অনেকদিন পর গতকাল রাতে আমার খুব কাছের এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেলো। খুব কাছাকাছি অবস্থানে থাকলেও দুজনের ব্যাস্ততার কারনে খুব বেশি দেখা হয় না। বন্ধুটি চাকুরীজীবী ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিত। ওর সাথে দেখা হলেই ওর বউ মানে ভাবীর খোজ খবর ও নেই। তো কথায় কথায় সে বলল দোস্ত তোর ভাবি ও শালিরে নিয়ে কালকে শপিং এ যাচ্ছি। আল্লাহ জানেন কাল কে আমার কত টাকা খরচ হয়ে যায়! আর এমনিতেই সামনে আমার অনেক টাকা পয়সা লাগবো টাকা ধার দে। আমার উপর দিয়ে ত বাশ যাবে তুই একটু দুয়া করে দিস যাতে কম বাশ খাই। কইলাম বেকারের কাছে টাকা ধার চাহিয়া লজ্জা পাইস না। তুই পয়সা খরচ করে ভাবিরে কিছু কিনে দিবি এতে এত কষ্ট পাস ক্যা? এত কষ্ট ক্যান করতেসস বউ বাচ্চারে খাওানর জন্যই তো?? সে বলল হুম। বাচ্চার প্রসঙ্গ আসায় বললাম দোস্ত এত টাকা লাগবো কেন ভাবি কি প্রেগন্যান্ট?? সে কিছু বলার আগেই বললাম শালারা আমি বিয়ে করার আগেই তোরা বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে ফেলতেসস এটা কিন্তু ঠিক না। কত প্ল্যান আছে সব বন্ধুরা বিয়ের পর বউ নিয়ে একসাথে আড্ডা দিমু। সে বলল তোর ভাগ্যে বিয়ে নাই! তুই বিয়ে করলে আমাদের বাচ্চাদের কে কিভাবে বলব ঐ যে দেখ তুমাদের চিরকুমার আঙ্কেল! বললাম ধুর ব্যাটা বন্ধুরা কেউ আগে পরে বিয়ে করবে এটা স্বাভাবিক তাঁর মানে এটা না একটু বয়স হলে পাত্রী পামু না। তোরা কি আমাকে পাত্রী খুজে দিয়ে একটু তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে হেল্প করবি তা না আমারে চিরকুমার বানাইতে চাস! হারামি।
অতপর রাত গভীর হওয়ায় ঈদে আগে আগে বাড়ি গিয়ে সবাই মিলে আড্ডা দেয়ার প্ল্যান ব্যাক্ত করে কুশলাদি করে আড্ডায় ইতি টানলাম।
উল্লেখ্য এই বন্ধুর লুকিয়ে বিয়ে করানোতে আমার অনেক অবদান ছিল। ভাবি হল মেডিকেলে পড়ুয়া। অল্প বয়সী ভাবিরে বিয়ে করাইতে গিয়ে কাজী খুজতে আমার অনেক ঝামেলা নিতে হইছিল। শালার মনে হয় মনে নাই নাইলে আমারে চিরকুমার দেখতে চাইত না। এটা ছিল আমার দিককার কাহিনী, আর ঐ দিককার বন্ধুর বিয়ে পূর্ব কাহিনীও তেও ছিল অনেক টুইস্ট। সেটা সুযোগ পেলে...
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৪