somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি দুঃস্বপ্ন

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



( ) থেকে এমন একটা কাজ পেয়েছি যে শেখ হাসিনাকে একদম খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হচ্ছে। তাঁর ঘরের বারান্দাতেই থাকছি এবং শেখ হাসিনাকে ক্যাজুয়াল পোষাকেও দেখতে পেলাম। আমাকে নতুন দেখে হাসিনা একজনকে ডেকে আমার ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করলেন। আমার দিকে তাকিয়ে বলাতে একটু দূর থেকেও আমি তা বুঝতে পারলাম। এক বন্ধু আমাকে ফোন করলো। সে কথা থামাচ্ছেই না। বেশ অনেকক্ষণ কথা বলে ফোন কেটে দিয়ে একটু পরে আবার ফোন দিলো। একে তো এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করছি নতুন, আমাকে এমনিতেই দেখে রাখছে সেখানে বারবার ফোন আসাতে আমার দিক থেকে আর চোখই সরাচ্ছে না লোকটা। কাজ শেষ হোল, কোন একটা অফিস ঘরে আছি। জানালা দিয়ে দেখলাম বেশ কিছু সাদা শার্ট প্যান্ট পরা কলেজ ছাত্রের লাশ রাস্তায়।ওরা অভিনয় করছে না সত্যি বুঝতে পারলাম না।সত্যি হলে ভাবছি এই ছেলেরা কতটা আন্তরিক যে এভাবে অকাতরে প্রাণ দিতে চলে আসে ! যে লোকটা আমাদের কয়েকজনকে পারিশ্রমিক দিলেন তাকে চিনিনা। এতো কম দেয়াতে আমি বলে উঠলাম, এতো কম কেন? আগে তো আমরা আরও বেশি পেয়েছি। লোকটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো। অন্যরা আমার চেয়েও একদিন করে কম পেলো। একটি মেয়ে বলে উঠলো, আমি মিথ্যে কথা বলছি। সে অন্য একটা দিনে কাজের কথা বললো যেদিন ওরা এরকম কম পেয়েছে। আমি বললাম, আমি ওই কাজের সময় ছিলাম না। আমি প্রথম যখন আসি তখন বিজ্ঞান ভিত্তিক একটা কাজ এখানের তৎকালীন বড় ভাই আমাকে দিয়েছিলেন, সেই কাজে আমি অনেক বেশি পেয়েছিলাম। এরপর যতবার কাজ পেয়েছি এর চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছি। সেই ভাই পাশ থেকে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লেন।মেয়েটি রেজিস্টার খাতা বের করলো। আমি বললাম দেখো, জুলাই ০৭। পরক্ষনেই বললাম ২০০৭ না ২০১০। মেয়েটি রেজিস্টারের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসলো। হেসে আমাকে দেখালো তাদের ওই কাজের সময় আমি এখানে ছিলাম। আমি বললাম, আমি থাকলেও ওই কাজ আমি করিনি, এই কাজ সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা, তোমরা কোথায় করেছো, কবে করেছো, কি পেয়েছো।আমি তো শুধু আমার কাজের পারিশ্রমিকের কথাই বলবো। এরপর মেয়েটি আর কিছু বললো না। অন্যরা বললো,আর টাকা পেলেই বা কি হবে সব তো এই লোকটাকে দিয়ে যেতে হবে। নিষ্ঠুর চেহারার খোঁড়া এক লোকের কাছে সবাই টাকা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি দিতে রাজি হলাম না।সাথে সাথে শাবলের মত ভারী অস্ত্র নিয়ে লোকটার সাথে আমার লড়াই বেঁধে গেলো। তখন জায়গাটা রাস্তার উপর এবং আধো অন্ধকার। খোঁড়া হওয়াতে লোকটাকে আমি দ্রুত বসিয়ে দিতে পারলাম। শাবল দিয়ে বুকের উপর আড় করে কয়েকবার চাপ দিলাম কিন্তু মারিনি। লোকটা শান্ত হয়ে যাওয়াতে আমি সরে এলাম আর সাথে সাথেই লোকটা আবার শুরু করলো। সে তার নিচে থাকা একের পর এক ধারালো দা, বটি আমার দিকে ছুড়ে দিচ্ছে। আমি চিৎকার করে দৌড়ে বাইরে গেলাম। লোকটা বাইরেও দাঁড়িয়ে আছে খোঁড়া পা নিয়ে। আমি সোজা না গিয়ে অন্য লোকের আড়ালে আস্তে করে সে উঠোন পেরিয়েই ছুটলাম। দৌড়াচ্ছি তো দৌড়াচ্ছি।একটা চমৎকার সুরে আল্লাহু আল্লাহু বলা তালের সাথে আমি দৌড়াচ্ছি। দৌড়াতে দৌড়াতে একটা ঘরে গিয়ে ঢুকলাম।পাশের ঘরে বসা বয়স্ক মানুষটা আমায় দেখলেন।একটু পরে ওই খোঁড়া লোকটার পরিচিত তিনজন এই বাসায় আসলেন। আমি বয়স্ক লোকটাকে হাতের ইশারায় আমার কথা বলতে মানা করলাম।উনি বললেন না। কিন্তু লোক তিনজন একাই এঘরে ঢুকে গেলেন এবং আমাকে দেখলেন। দেখেও তারা না দেখার ভান করলেন।ঠিক এসময় খোঁড়া লোকটা এই ঘরের দরোজা দিয়ে ঢুকলো। কিন্তু ওই তিনজন লোক এবং বয়স্ক লোকটি হাউকাউ করে কথা বলার ছলে আমাকে তাঁদের আড়ালে নিয়ে পাশের ঘরে চলে আসতে দিলেন।দেখলাম বয়স্ক লোকটি এবার আমার বাবা হয়ে গেলেন। বাবা সাদা টুপি, কালো গেঞ্জি এবং লুঙ্গি পরিহিত। আমাকে দরোজা দিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করছেন এবং দ্রুত আযানের জন্য কামনা করছেন।কারণ আযান দিলেই খোঁড়া লোকটি নামাজ পড়তে বসবে এবং হুট করে এঘরে এসে আমাকে দেখে ফেলতে পারবে না। আল্লাহু আল্লাহু করে আবার দারুণ মধুর সুরে সুনির্দিষ্ট একটি তালে কেউ বলতে শুরু করলো এবং সেই তালে আমি দৌড়াতে লাগলাম। দৌড়াতে দৌড়াতে একটা মফস্বল শহরের নিরাপদ আবাসিক রাস্তায় চলে এলাম যেখানে পথের ধারে বাড়ির বৌ,ঝিরা দাঁড়িয়ে বসে গল্প করছিলো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৬
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×