রে, আমি আর বাইতে পাতে পারলাম না!'? পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অসংখ্য ঘটনা মিলবে, যেখানে নজিরবিহীন পতনের কাহিনি বিজয়ী গোষ্ঠীর চোখ রাঙানি এড়িয়ে শুধু গানে গানে সংরক্ষিত! তাহলে মিডিয়া জগতে পদচারণা যার, নানাভাবে বিশ্ব-ইতিহাস মন্থন করে পাঠকদের যিনি উপদেশ দেন, তিনি কীভাবে গানের বিপক্ষে দাঁড়ান? তা-ও আবার প্রথম পাতায় রঞ্জিত প্রধান শিরোনামে!

যে কোনো রকমের শিল্পই পৃষ্ঠপোষকতা চায়। তা যেমন শিল্পীর নিজের দায়, তেমনই ভোক্তা সমাজেরও। একটা সময় গানের বা গানেওয়ালার কদর শুধু রাজ দরবারেই হত। চারণ শিল্পীরা অবশ্য রাজ-কদরের অপেক্ষায় থাকেন না। তাদের জন্য মূল ভোক্তা সাধারণ জনতার হাত তালিই যথেষ্ট। এদের মাঝে যাদের মেধা কালাতিক্রমী, তারা জনতার সিঁড়ি বেয়েই মহাকালের অংশ হয়ে যান। কিন্তু গুহ্য সাধনার মতো যে ধন, যার মূল্য শুধু সাধকই বুঝতে পারেন, জগতে এদের সমঝদারের সংখ্যা কোটিকের ভেতর গুটিক, তাদের বা সেই শিল্পের বেঁচে থাকার উপায় কই? সে-সব মহা মূল্যবান 'চিজ' আত্মরক্ষার জন্য নানা সময়ে নানা মানুষের আশ্রয় নেয়। কখনো রাজা-মহারাজা, কখনো সামন্তপ্রভু; কখনো গরিবের রক্তচোষা জোতদার-মহাজন, ক্ষেত্রবিশেষে নব্য ব্যবসায়ী আড়ৎদারদের। অর্থনৈতিক বিবর্তনের একাধিক পর্যায় পেরিয়ে এখন তা আশ্রয় নিয়েছে কর্পোরেট গোষ্ঠীর মনোলোভা ছায়াতলে। এজন্য কি তাকে খুব দোষ দেওয়া যাবে?

দেশের অবস্থা খুব শোচনীয়! হতে পারে। কিন্তু এর জন্য কি এই উৎসব দায়ী? এ তো হুট করে ভুঁইফোঁড়ের মতো অনুষ্ঠিত হয় না, হচ্ছে না। এর আগেও একাধিকবার হয়েছে এবং পরিস্থিতি ভাল থাকলে ভবিষ্যতেও হবে। আবার তা নিরুর হাতে বাঁশি হতে যাবে কেন? সেই তুলনা-ই বা আসবে কেন? এতো শাসকগোষ্ঠীর আয়োজন নয়। শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ তো এবারই নতুন নয় যে, এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে। তাদের বের করা এ্যালবামগুলোর দিকে তাকালে যে-কারো সন্দেহ-ভঞ্জন হবে নিমেষেই। দেশে তো আরো শিল্প-প্রতিষ্ঠান আছে, কতজন তাদের মতো এইভাবে শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে এসেছে?

এদেশ আউল-বাউলের দেশ। বারো মাসে তের পার্বণ পালিত হয়। প্রতিটি অনুষঙ্গেই সংগীতের অবকাশ আছে এবং হয়ও। এই তো কিছু দিন আগেই হয়ে গেল ফোক গানের আসর। সেখানে 'লন্ডনি' বাউল পবন দাসের আগমন ঘটেছিল। তা নিয়ে উৎসুক্য তৈরির দায়িত্ব তো বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের একার নয়। যারা বা যিনি এখন এই উচ্চাঙ্গের উৎসবে মন বেজার করে ফোঁসছেন, তারা বা তিনি তখন কী করেছেন? ব্যাপক জনসমাগমের উদ্দেশ্যে সে-সব সংবাদ তাদের পত্রিকায় কতটা প্রকাশিত বা ছাপা হয়েছে?

বেঙ্গলের উচ্চাঙ্গ সংগীত মানে অন্যদের উদ্যোগে দেশীয় সংগীত চর্চায় বাধা নয়। যাদের সে বিষয়ে আগ্রহ আছে, তাদের জন্য সততই সুযোগ অবারিত। কিন্তু এখানে বাগড়া বাঁধানোর এ পাঁয়তারা কেন? উচ্চাঙ্গ সংগীতকে কোনোভাবেই অবহেলা নয়। অপরের বলে একে ঠেলে ফেলে দেওয়ারও অবকাশ নেই। এ-সব শুদ্ধ সংগীতের চর্চা নেই বলেই আমাদের দেশে নিবেদিতপ্রাণ উঁচু মানের কোনো শিল্পীর জন্ম হচ্ছে না। আর তাই এদেশের সুরের জগতে একঘেয়েমি জমাট বেঁধে আছে। কোনো নতুনত্ব বা সৃজনশীলতা নেই, সেই ভাবনাও নেই। সবাই বুদবুদের মতো উঠেই মিলিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে আমি টাকা দিয়ে আড়ম্বরপূর্ণ ওয়াজ-মাহফিল আয়োজন করেছি, এর মানে তো এই নয় যে, আপনি মহররমে জারি গানের আয়োজন করতে পারবেন না কিংবা তা করা বারণ! আমি বাউল গানের আসর দিলাম, আপনি দিলেন কীর্তনের। আমার জলসা যেমন আপনার বাধা নয়, তেমনই আপনার আসরও আমার বিঘ্ন নয়। কেন তাহলে বিরোধ ফেনিয়ে তোলা? নিজের ছায়ার সঙ্গে শত্রু শত্রু খেলা। হয়েছে, অনেক হয়েছে। এবার একটু রাশ টানুন।

এই উৎসবে আগত শিল্পী-যন্ত্রী সবাই যদি অখ্যাত হয়ে থাকেন, অন্যদের জন্য দরোজা খোলা। তারা আরো পরিচিতদের, বিখ্যাতদের এনে এমন প্রোগ্রাম করুন না, যাতে দেশের মানুষ আরো সমৃদ্ধ হতে পারে। কেউ বাধা দেবে না। আর কলকাতা দাওয়াত না দিলেই বুঝি কেউ অখ্যাত হয়ে যায়? উচ্চাঙ্গ সংগীতের বিস্তার ও চর্চা পুরো ভারতে এমনভাবে হয় যে, কাকে রেখে কাকে ধরবো মতো অবস্থা। এর এক ঘরানার চর্চার সঙ্গে অন্য ঘরানার পার্থক্য রয়ে যায়। বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত চর্চার এ বিষয়টির সম্যক ধারনার জন্য একে একে সকল ঘরানার আয়োজনই শ্রবণের আওতায় আনতে হবে। আর তখনই মাত্র শ্রোতার কান তৈরি হতে পারে। আর তাই বিস্তৃত ভারতের নানা প্রদেশের, নানা ঘরানার গাইয়েদের সমাবেশ ঘটাতে হয়।

নিরাপত্তা? হ্যাঁ, তা তো দেওয়া লাগবেই। এভাবে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যদি সমস্যা তৈরি হয়, ইতিবাচকভাবে এর জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। কারণ, এদেশে সব সময় আন্তর্জাতিক মানের কেরাত মাহফিল হয়; দেশীয় মানের ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন হয়, শীতকালে প্রায় দেশের সর্বত্র। সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয় না। কারণ, উচ্চাঙ্গ সংগীতের কোনো উদ্যোগী বা শ্রোতা সেখানে গিয়ে গোল বাধায় না, কখনই না। কিন্তু মাহফিলের বক্তা-শ্রোতা-উদ্যোগীরা পরস্পরের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এক গোষ্ঠীর মাহফিল অন্যগোষ্ঠী পণ্ড করে দেয়, দিতে চায়। এরা গানেও গোল বাধায়, সুযোগ হলে তাদের অনুসারী ও ভক্তবৃন্দরা বোমা ফাটায়। তাই এখানে নিরাপত্তা লাগে।

মসজিদেও তো জুতাচোরের-পকেটমারের আগমন ঘটে। নামাজ চলাকালীন বা শেষে বের হওয়ার পর তুমুল ভিড়ের অপেক্ষায় থাকে এরা। এরা কখনো সুযোগ হাতছাড়া করে না। এ-জন্য কি মূল নামাজিদের জমায়েত নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা বিধেয়? এখানেও হয়ত অন্য ধান্ধাবাজদের আগমন ঘটে, তা বলে পুরো সমাবেশকে যৌনতাড়িত সঙ্গলিপ্সু হিসাবে গণ্য করা কতটা যৌক্তিক?

এবার আভোগে আসা যাক। ইনকিলাব শুরু থেকেই এদেশে ধর্মীয় উন্মাদনা ফেরি করে বেড়ায়। বাবরি মসজদ ভাঙারও অনেক আগে হঠাৎ করে সংবাদ ছেপে বসে, বাবরি মসজিদ শহিদ। পরে অবশ্য ভুল স্বীকার করে তারা। বাবরি মসজিদ ভাঙার পরেও ব্যাপক হারে সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা ছড়ানোর চেষ্টা করে। এদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী গোষ্ঠীর মূল প্লাটফর্ম তৈরি হয় ইনকিলাবেরই সুবাদে। জামায়াতে ইসলামি জমিয়তুল মুদাররেসিন ভেঙে বের হয়ে যাওয়ার পরই ইনকিলাব জামায়াত বিরোধিতায় নামে। এখন তো এ ইনকিলাব একেবারে মুক্তিযোদ্ধা!

এর জন্ম কাহিনিও অসাধারণ। মাওলানা মান্নান মাদরাসার গরিব ও নিরীহ শিক্ষকদের থেকে চাঁদা নিয়ে তা প্রকাশ করেছিলেন। তাদের প্রতি নির্দেশ ছিল, যেন তারা প্রত্যেকেই এক কপি পত্রিকা কেনেন। প্রতিশ্রুতি ছিল, অবশেষে এর মালিকানা সেই শিক্ষকদের হাতেই ফিরে যাবে। সে আর পূরণ হয় নি। এরপর থেকে পাঠক হারাতে থাকে। এর পাঠক ধরে রাখার একটাই কৌশলঃ ধর্মীয় অনুভূতির ব্যবহার। এখানেও এমনটি ঘটল... কিন্তু সে দিন কি আর আছে?

(খেইঃ ২৯ নভেম্বরে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত শিরোনাম-সংবাদের জবাবে লেখা)

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×