somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অশনি শঙ্কা

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রাচীন আমলের একটা জায়গায় ঘুরতে এসেছে মেয়েটি। অনেক পুরাতন একটি বাড়ি। এককালে জমিদার বাড়ি ছিল।

প্রায় আড়াইশো বছর বয়স হবে বাড়িটার। লতা-গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ গুলো বাড়িটাকে সবুজ বর্ণে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। শুধু সবুজ বর্ণেই নয়, অন্ধকারেও আচ্ছন্ন হয়ে আছে বাড়িটা। বাড়িটার চারপাশে বেড়ে উঠা বিশালাকার বটবৃক্ষগুলোই এই অন্ধকারাচ্ছন্নতার কারণ।

বাড়িটা সম্পর্কে অনেক শুনেছে মেয়েটি। দেখতে এল এইবারই প্রথম। কৌতুহল আর দেখার জন্য তর সইতে না পেরে একাই চলে এসেছে দেখতে। এসেই বুঝলো ভুল করেছে। এরকম দুর্গম এলাকার একটি দুর্গম বাড়িতে তার একা আসা উচিৎ হয় নি। কিন্তু এসেছে যখন, বাড়িটাকে ভালমত পর্যবেক্ষণ না করে চলেও যেতে পারছে না।

পা বাড়ালো বাড়িটায় ঢোকার উদ্দেশ্যে। অল্প একটু ভিতরে যেতেই গা ছমছম করতে লাগল তার। নাহ! একা আসা কোনমতেই উচিৎ হয় নি। ভয় লাগছে মেয়েটির। ফিরে যাবে কিনা ভাবছে। পিছন দিকে ঘুরলো ফিরে যাওয়ার জন্য। অল্প একটু গিয়েই থমকে দাঁড়ালো। সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না মেয়েটি।
কৌতুহল মেটানো? নাকি ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসা? কোনটাকে বেছে নিবে?
দোনোমোনো করছে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ভেবে নিল। অতঃপর কৌতুহল মেটানোটাকেই বেছে নিল।

পুরোনো দালান। বয়স বাড়ার সাথে দালান ইট-সিমেন্ট এর সম্পর্কও একটু একটু করে কমছিল। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ইট-সিমেন্টের সম্পর্ক অনেকাংশেই ক্ষয়ে গেল। তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিটা হয়েছে দালানের। দালানের জায়গায় জায়গায় সৃষ্ট হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য ছিদ্রের। ছিদ্রের বাইরের অংশটাকে আবার ছেয়ে নিয়েছে বিশালাকৃতির বটবৃক্ষগুলো। সূর্য মহাশয়ের আলো সেইজন্য আর বাড়িটির ভেতর এতটা ভালভাবে প্রবেশ করতে পারে না। পাতাভেদ করে যতটুকু যেতে পারে - ততটুকুই যায়। সেই আলোটাকে অবশ্য আলোকিত বলা যায় না কোনমতেই। টেনেটুনে আবছা-আলো বলা যায় ওটাকে। বাড়িটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে সাহায্য বাড়ির পিলারগুলোও বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে অনেকটাই। বেশ কয়েকটা শুধু নুয়েই পড়ে নি - ভূপাতিত হয়ে মিশেই গেছে মাটির সাথে। সব মিলিয়ে এটাকে জমিদার বাড়ি না বলে - জমিদার বাড়ির ধ্বংসস্তুপ বা কঙ্কাল বলাই শ্রেয় মনে হল মেয়েটির কাছে।

আবছা আলোয় হাঁটতে গা ছমছম করছে তার। যদিও এখন ভরদুপুর। কিন্তু বাড়িটির ভিতর দেখে মনে হচ্ছে সবে সকাল হয়েছে বুঝি। বাড়ির ভিতরেও বেহাল দশা। জায়গায় জন্মে উঠেছে শ্যাওলা-গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদগুলো। দীর্ঘকাল এইভাবে খালি ও পরিত্যাক্ত থাকার কারণে বাড়ির ভেতরটা স্যাঁতসেঁতে গন্ধে ভরা। বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না। কয়েক মিনিট ভিতরটায় হাঁটাহাঁটি করতেই হাঁপিয়ে গেল মেয়েটি। একে তো বাড়িটির ভিতর বাতাসের আনাগোণা কম, তারউপর অক্সিজেনের পরিমাণও অনেক কম, আবার মেঝেও বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে পিচ্ছিল হয়ে আছে। হাঁটতে বেশ কষ্টই হচ্ছে মেয়েটির। এভাবেই কষ্ট করে ধ্বংসস্তুপে পরিনত পুরো বাড়িটিকেই ঘুরে দেখার চেষ্টা করল মেয়েটি।

জমিদার বাড়ি যেহেতু, সেহেতু বাড়িটি প্রকাণ্ডই। ভিতরে অনেক কামরা। কামরাগুলোতে থাকত জমিদার, তার দুই পত্নী, দুই পত্নীর থেকে জন্ম নেওয়া ছেলেরা, ছেলের পত্নীরা। চাকর-বাকরদের জন্যও আলাদা কামরা ছিল। কামরা গুলো সব একই দিকে। উপরের তলায় থাকত জমিদার পরিবার, নিচ তলায় থাকত চাকর-বাকররা। জমিদারের দরবারশালার এখন আর আগের সেই জৌলুস নেই। ভেঙে চুড়ে একাকার হয়ে গেছে। ভাঙাচোরা জমিদার বাড়িটা ঘুরে দেখতে খারাপ লাগছিল না মেয়েটার। নিঃশ্বাস নিতে যে কষ্টটা হচ্ছিল তার, সেটাও এখন আর টের পাচ্ছে না। স্বাভাবিকই লাগছে তার কাছে।

আসলে কৌতুহলের কাছে কোন কিছুই টিকতে পারে না। নিজের মনঃশান্তির জন্যই কৌতুহলটা মেটানো লাগে। আর মনঃশান্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; এমন কোন শক্তির সৃষ্টি হয় নি দুনিয়ায়। হয়ত সাময়িক সময়ের জন্য আঁটকে রাখতে পারবে একটা মানুষকে। কিন্তু হার সেটার একটা সময় মেনে নিতেই হয়। মেয়েটিরও ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।

কৌতুহলের কারণে ভুলে গেছে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কথা, হাঁটতে অসুবিধা হওয়াটা, নিরিবিলি ছমছমে একটা জায়গায় ভয় পাওয়ার কথাটা, এমনকি সূর্য যে মধ্যগগন থেকে এখন পশ্চিম দিকে গড়িয়ে পড়ছে সেটার কথাও। যখন এটা বুঝতে পারল, অন্ধকার তখন বাড়িটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নেওয়া শুরু করেছে।

মেয়েটি তখন দাঁড়িয়ে আছে জমিদার বাড়ির নির্যাতন কক্ষে। নির্যাতন করার বিভিন্ন রকম সরঞ্জামাদি দেখতে পেল মেয়েটি। ওগুলো দেখেই জমিদারের নির্যাতন করার একটা চিত্র চোখে ভেসে উঠলো। কতটা অমানবিক নির্যাতন করত সেটা ভেবে শিউরে উঠলো মেয়েটি। কক্ষটায় বেশিক্ষন থাকার মত সাহস হল না মেয়েটির। ঐদিকে সন্ধ্যাও হয়ে গেছে। পুরোপুরি অন্ধকারে ঢেকে যাওয়ার আগেই বেরোতে হবে তার।

কিন্তু ইতিমধ্যেই একটা অঘটন ঘটে গেল। বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তাটা আর খুঁজে পাচ্ছে না সে। যেদিক দিয়ে এসেছিল, সেদিক দিয়েই বেরোতে হবে জানে সে। কিন্তু কোনদিক দিয়ে যে সে এসেছিল সেটাই আর মনে পড়ছে না। অনেকক্ষন যাবৎ বাড়িটিকে ঘুরে দেখেছে। রাস্তা খেয়াল করে রাখে নি। ভুল করেছে, মস্ত ভুল। বেশ কিছুক্ষন যাবৎ এদিক-সেদিক দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করল। ব্যর্থ চেষ্টা।

অন্ধকার এতক্ষনে পুরোপুরি আছড়ে পড়েছে বাড়িটির উপর। আঁটকে গেছে। একদম ভালভাবেই আঁটকে গেছে। শঙ্কিত হচ্ছে মেয়েটি। নিজেকে শান্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। ব্যর্থ চেষ্টা। কোনভাবেই নিজেকে শান্ত করতে পারছে না। 'শান্ত হও! শান্ত না হলে এখানেই আঁটকে মরতে হবে। কখনোই বেরোনোর রাস্তা খুঁজে পাবে না।' বিড়বিড় করে নিজেকেই বুঝালো মেয়েটি। কিছুটা কাজ হল এতে। বেরোনোর রাস্তা খোঁজার চেষ্টা কিছুটা সময়ের জন্য স্থগিত রাখল। বিশ্রাম নিতে হবে তার। মস্তিষ্কটাকে একটু আরাম দিতে হবে।

জমিদারের নির্যাতন কক্ষটাতেই ফিরে গেল। বসল গিয়ে একটা বেদীর উপর। ভয় লাগছে তার। 'ভয় পাওয়া যাবে না। ভয় পেলেই মরবে।' আবারও নিজেকেই নিজে বুঝানোর চেষ্টা করল মেয়েটি। বেদীর উপর বসেও শান্তি পেল না। নির্জন জায়গায় একটানা ঝিঝি পোকার ডাকে কানে তালা লাগার দশা হল তার। অক্সিজেনের অভাবটাও আস্তে আস্তে তাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। শ্বাস নিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে ওর। কোনভাবেই মস্তিষ্কটাকে বিশ্রাম দিতে পারছে না। মস্তিষ্ক নিজেই অবশ্য বিশ্রাম নিচ্ছে না। সে তার কাজ করেই যাচ্ছে।

জমিদার বাড়ির ইতিহাসটা মোটামুটি জানা মেয়েটার। এই মুহুর্তে জমিদার বাড়ির একটা ঘটনাই তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ঘটনাটা এই নির্যাতন কক্ষেরই। একটা লোককে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছিল জমিদার ও জমিদারের লোকেরা। লোকটার অপরাধ কি ছিল সেটা জানা যায় নি। তবে নির্যাতনের বিবরণটা বেশ ভালভাবেই পাওয়া গেছে। কথিত আছে, লোকটাকে নাকি বেদীতে শুইয়ে টানা দুইদিন চাবুক দিয়েই পেটানো হয়েছিল। টানা দুই দিন বিরতিহীন ভাবে। এতেও শান্ত হয় নি জমিদাররা। পুরোপুরি লোকটাকে মারার আগে একটা একটা কেটে নেওয়া হয়েছিল তার শরীর অঙ্গগুলো। ছাড়িয়ে নিয়েছিল পিঠের চামড়াও। সেই চামড়া তোলা ক্ষতটায় ঢেলেছে তাদের পান করার ‘শারাব’। লোকটা তখন যন্ত্রণায় কাঁতরাচ্ছিল। এভাবেই দীর্ঘ সাতদিনের নির্যাতনের পর লোকটার মুন্ডুপাত করে মৃত্যু কার্যকর করা হয়। কতটুক সত্য সেটা নিয়ে অবশ্য অনেকেই সন্দিহান। প্রায় আড়াইশো বছর আগের ঘটনা। লোকমুখে এতদিনে বদলে যাওয়াটাও অস্বাভাবিক না।

একটা গুজবও আছে এটা নিয়ে। যে লোকটাকে মেরেছিল, তার আত্না নাকি অনেকদিন পর্যন্ত ঘুরে বেড়িয়েছে বাড়িটির কক্ষের চারিদিকে। ইংরেজ আমলের অনেক দর্শনার্থী ঐ মৃতের আত্নার শিকার হয়ে প্রাণও হারিয়েছে। নির্যাতন কক্ষটা দেখতে কেউ যদি একা কখনো এসেছে, পরে নাকি তার মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা লাশ পাওয়া গেছে। কোন কোন লাশের মাথা থেঁতলানো ছিল, কোনটার বা হাত-পা ভাঙা, কোনটার মাথা ধড় থেকে আলাদা, আরো নানান ভাবে। গুজবে কান দিতে নেই। মেয়েটি সেই কথা ভাল করেই জানে। কিন্তু এই মুহুর্তে তার ঐ নির্যাতনের ঘটনা আর আত্নার ঘুরাঘুরি করার গুজবটায় মাথায় আসছে।

চিন্তাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিতে চাইছে। কিন্তু চিন্তাটা ঝেঁকে বসেছে তার মস্তিষ্কে। মেয়েটি ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছে। চিন্তা-ভাবনাও দুর্বল হচ্ছে আস্তে আস্তে। ধীরে ধীরে মেয়েটির যে অল্প একটু সাহস ছিল সেটাও গায়েব হয়ে গেল। সেই জায়গায় স্থান পেল ভয়। আতঙ্কিত হচ্ছে। শরীরে কাঁটা দিতে শুরু করল। দুর্বলতার জন্য চোখ দুটোও আর খুলে রাখতে পারছিল না। চোখের সামনে ভাসছে নির্যাতন করার সেই দৃশ্যটা। পুরোপুরি। দৃশ্যটা কল্পনা করতেই গা শিউরে উঠলো। কাঁপুনি অনুভব করল।

চোখ দুটো পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগেই মনে হল সে কাউকে দেখতে পেয়েছে। চোখ দুটো ঝট করে খুলে ফেলল। চারিদিকে তাকালো। নাহ! কেউ নেই। বুঝতে পারলো, সবই তার মনের দুর্বলতা আর ভয় পাওয়ার কারণে হচ্ছে। দূর থেকে মৃদু একটা শব্দ ভেসে আসলো। কেউ ডাকছে যেন, মেয়েটাকে। হাত দিয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিতে চাইলো। চোখ বন্ধ করল। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিল জানে না। কিন্তু মৃদু ডাকটা আস্তে আস্তে কাছে আসছিল তখন জেগে গেল।

শব্দের উৎসটার দিকে তাকালো। ঘন কালো অন্ধকার। কেউ থাকলেও দেখা যাবে না। আরেকবার ভেসে আসলো ডাকটা। এইবার অন্যদিক থেকে। ঝট করে তাকালো ঐদিকে। অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নজরে পড়ল না। কাঁপুনিটা বাড়তে লাগল তার। ডাকছে কেউ তাকে, কিন্তু কে? কে ডাকবে তাকে এখানে? আশেপাশে তো লোকালয়ও নেই। থাকলেও তাকে কারো চেনার কথা না।
কে ডাকবে তাকে?
আবার ভেসে আসলো শব্দটা। এবার অনেক কাছ থেকে। মেয়েটির নাম ধরেই ডাকছে মনে হলো। পুরোপুরি ভয় পেয়ে গেছে মেয়েটি।

বেদী থেকে উঠে দৌড়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল। কোন দিক দিয়ে যাবে জানে না। শুধু বের হয়ে যেতে পারলেই হয়। সে যে দিকেই যাচ্ছে, শব্দটাও তার পিছু পিছু যাচ্ছে। ভয় আরো বাড়তে লাগলো মেয়েটির। অন্ধকারে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। দৌড়াতে গিয়ে দেয়ালের সাথে ধাক্কাই খাচ্ছে। তবুও যতটা সম্ভব অন্ধকারেই দৌড়ে যেতে লাগলো। পিচ্ছিল মেঝের উপর দিয়ে হাঁটাই কঠিন, সেই জায়গায় দৌড়ানো? অসম্ভব একটা কাজ। সেই অসম্ভব কাজটা করতে গিয়েই পিছলে কয়েকবার পড়লও সে। আছড়ে পড়ে কোমড়ে বেশ ব্যথা পেয়েছে। দৌড়ানো কঠিন হচ্ছে তার জন্য। কিন্তু থেমেও থাকতে পারছে না। কারন, শব্দটা যে তার পিছু লেগেই আছে। কোনরকমে দৌড়াচ্ছে।

মেঝে শুধু পিচ্ছিল হলেও এক কথা ছিল। বাড়ির ভেঙে পড়া ইট-সুরকিও পড়ে রয়েছে মেঝেতে। অন্ধকারে এইগুলোর কোন একটাতেই পা লাগায় আছড়ে পড়ল। পা-টা ভেঙে গেছে। প্রচন্ড ব্যথা পায়ে। আছড়ে পড়ার সময় মাথাটা গিয়ে লেগেছিল দূরে পড়ে থাকা আরেকটি ইটের টুকরায়। সাথে সাথেই মাথা থেকে রক্ত ঝড়া শুরু হয়। মাথার ভেতরটা একদম ঘোলাটে মনে হচ্ছে এখন মেয়েটার কাছে। ভাঙা পা নিয়ে উঠতেও পারছে না।

শব্দটা ক্রমশই এগিয়ে আসছে তার দিকে। কাছে! আরো কাছে! এখন আর একদমই শ্বাস নিতে পারছে না। শব্দটা যখন তার একদম কাছে পৌছালো, তখন এক গগন বিদারী চিৎকার শোনা গেল।

এরপর?

এরপর মেয়েটির শ্বাস-নিঃশ্বাসের কষ্টটা চিরতরের জন্য থেমে গেল। চোখদুটো বুজে গেল অনন্তকালের জন্যই। চিন্তাশক্তিও স্থবির। মস্তিষ্ক পুরোপুরি বিশ্রামে।

এখন যদি মস্তিষ্কটা কাজ করতো তাহলে বুঝতো কেউই তাকে ডাকে নি। সবটাই ছিল তার মনের ভুল!

---

বাচ্চা আমলের লেখা! হঠাৎ চোখে পড়লো। ভাবলাম দিয়েই দেই। সবারই জানার অধিকার আছে, আগে কত খারাপ লিখতাম পারি! :P

মজার ব্যাপার হল - এইটা এক ছোট ভাইয়ের অনুরোধে তার গল্প সংকলন বইয়ের জন্য দিছিলাম - পরেরটা ইতিহাস। এরপর থেকে ছোট ভাইটার সাথে খুব একটা দেখা সাক্ষাৎ/কথাবার্তা হয় নাই আমার :P

পাঠকের গালি খাওয়ার জন্য পুরোদমেই প্রস্তুত আছি। :-B :D

বাচ্চাকালের আরেকটা লেখাও দিয়েছিঃ লোভ

লেখাটি সপ্তম বাংলা ব্লগ দিবস প্রতিযোগীতায়ও পাঠিয়েছিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৫
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঘরে ফেরার টান

লিখেছেন স্প্যানকড, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৬:৩১

ছবি নেট।

তুমি মানে
সমস্ত দিনের ক্লান্তি শেষে
নতুন করে বেঁচে থাকার নাম।

তুমি মানে
আড্ডা,কবিতা,গান
তুমি মানে দুঃখ মুছে
হেসে ওঠে প্রাণ।

তুমি মানে
বুক ভরা ভালোবাসা
পূর্ণ সমস্ত শূন্যস্থান।

তুমি মানে ভেঙ্গে ফেলা
রাতের নিস্তব্ধতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বজলুল হুদাকে জবাই করে হাসিনা : কর্নেল (অব.) এম এ হক

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৯

মেজর বজলুল হুদাকে শেখ হাসিনা জবাই করেছিলেন।

(ছবি ডিলিট করা হলো)

শেখ মুজিবকে হত্যার অপরাধে ২৮শে জানুয়ারী ২০১০ এ মেজর (অব.) বজলুল হুদা সহ মোট ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মি. চুপ্পুর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি-জামাত; কারণ কী?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬


বিএনপি গত ১৬ বছর আম্লিগের এগুচ্ছ কেশও ছিড়তে পারেনি অথচ যখন ছাত্ররা গণহত্যাকারীদের হটিয়েছে তখন কেন বিএনপি চু্প্পুর পক্ষ নিচ্ছে? অনেকেই বলছে সাংবিধানিক শুন্যতা সৃষ্টি হবে তার সংগে বিএনপিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারেরা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুমিয়াকে চান না, কিন্তু বিএনপি কেন চায়?

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪



**** এখন থেকে ১৯ মিনিট পরে (বৃহ: রাত ১২'টায় ) আমার সেমিব্যান তুলে নেয়া হবে; সামুটিককে ধন্যবাদ। ****

***** আমাকে সেমিব্যান থেকে "জেনারেল" করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিকাহের পরিবর্তে আল্লাহর হাদিসও মানা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×