somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের পরিবারের নতুন সদস্য..........

১৮ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সম্প্রতি আমাদের পরিবারে দুজন নতুন সদস্যের আগমন হয়েছে।
অনেক দিন ধরেই আমার ইচ্ছা ছিল এদেরকে বাসায় নিয়ে আসার, কিন্তু সময় আর সুযোগের অভাবে হচ্ছিল না।
অবশেষে, গত মাসে গাছ মেলায় ঘুরতে গিয়ে দেখা পেয়ে গেলাম কাঙ্খিত জনদের। তাই দেরি না করে নিয়ে আসলাম বাসায়।

হুম, এবার পরিচয় দিয়ে দেই তাদের, এরা হলো কচ্ছপ, কাছিম, টরটয়েস।


ছোটবেলা নিনজা টারটেলস কার্টুনটা দেখার পর থেকেই আমর খুব শখ ছিল কাছিম পুষবো। বড় বড় পোষা কাছিম থাকবে, ভাবতাম বাগানে একটা বাথটাবে পানি আর শুকনো গাছের ডাল দিয়ে বাসা বানিয়ে দেবো তাদের। আর পাশেই থাকবে গাছ পালা ভরা মাটির ছোট ছোট পাহাড়!!
ছোট বেলার অনেক ফ্যান্টাসির মতোই এটা তখন পূরণ হয়নি। আমার মা, কচ্ছপের কথা শুনেই নাক কুচিকে সাথে সাথেই প্রস্তাব নাকোচ করে দিয়েছিলেন /:)
এবারও যখন কাছিম কিনতে গেলাম তখন একটু বাগড়া দিয়েছিলেন, তবে কচ্ছপের আকৃতি আর তার প্রতি সোহার বিশেষ আগ্রহ দেখে আর বেশি কিছু বললেন না।
শেষ পর্যন্ত তাই সাড়ম্বরে নিয়ে আসা হলো ছোট্ট সবুজ রং এর কিউট কছিমদ্বয়কে। এরা লম্বায় দুই ইঞ্চির মতো এবং এক্যুরিয়ামে পোষায় জন্যই তৈরি।
দোকানদার বলে দিল, এরা এ্যকুরিয়ামের অনান্য মাছেদের সাথে এক সাথেই থাকতে পারবে। বাসায় এনে তাই ছেড়ে দিলাম ওখানে , মনের সুখে তারা ডুব সাতার দিতে থাকলো।





কিন্তু কিছু সময় পরে দেখলাম, একটু পরপরই কাছিম গুলো পানির উপরে শুধু মাথা উচু করছে, মনে হলো ডাঙ্গা খুজছে।
কাঠের তক্তা দিয়ে আপাতত সমস্যার সমাধান করা হলো, সাতারের মাঝে মাঝে এরা এই তক্তার উপর উঠে বসে থাকে। আসলে কছিম একটানা পানিতে থাকতে পারেনা (দোকানদার জানে ঘোড়ার ঢিম X(()



এরপরে দেখা দিল নতুন সমস্য, এ্যকুরিয়ামের আগের সদস্য মানে ব্লাক মুর, গাপ্পি, গোল্ড ফিস, এঞ্জেলরা এই নতুন অভিবাসীদের তেমন পছন্দ করছেনা। সবাই এককোনায় জড়ো হয়ে জটাল করছে। ওদিকে সিলভার শার্ক গুলো বারবার তাড়া করছে বেচারাদের।
এই যখন অবস্থা তখন একদিন খাবার দিতে গিয়ে দেখি গোল্ডফিস আর দুটো গাপ্পির লেজের কিছু অংশ উধাউ হয়ে গেছে। ঘটনা কি!!
নজর রাখা শুরু করলাম। দেখি এই মাছ গুলোকে নিরিহ পেয়ে কাছিম বাবাজীরা এদের উপর সিলভার শার্কের অত্যাচারের প্রতিশোধ নিচ্ছে। সুযোগ পেলেই কামরে দেবার চেষ্টা করছে ওদের :|
এভাবে চললে এক্যুরিয়াম যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হতে আর বেশি দেরি হবে না, তাই দেরি না করে উনাদের জন্য আলাদা বাসভূমি বানিয়ে দিলাম।

নতুন বাসায় এসেও তারা কিন্তু পুরানো সাথিদের ভুলে যায়নি। পাশাপাশি কেইস তো, তাই মাঝে মাঝেই এভাবে পাশের কেসের মাছেদের দেখে ওরা।


আমার সোহা খুব খুশি কাছিম দুটো পেয়ে।
দিনের মধ্যে অন্তত একবার এগুলো নিয়ে তার খেলা চাই, এজন্য ককশিট বানিয়ে দিলাম খেলার একটা বাক্স।

বাক্সের মধ্যে কছিম গুলোকে ছেড়ে দিলে খুব দ্রুত দেয়াল বেয়ে ওপরে ওঠার চেষ্টা করতে থাকে, এক সময় দেয়াল টপকে অন্য পাশে নেমে যায়। তখন সোহামনি বিপুল উৎসাহে ধরে আবার বাক্সে রেখে দেয়, এটাই হলো তার খেলা!!



এবার যারা যারা কাছিম পুষতে চান তাদের জন্য কিছু টিপস (প্রাকট্যিকালি শেখা ;))............

১। দোকানে দেশি কাছিম আর এক্যুরিয়াম কাছিম পাওয়া যায় কিনতে।
দেশি গুলো একটু সাইজে বড়। তবে দাম একটু বেশি নিলেও পোষায় জন্য এই বিদেশি কাছিম গুলোই ভাল।

২।মাছের দোকানদারেরা যতই বলুক না কেন, কাছিম কিন্তু একটানা পানিতে থাকতে পারে না। তাই এক্যুরিয়াম এমন ভাবে বানতে হবে যাতে কিছু অংশে পানি থাকে আর কিছু শুকনো। শুকনো জায়গাটা কৃত্রিম গাছ পাতা আর ছোট ছোট পাতা দিয়ে সাজিয়ে দেয়া যায়।

৩। এরা ছায়াময় আড়াল পছন্দ করে, তাই এসব গাছ আর পাথর দিয়ে আড়াল করে দিলে এদের থাকতে ভাল লাগবে।

৪। টরটায়েস ফুডের পাশাপাশি শসা আর শসা জাতীয় ফল, লাল শাক খেতে দিলে গায়ের রং সুন্দর উজ্জল হবে।

৫।পানি অবশ্যই তিন দিন পরে পরে বদলে দিতে হবে।



:) :) :) :) :) :) :) :)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১৪
১২২টি মন্তব্য ১২১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×