আলকায়েদা, তালেবান, ইসিলামিক স্টেট (I.S), আমাদের দেশে জে.এম.বি, হিযবুততাহরি, আনসারউল্লাহ বাংলা এরা সবা্ই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের (আমেরিকার)গুপ্তচর (সি.আই.এ) মিশন।ইসলাম ধর্মাবলম্বি বা মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ সৃষ্টি করা।
১৯৩০ এর দশক থেকে শুরু করে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন পর্যন্ত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের (আমেরিকার) একমাত্র ব্রত ছিলো কমিউনিস্টদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ সৃষ্টি করা। মার্কসবাদি, এঙ্গেলসবাদি, লেনিনবাদি, স্টালিনবাদি, ট্রটস্কিবাদি, মাওবাদি, লিপেংবাদি, মস্কোপন্থি, পিকিংপন্থি, আন্তদেশিয় যতো প্রকার বিভেদ সৃষ্টি সম্ভব সব মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের (আমেরিকার)গুপ্তচর(সি.আই.এ)করেছে। ১৯৯২ তে সোভিয়েত ইউনিয়নের সফল পতনের পরে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের (আমেরিকার)গুপ্তচর (সি.আই.এ) মিশন ইসলাম ধর্মাবলম্বি বা মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ সৃষ্টি করা। কারণ কোরআনে আছ একদিন সমগ্র বিশ্ব মুসলমানদের নেতৃত্বে চলবে। এ কারণেই ইসলাম ধর্মাবলম্বি বা মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ সৃষ্টি করা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের (আমেরিকার)গুপ্তচর(সি.আই.এ) মিশন ।মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের (আমেরিকার)গুপ্তচর (সি.আই.এ) মিশন ইসলাম ধর্মাবলম্বি বা মুসলমানদের ধর্মিয় অনুভুতিতে আঘাত করার জন্যে ব্লগারদের দিয়ে আল্লাহ, নবি করিম হযরত মুহম্মদ (সঃ), কোরআন ও হাদিস নিয়ে অশালিন, অশোভন, অপমানজনক, বিরক্তিকর, উত্তেজক, আপত্তিকর লেখার মধ্য দিয়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বি বা মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদ সৃষ্টি করা ।
নাস্কিরা ধর্ম কর্ম করে না। তারা Dialectic Materialism, বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ, ডারউ্নের জীব তত্ববাদ পড়ে ভিন্ন মত পোষণ করে। কিন্তু কখনো অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে বলেছে বা লিখেছে – এমন প্রমান নেই বোধকরি। “ব্লগারদের” দিয়ে আল্লাহ, নবি করিম হযরত মুহম্মদ (সঃ), কোরআন ও হাদিস নিয়ে অশালিন, অশোভন, অপমানজনক, বিরক্তিকর, উত্তেজক, আপত্তিকর লেখানো ও “জঙ্গি তৎপরতা” মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের (আমেরিকার)গুপ্তচর (সি.আই.এ) মিশন । অন্য ধর্মাবলম্বিদের বিষয়েতো কেউ লেখে না ! আলকায়েদা, তালেবান, ইসিলামিক স্টেট (I.S), আমাদের দেশে জে.এম.বি, হিযবুততাহরি, আনসারউল্লাহ বাংলা এরা সবা্ই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের (আমেরিকার) গুপ্তচর (সি.আই.এ) মিশন।
আমাদের দেশের মুসলিম ধর্মের রক্ষাকারী বা সেবক হিসেবে যারা সমাজে রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত – আলেম, ওলামা, পীর, মাশায়েখ, মাওলানা, মৌলভি, হিসেবে (নামে) যারা আমাদের সমাজে পরিচিত- -তারা সেটি অনুধাবন করতে পারছে না। এক শ্রেনির আলেম, ওলামা, পীর, মাশায়েখ, মাওলানা, মৌলভি, হিসেবে(নামে) যারা আমাদের সমাজে পরিচিত-
আমাদের দেশের মুসলিম ধর্মের সেবক বা রক্ষাকারী হিসেবে যারা সমাজে রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত – তাদের দ্বারা নামাজকে বিভক্ত করেছে ( নামাজে দাড়িয়ে হাত বাধার নিয়ম – বুকের উপর এবং নাভি বরাবর বা নাভির নিচে - নামাজে দাড়িয়ে পা রাখার নিয়ম – চার আঙ্গুল বা এক বিঘা ফাকা অথবা যতো বেশি সম্ভব পা ফাকা করে একর পায়ের সাথে অন্যের পা মিলিয়ে দাড়ানো- সুরা ফাতেহার শেষে ”আমিন” বলার (উচ্চারণের – জোড়ে – কিংবা মনে মনে) নিয়ম - সুরা ফাতেহা পড়ার নিয়ম (জোহর ও আসর এবং মাগরিবের শেষের এক রাকাতে ও এশার ফরজ নামাজের শেষের দু্ই রাকাত নামাজে ইমামের পিছনে যারা দাড়াবেন তাদের সুরা ফাতেহা পড়তে হবে, একদল বলেন পড়তে হবে না …..ইত্যাদি............ ইত্যাদি ........... ইত্যাদি……. বিতর্ক সৃষ্টি করে চলেছে) ? যারা রোযাকে বিভক্ত করেছে (শুরু ও শেষ নিয়ে- কেউ বলে চাদ দেখে – আর এক দল বলে - সৌদি আরবের সাথে) ? যারা তারাবি নামাজকে বিভক্ত করেছে (এক দল বলে ৮ রাকাত ও আর এক দল বলে ২০ রাকাত) ? যারা ঈদকে বিভক্ত করেছে (এক দল বলে ১ দিন আগে ও এক দল বলে ১ দিন পরে) ? যারা কোরবানিকে বিভক্ত করেছে ? যারা আমাদের দেশে প্রচলিত শত শত হাজার বছরের ধর্মীয় বিশ্বাসকে বিভক্ত করেছে ? যারা আমাদের দেশে প্রচলিত শত শত হাজার বছরের ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসকে বহুদা বিভক্ত করেছে ? তাদের বিরুদ্ধে সরকার , সমাজ , ইসলাম ধর্মাবলম্বি মানুষ কি করছে ?
আমরা জানি নবি করিম (সঃ) এক জামাতে নারী – পুরুষ একত্রে মিলে নামাজ শিখেছেন ও শিখিয়েছেন - জিব্রাইল ( আঃ) এর মাধ্যমে ( সাহায্যে) । আজ নারী পুরুষের নামাজের ব্যবধান সৃষ্টি কে করলো ? (নারীর নামাজে দাড়িয়ে বুকে হাত বাধার নিয়ম ? সেজদার সময় হাত মাটিতে মিলিয়ে রাখার নিয়ম? ? ……………. প্রভৃতি…………. প্রভৃতি……….)
। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিৎ । আলেম, ওলামা, পীর, মাশায়েখ, মাওলানা, মৌলভি, হিসেবে যারা আমাদের সমাজে ইসলাম ধর্মের প্রচারক ও ইসলাম ধর্মের রক্ষক বা সেবক হিসেবে পরিচিত - তাদের ঐকমত্য হয়ে কোরআন হাদিস(সুন্নহ) মোতাবেক কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ, কোরআন হাদিস(সুন্নহ) মোতাবেক কঠোর প্রতিরোধ হওয়া উচিত- নইলে নামাজ, রোজা, হজ্জ- যাকাত নিয়ে সাধারণ মুসলমানরা বিভ্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত, হবে প্রতিনিয়ত, এবং ধর্ম কর্ম সংক্রান্ত আচার আচরণ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে । আর এই সব বিভ্রান্তির কারণে হয়তো আজ ”জঙ্গিবাদী” অভিযোগ বইতে হচ্ছে ইসলাম ধর্মাবলম্বিদের (বিশ্ব মুসলমানদের)। এ অবস্থা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। আর এর নেতৃত্ব দিতে হ্বে আমাদের দেশের - আলেম, ওলামা, পীর, মাশায়েখ, মাওলানা, মৌলভি, হিসেবে যারা আমাদের সমাজে ইসলামের প্রচারক ও রক্ষক বা সেবক হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছেন শত শত বছর ধরে ।নইলে মহা সর্বনাশ হবে ইসলাম ধর্মের ও ইসলাম ধর্মাবলম্বিদের ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৬