টিভি খুললেই শুরু হয়ে যাবে কিছু ছেলেমেয়ের নাচন-কুদন। কেননা তারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে, ইন্টারনেট ব্যবহার করলে নাচানাচি করতে হয়, এটাই নিয়ম। আর বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয় কেবল ফেসবুক ব্যবহার তথা সেলফি পোস্ট করার জন্য। আর কোনও কাজ নেই , থুক্কু আর একটা আছে প্রেম করা যায়—প্রেমিকা বা স্ত্রীর সাথে ঘুম কামাই করে। তাদের বিজ্ঞাপনগুলো দেখলে মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। কত সহজে দূরের দেশি, বিদেশি আপনজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি—কত শক্তিশালী তাদের নেটওয়ার্ক!
বিজ্ঞাপনের সময় নাচে আর গান গায়। গাইবেই তো কত শক্তিশালী তাদের নেটওয়ার্ক! কথা কিন্তু একশত ভাগ ঠিক, তবে শক্তিশালী থেকে কেবল শক্তিকে বাদ দিতে হবে। হ্যাঁ; শালী যেমন স্ত্রীর বিকল্প নয় খালি লোভ দেখায়, কিন্তু আসল কাজের বেলায়, উঁ হুঁ... এদের (শক্তি)শালী নেটওয়ার্কও তেমনি।
আমার বর্তমান বাস একটি জেলা সদরে। বিভিন্ন ব্লগ, সাইটে ঘোরাঘুরির কিছুটা অভ্যাস আছে। মোবাইল সিম দিয়েই আন্তর্জালিক কাজটা করে থাকি। টেলিটক বাদে আর সব সিমই আছে কিন্তু মডেমে অপারেটরদের বদ বদ বদান্যতায় সবগুলোই শালীও নয় হিজরা। ব্যতিক্রম কেবল গ্রামীণ ফোনের বেলায়—সে পারে তবে...কিন্তু...যদি...
আচ্ছা একটি জেলা শহরেই যদি এই অবস্থা হয়, গ্রামাঞ্চলের অবস্থাটা তবে কী? এদের কি গ্রাহক সেবা দেয়ার কোনও পরিকল্পনা আছে? অবশ্য টিভিতে নাচন-কুদন দেখিয়ে বিনোদন দেয়াও তো অনেক বড় সেবা! না কি বলেন?
এইবার আসি দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণের কথায়। সংযোগ পাওয়ার কিছুক্ষণ পরই দেখা যাবে H নেই শুধু 3G আছে। আর চাক্কাখানা থামে আর চলে থামে আর... কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীর মতো কিছুক্ষণ কোঁতাকুঁতি করার পর পুৎ করে একটা শব্দ। (শক্তি)শালী গ্রামীণ হাগু করে দিয়েছে—মানে সংযোগ বিচ্ছিন্ন। তাই এই হাঁড়ির ব্যবস্থা। যেখানে ৭/৮ মিনিট পর পর কুরুৎ কুরুৎ করে সংযোগ কেটে যায়, সেখানে এই হাঁড়ি প্রযুক্তি ব্যবহারে সাধারণত লাইন কাটে না শুধু স্লো হয়। কিন্তু সমস্যা একটা আছে, ঈদে না কি আমায় হাঁড়ি নিয়ে বসে থাকতে দেবে না, তিনি বলে দিয়েছেন...
আহা রুবন