
দীপ্ত খরস্রোতে পুড়ছে বাহিকা,
অঙ্কুরোদগমের সময় এটা নয়।
জলকেলি যখন খেলবে শুকনো তটে, তখন
তোমার কোলে আঙ্গুরলতা জন্মাবে।
সেই দিন এক ফালি চাঁদ হয়ে
আমি আকাশে আসবো।
তোমার উদরে বপন করবো অপরাজিতা,
হাস্নাহেনা আর মধুমঞ্জুরির বীজ।
স্বরসতীর আশীর্বাদ ভেবে মেখে নিও সেই ঘ্রাণ,
তোমার সন্তান দীক্ষিত হবে মধুময়।
চিন্ময়ের মত তোমার পানে চেয়ে
মৃণ্ময়ের মত আটকে রাখবে মায়ায়।
ভূষণ্ডির কাক সেদিন স্বর্গে চলে যাবে।
দিয়ে যাবে কিছু অপরিচিত সুর।
সেই সুরে তোমার সাথে বীণা বাজাবেন স্বরসতী।
মুগ্ধ হয়ে তুমি ওপরে চাইবে কৃতার্থ নয়নে;
আরেকবার সঞ্জীবনী পেয়ে।
সেই সুদিবসে আমায় তুমি অঞ্জলি দিয়ো।
আজ অপেক্ষায় থাকো হরপ্পার লিপি উদ্ধারে।
সিন্ধুর মোহনায় মহেঞ্জোদারোতে যে প্রেমের জোয়ার
অপূর্ব দ্যোতনায় সৃষ্টি করেছিলো অভিসারী প্রাণ,
তোমার শহর যান্ত্রিকতার ভ্রমণ শেষ হলে
সে ফিরে আসবে। আসবেই অমোঘ।
শুধু চাকার ঘূর্ণনে সাধতে থাকো নিজের অস্তিত্ব,
যেন ঘুমিয়ে না পড়ো, ভুলে না যাও সেসব স্মৃতি।
ছবি সুত্রঃ গুগল
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




