প্রত্যেক বছর বাড়িতে বলে আসি গাছে ওষুধ দিতে। কয়েক বছর হল ফলগাছে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য লোক আসে—ওষুধ ছিটিয়ে টাকা নিয়ে যায়। চারিদিকে তো এখন কীটনাশক, ফরমালিন বিরোধী একটা হাওয়া চলছে। তাই আমিও ওষুধ স্প্রে করতে নিষেধ করেছিলাম।
আমাদের উঠোনে একটা বোম্বাই জাতের লিচু গাছ আছে। পরিবারের চাহিদা ওটা থেকেই মিটে যেত। ছোট বলা থেকে তাই দেখে আসছি। আগে কোনও কীটনাশক ছিটাতে হত না। কিন্তু এখন ছিটাতে হয়। সমস্যা হল গাছটি বছর সাত হবে এত বড় হয়েছে যে অত উঁচুতে ওষুধ ওঠে না। ফলে এখন আর লিচু খাওয়া হয় না। সবাই যখন বিষ ছিটায়, সেখানে এই গাছে কীটনাশক না থাকায়, রাজ্যের যত পোকা এসে হামলা চালায়। লিচু এখন পোকার খাবার।
লিচু গাছের ঘটনা থেকেও আমার শিক্ষা হয়নি। আসলে আমেও যে এই রকম পোকা হতে পারে ধারণা ছিল না—আগে তো কেউ ওষুধ দিত না।
প্রথমে যেটা উল্লেখ করেছিলাম, আম গাছতলায় আম পড়েই থাকে কেউ খায় না। আমি আহাম্মক সেজে বাড়ি থেকে চলে আসি। এখন অবস্থাটা এমন হয়েছে যে হয় আমাদের পোকা সুদ্ধ ফল খাওয়া শুরু করতে হবে, নয়ত বিষ খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
আহা রুবন
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১২