(কপিকৃত এবং সংশোধিত ও পরিমার্জিত)
সিনান করিতে রাধা কলস তুলিয়া,
যমুনার কূলে যায় হেলিয়া দুলিয়া ।
কোলেতে কলসখানি ধরিয়া যে রাখে,
কানু দেখে চুপিচুপি বসিয়াই শাখে ।
কলস রাখিয়া রাধা জলেতে নামিল,
শাড়িখানা টানিয়া সে হাঁটুতে তুলিল ।
ছলাৎ ছলাৎ করি পা দুইটি দিয়া,
জলেতে তুলিল ঢেউ ঘোলা যে করিয়া ।
জলেতে নামিয়া এদিক ওদিক চায়,
তারপর ডুব দিল ভরা যমুনায় ।
ভিজাইল সারা তনু, করিল সিনান;
যমুনারে দিল রাধা সর্বাঙ্গ যে দান ।
ইহারই মাঝে কানু আসি লুকাইয়া,
ঘাটেতে আসিয়া নিল কাপড় তুলিয়া ।
অতঃপর উঠি পড়ে বিটপীর ডালে,
রাধা না জানিল তাহা আর কোনো কালে।
ঘাটেতে আসিয়া রাধা ভিজানো শাড়িত,
কাপড় না পাই খুঁজি হইল শঙ্কিত!
কী করিবে তাহা সে বুঝিয়া না পায়,
কলসি লইয়া শেষে যমুনায় যায় ।
কানু বসি দেখে রাধার সিক্ত যৈবন,
লেপ্টিয়া রয় তাহার সর্বাঙ্গ মোটন ।
উপুর হইয়া রাধা পাত্রে ভরে জল,
উথলে পড়ে যৌবন কাঁপায়ে ভূতল ।
ভিজা শাড়িতে উচ্ছল যৈবন দেখিয়া,
কানাই না পারে আর গাছেতে থাকিয়া,
কাকভেজা অঙ্গে রাধা হেলিয়া দুলিয়া,
কলসি কাঁখেতে যায় বাটীত চলিয়া।
গুরুনিতম্বিনী রাধা জ্বালিল আগুন,
তাহাতে পুড়িয়া কানু হইল যে খুন ।
বাঁশিতে দিল যে টান কদম্ব তলায়,
চকিত হইয়া রাধা পিছ পানে চায় ।
কানুরে দেখিয়া রাধা উতলা হইয়া,
বাঁশির যাদুতে গেল জগৎ ভুলিয়া ।
ধীর ধীর লয়ে রাধা পা যে বাড়াইল,
কৃষ্ণের কাছেতে আসি কলসি রাখিল ।
কানাই না থামিয়াই বাজাইতে থাকে,
ছলছল চোখে রাধা প্রেমছবি আঁকে ।
কানাই বাজায় বাঁশি মহা অনুরাগে,
রাধার প্রাণেতে প্রেম সমীরণ জাগে ।
শ্রীকৃষ্ণের বাহু ধরি কামাতুরা রাধা,
আনন্দে বুকেতে আসি ঠেকাইল মাথা ।
সিক্ত শীতল পরশে কৃষ্ণ চমকিয়া,
গুরুনিতম্বে ধরিল শক্ত যে করিয়া ।
ভেজা শাড়িতে ধরিলে শীতের কাঁপন,
কানুর বক্ষে পাইল সুউষ্ণ স্পর্শন ।
বাহুডোরে বাঁধি করে তপ্ত আলিঙ্গন,
বাঁশরী থামিয়া হইল মহামিলন ।
২ ভাদ্র ১৪২২ বঙ্গাব্দ
ময়মনসিংহ

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




