আমার মতে তিনিই হলেন এদেশের সবচেয়ে বিরক্তিকর লোক। অথচ তিনি নিজেকে মনে করেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তি! বিরক্তিকর অঙ্গভঙ্গি, বিকৃত উচ্চারণ, অযাচিত এবং বাড়াবাড়ি রকমের বিশেষণ ব্যবহারের কারণে তিনি এখন দেশের সবচেয়ে বিরক্তিকর মানুষের পদে অধীষ্ঠিত। যার কথা বলছি, তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন দেশের আত্ম স্বীকৃত জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফর উল্লাহ শরাফত।
বিটিভি এবং বেতারে কোন খেলার ধারা বিবরণী প্রচারকালে তার উপস্থিতি অনিবার্য। নিজের বদনখানা দেখাতে তিনি অতি উদগ্রীব। টিভিতে বা রেডিওতে তিনি যখন কোন অতিথিকে পরিচয় করিয়ে দেন, তখন এত বেশি বিশেষণ ব্যবহার করেন যে, অতিথি নিজেই বিব্রত হয়ে পড়েন। আবার অতিথির চেয়ে তিনি নিজেই বেশি কথা বলেন। নিজের করা প্রশ্নের উত্তর তিনি নিজেই দিয়ে দেন। অতিথিকে খুব একটা সুযোগই দেন না।
বিটিভিতে একবার খেলার মধ্য বিরতিতে আকরাম খান কে পরিচয় করিয়ে দিলেন তিনি এভাবে- এখন আমাদের সাথে কথা বলবেন, দেশের খ্যাতিমান ক্রীকেটার, বাংলাদেশ দলের নন্দিত, বরেণ্য সাবেক অধিনায়ক, আইসিসি চাম্পিয়ন্স ট্রফি ঠিক যার হাত ধরে এদেশে এসেছিল, সেই দুর্দান্ত, মারমুখি ব্যাটসম্যান, চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান, ক্রিকেটীয় পরিবার থেকে উঠে আসায় যার রক্তে মিশে আছে ক্রিকেট, সেই উজ্ঝল নক্ষত্র, জীবন্ত কিংবদন্তী জনাব আকরাম খান!
বুঝেন অবস্থা! তিনি আবার অতি আশাবাদীও। তার আশাবাদের নমুনা দেখেন একটা-
দেশের এই সেরা ধারাভাষ্যকার শুধু বাংলাতেই নন, ইংরেজীতেও সমান দক্ষ! তার ইংরেজীর দৌড় দেখেন এখানে-
অনেক আগে, প্রথম আলোর আলপিন (এখন বন্ধ) দেয়া এক সাক্ষাতকারে এই জোকার বলেছিলেন, তার স্বপ্ন হচ্ছে দেশে একটা ধারাভাষ্য একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা। দেশে নাকি ধারাভাষ্যকার তৈরীর জন্য কোন প্রতিষ্ঠান নেই। তাই দেশেই তিনি তারমত বিশ্বমানের ধারাভাষ্যকার তৈরী করতে এই মহান উদ্যোগ নিবেন।
আমার জানামতে তার সেই ধারাভাষ্য একাডেমীটা এখনও প্রতিষ্ঠা হয় নি। হলে যে কি হত তা সহজেই অনুমেয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১২:২৪