স্পষ্টভাষী চাঁদগাজী
এক যে ছিলো চাঁদগাজী,
কথায় কথায় ধরতো বাজী।
তরুণ, প্রবীণ, পুলিশ,কাজী,
ছাড় পেতো না, খুঁচতো পাজী।
সে যে কথার প্যাঁচে ভাঙতো লোকের মন।
সবাই যেনো মূর্খ-বোকা, গাধা বিলক্ষণ।
তর্কে যখন হারতো মানুষজন,
বদনামীতে ছুটতো কথার রণ।
এমন লোক যে কেনো আসে ভবে ?
ভেবে না পাই ভাবতে বসি যবে।
লোকটা নাকি ভালো ছিলো তবে।
কারো ক্ষতি কেউ দেখেনি কবে।
এসব যখন লিখছি তখন বেশ হেসেছি ক্ষণ।
আমিও কি বুঝতে পারি কি এই জীবন ?
ধরায় এসেছি বটে, থাকবো কতক্ষণ ?
ভেবেই মাথাটা ঘুরেছে বনবন।
ধুর! হোকনা সবাই সিরিয়াস,
আমাদের চাঁদগাজী সেলুকাস !
শঠ দুনিয়ার সার্কাসে,
পিটাক তুলোধুনো কার্পাসে।
সে তো ইচ্ছায় ভুল না বলে,
যা বুঝেছে তাইতে চলে।
সবই যে সঠিক হালে,
কে পেয়েছে কোন কালে?
আজকে আমি ধরছি এক বাজী।
বলছি জোরে, শোন হে চাঁদগাজী,
আজকে যারা কথা কইতে ভীষণরকম লাজি,
একদিন তারা শিখবেই তোমায় ভাঙতে দ্বিধা রাজি।
সেদিন তোমার মাথায় দিবে সাহস মুকুট সাজি।
লেখাটা প্রকাশ পর ভাবি,
এই রে, খাবো নাত খাবি!
চাঁদ যদি তেড়ে আসে ধাবি?
নাহ, আগেই বন্ধু করি দাবী।
ভালো থাকো গো চাঁদগাজী,
চলুক তোমার পষ্টবাজী।