somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সশ্রদ্ধ সালাম মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চার স্থপতিকে ...

০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস।বিশ্বমানবতা ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে আরেক বেদনাময় কলঙ্কিত দিন।রক্তৰরা জেলহত্যা দিবস।স্বাধীন বাংলাদেশের যে ক'টি দিন চিরকাল কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, তার একটি ৩ নবেম্বর।যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্ৰিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে অন্যতমটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের এ দিনে।বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৩৫ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ৩ নবেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ মহান মুক্তিযুদ্ধের নায়ক, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।



২৬ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করার পর ৩রা এপ্রিল মুজিবনগর যে সরকার গঠিত হয় চার গুরুত্বপূর্ন পদে ছিলেন এই চার বীর নেতা।

১) সৈয়দ নজরুল ইসলাম - ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপুস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট)
২) তাজউদ্দিন আহম্মেদ - প্রধানমন্ত্রী
৩) কামরুজ্জামান - ত্রান ও পূর্নবাসন মন্ত্রী
৪) ক্যাপ্টেন মনসুর আলী - অর্থমন্ত্রী

এই চারজন বীর নাবিক পুরো নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ কালীন ৭১ এ বঙ্গবন্ধু কারাবন্দি থাকায় তারাই স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যান । সময় বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে থেকে পুরো যুদ্ধটা চালিয়ে বিজয়ের বন্দরে পৌছেছিলেন সফলতার সাথে।


এ জাতিকে পুরোপুরি পঙ্গু করার জন্যই ঘাতকরা সেদিন রাতের আঁধারে পৃথিবীর জঘন্যতম এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।এ শোকের কি শেষ আছে।রক্তের দাগ না শুকাতেই খুনিরা এ মর্মান্তিক হত্যাকান্ড ঘটালো।এবার যাদেরকে হত্যা করা হলো, তারা হলেন বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী সফল অধিনায়ক।বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে কাছের মানুষ,যোগ্য উত্তরসূরী।ঘাতকরা জানতো এই জাতীয় চার নেতা জীবিত থাকলে তারা কোন দিন পার পাবেনা।তাই তারা ৩রা নভেম্বর এ জগন্যতম হত্যাকান্ডে মেতে উঠলো।খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেও নিজেদেরকে নিরাপদ ভাবতে পারেনি,সব সময় আতঙ্কে ছিল কখন জনতা ফুঁসে উঠে!

কলঙ্ককময় ইতিহাস সৃষ্টির সাথে জড়িত যারা এরাতো এদেশেরই মিরজাফরদের দোসর!মানুষ নামের কলঙ্ক।হায়েনার চেয়েও হিংস্র।যতদিন এই বাংলাদেশ থাকবে , ততদিন ওরা ঘৃণিত হয়ে থাকবে এই বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে! কে কবে শুনেছে জেলখানায় বিনা বিচারে আবদ্ধ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করতে!এ হত্যার কাহিনী হিটলারের নিষ্ঠুরতাকেও ছাড়িয়ে যায।

মানুষ কিভাবে পারে চার দেয়ালে বন্দি অন্য মানুষের বুক জানালার ফাঁক দিয়ে রাইফেলের গুলিতে ঝাঁজরা করে দিতে।স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশমাতৃকার সেরা সনত্মান এ জাতীয় চার নেতাকে শুধুমাত্র গুলি চালিয়েই ৰানত্ম হয়নি, কাপুরম্নষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ৰতবিৰত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল। বাঙালীকে পিছিয়ে দিয়েছিল প্রগতি-সমৃদ্ধির অগ্র মিছিল থেকে। ইতিহাসের এ নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, সত্মম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব।এরা মানুষ নাম নিয়ে পশুর চেয়েও কতনিচে।কত অধম! কত নিকৃষ্ট!আবার এরাই হলো তথাকথিত ধার্মিক! আমাদের কল্পনাও হার মেনে যায়, কিভাবে নিছক ক্ষমতার লোভে রাজনীতির স্বার্থে একশ্রেনীর মানুষ আবার এসব মর্মান্তিক পশুত্বকে সমর্থন করে।যারা এসব হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বেনিফিসিয়ারী তারাও কি এ হত্যার দায় এড়াতে পারে।যদি মানুষ হয়ে থাকেন,একবার নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন!

আজ জাতীয় চার নেতার যে সব স্বজনরা জীবিত আছেন তাদের কথা একবার ভাবুন! যার বাবাকে,যার স্বামীকে,যার ভাইকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে, কি ব্যাথা তার বুকে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে যার পিতা পানি পানি করে চিৎকার করে পানি না পেয়ে মারা গেছেন! তার বুকে কি দাউ দাউ আগুন,একমাত্র সেই জানে।আহা!এইতো স্বাধীন বাংলাদেশ।

যে পাখীটি জবাই করা হয় তারও বাঁধন খুলে দিতে হয।কারগার হলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্বাগার,৩রা নভেম্বর যদি হয় সেই নিরাপত্বার নমুনা,যুগযুগ ধরে মানুষ সেই নিরাপত্বাদানকারীদের জন্যে থুথু ছাড়া আর কোন যোগ্য প্রতিদান দেবে? যে যত বড় দাম্ভিকই হোক ইতিহাস মুছতে পারেনা কেউ।দেশকে স্বাধীন করার আপরাধে যারা খুন হলো, কোন মুখে এ জাতি দাড়াবে তাদের কাছে।আজ ক্রীতদাস না হলে কেউ কি ভাবতে পারে!এ দেশ যদি আজ স্বাধীন না হতো তাহলে কত সুখেই না আমরা থাকতাম!পশ্চিমারা আামাদেরকে কত ইজ্জতই না দিত! হায়েনাদের কলোনী হয়ে থাকা কত মধুরই না ছিল!বিশ্বে বাঙালীদের কত পরিচিতিই না ছিল।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী চার জাতীয় নেতাকে গ্রেফতার করে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে পাঠানো হয়। পরবর্তী অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কু্য পাল্টাকু্যর রক্তাক্ত অধ্যায়ে ৩ নবেম্বর সংঘটিত হয় জেল হত্যা।বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকা- ছিল একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।বিশ্বাসঘাতক খুনীদের পরিকল্পনা,উদ্দেশ্য আজ জাতির সামনে পরিষ্কার।মিথ্যা কুয়াশার ধূম্রজাল ছিন্ন করে আজ নতুন সূর্যের আলোর মতো প্রকাশিত হয়েছে সত্য।আসলে হত্যাকারীরা এবং তাদের দোসররা চেয়েছিল পাকিসত্মান ভাঙ্গার প্রতিশোধ নিতে, রক্তৰয়ী মুক্তিযুদ্ধ ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনকারী দেশটিকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের আবর্তে নিৰেপ করতে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিকতার পথ থেকে সদ্য স্বাধীন দেশটিকে বিচু্যত করা এবং বাংলাদেশের মধ্যে থেকে একটি মিনি পাকিসত্মান সৃষ্টি করা।এখানেই শেষ হয়নি স্বাধীনতার শত্রম্নদের ষড়যন্ত্র।'৭৫-এর পর থেকে বছরের পর বছর বঙ্গবন্ধুর নামনিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা চলেছে।৩৫ বছর ধরেই ঝুলে আছে বিচার।

এ জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞের ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এ কাপুরম্নষোচিত হত্যা মামলার প্রকৃত বিচার হয়নি, অনেক খুনী ও তাদের দোসররা এখনও রয়েছে বহালতবিয়তে ও খুনিরা আজও এ সমাজে বহাল তবিয়তে আছে!সেই থেকে কেটে গেছে ৩৫ বছর। কিন্তু জাতির এই চার কৃতী সন্তানের হত্যার বিচার-প্রক্রিয়া এত দিনেও শেষ হয়নি।প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন পর শুরু হওয়া বিচার-প্রক্রিয়া এখন পৌঁছেছে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল শুনানি পর্যন্ত। যাদের নেশা রক্তের হোলি খেলা তাঁদেরকে মানুষ বলা যায়না।এরা প্রৃতিক্রিয়াশীল শক্তি ।ধর্মের নাম নিয়ে এরা নিরীহ ধর্মভীরু মানুষকে বার বার ধোঁকা দিয়ে আসছে।এদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো যেভাবেই হোক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়া !এদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে!স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকল শক্তিকে এক হয়ে কাজ করার সময় কি এখনও হয়নি?

যারা দেশকে ,জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতে চায় ,যারা দেশকে মেধাশূন্য করতে চায় ! যারা স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে দিতে চায় ! যারা জাতির জনকের হত্যার সাথে জড়িত ! ৩রা আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ! যারা সর্বশেষ ২১শে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত ! যারা জাতির জনকের মর্মান্তিক শাহাদৎ বার্ষিকীতে মিথ্যা দিনের কেক কেটে রক্তানোন্দের হোলি খেলায় মেতে উঠে ! তাদের সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ত্বদানকারী শক্তি কিভাবে এক টেবিলে বসে!

জাতির এ কলংকময় ঘটনার সাথে জড়িতদের যাতে কোনদিন বিচারের কাঠ গড়ায় দাড়াতে না হয় সে জন্য ঘাতকেদের পৃষ্ঠপোষকরা সে কুখ্যাত কাল আইন (ইনডেমনিটি অ্যাক্ট) করেও পার পাবে কতোকাল ? তারা জানেনা, পাপে ছাড়েনা বাপেরেও ! এ হত্যার বিচার হবেই বাংলার মাটিতে ! সে দিন আর বেশী দুরে নয়। যারা পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে এ হত্যাকান্ডের বেনিফিসিয়ারী হয়ে খুনিদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ! বাঙালী জাতি তাদেরকেও কোনদিন ক্ষমা করবে না । বাঙালীর বহমান ইতিহাস তাই বলে ! এ জাতি বড় দুঃসাহসী, বিশ্ব বাসি তা জানে।

রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি।এ দাগ শরীর থেকে মুছে গেলেও মন থেকে কোনদিন কি মুছবে?এ দাগ যে বড় বেদনাদাযক। বড় শোকাবহ।

আজ জাতির সামনে সময় এসেছে জাতিয় এ অবিসংবাদিত চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তাজউদ্দিন আহম্মদ,ক্যাপ্টেন এম.মুনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানের মূল্যায়নের । যারা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে এতবড় একটি মুক্তিযুদ্ধকে সুচারুভাবে পরিচালনা করে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের যৌক্তিকতা বর্হি:বিশ্বে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছেন ,যারা পাহাড় সমান মনোবল নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেশবাশিকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছেন, যারা পাকিস্থানী হানাদারদেরকে মাত্র নয় মাসের ব্যবধানে পরাজিত করে বিশে¡র বুকে এক নতুন ইতিহাস রচনা করতে সমর্থ হয়েছেন, এসব স্বাধীনতাকামী নেতারা দেশের জন্য কি না করেছেন ! কটা রাত তাঁরা নির্ভাবনায় ঘুমিয়েছেন! কটা দিন তারা পরিবারের সংগে, ছেলে মেয়েদের সংগে কাটিয়েছেন ! যারা দেশের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করলেন আজ তাদের হত্যার রায় নিয়েও আইনের বহু মারপ্যাচ দেখানো হচ্ছে ।অথচ তৎকালীন সময়ে এ হত্যাকান্ড যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেখেছে তারা আনেকেই আজও জীবিত। কি বিচিত্র এ দেশ ! দেশের কেন্দ্রীয় কারাগারে অনধিকারে প্রবেশ করে দেশের চারজন শীর্ষ রাজনীতিবিদকে হত্যা করা হলো ।অথচ তাদের পরিবারই যদি বিচার না পায় ! তবে আর কারা এ দেশে বিচার পাবে !

স্বাধীনতার সফল চার রূপকার ! হায়েনারা তোমাদেরকে শারিরিক ভাবে হত্যা করলেও তোমরা অমর হয়ে আছ প্রতিটি বাঙ্গালীর হ্রদয়ে ! তোমাদের অবদান কোনদিন ইতিহাস থেকে মুছে যাবে না।তোমরা বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান ! তোমরা আমাদের গর্ব ।তোমাদের রক্তের ঋণ বাঙালী কোনদিন ভুলবে না ।একদিন এ হত্যার আসল ইতিহাস বেরিয়ে আসবেই । অন্তত পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে ! একটি দুটি প্রজন্ম বেঈমান হতে পারে , কোন জাতি চিরকাল বেঈমান থাকে না।

১৯৭১ এ তারা প্রমাণ করে দেখিয়েছে সৎসাহস থাকলে যে কোন শক্তিকে মোকাবেলা করা যায়।তারা দেখিয়েছে কিভাবে দা, কুড়াল, লগি, বৈঠা নিয়ে একটি দেশকে স্বাধীন করা যায় ।বিশ্ববাসি দেখেছে কিভাবে গভীর মনোবল নিয়ে এ দেশের দামাল ছেলেরা অত্যান্ত দুর্ধর্ষ নিয়মিত একটি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছে ! এ জাতি কে বার বার প্রতিক্রিয়াশীলরা দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে কিন্তু কোন বারই শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেনি।এবারও পারবেনা।

যারা এ জঘন্য কাজ করেছে তাদের অনেকেই আজ ইতিহাস।আর যারা বেঁচে থেকে- নিজেদের সভ্য বলে ভাবার চেষ্টা করছি তাদের জন্য এটা একটা অতীব জরুরী কাজ- সকল হত্যার বিচার নিশ্চিত করা।আসুন আমরা সবাই মিলে চিত্কার করে বলি "আইন সবার জন্যে সমান"। সবার বিচার পাওয়ার অধিকার আছে সবার জন্যে বিচারের দ্বার উন্বুক্ত হোক।

জাতীয় চারনেতার মৃত্যু দিবসে আসুন এক মুহূর্তের জন্য থামি - কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করি তাদের মুক্তিযুদ্ধে অবদানকে। ঘৃনা করি তাদের হত্যাকারী এবং সেই হত্যার পিছনে থাকা এবং হত্যাকান্ডের সুবিধাভোগী সকল কুচক্রীদের। আসুন বিচারের জন্যে সোচ্চার হই - তাদের বিদেহী আত্বার প্রতি যথাযথ সন্মান জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:০৬
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×