somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেন্টমার্টিন : যাতায়াত ও থাকা খাওয়ার প্রয়োজনীয় তথ্য।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অপুর্ব সুন্দর জায়গা সেন্টমার্টিন। নীল পানি ঘেরা এক দ্বীপ- য়েখানকার মানুষ অসম্ভব ভালো। চুরি ডাকাতির রেকর্ড প্রায় নেইই। সারারাত ঘুরতে পারবেন নির্ভয়ে, নির্জনে। ভাবতে অবাক লাগে জাহাজ থেকে এতো লোক নামে - সব যায় কোথায়! আসলে বিশাল বড় বিচ হওয়ায় এখোনো ভীষন নির্জন।

কিভাবে যাবেন-
ঢাকার ফকিরাপুল (রাত ৯টা নাগাদ) হয়ে সায়দাবাদ থেকে বাস ছাড়ে। কিছু কিছু কল্যানপুর/কলাবাগান/গাবতলী হয়েও যায়, তবে বেশী না। থামবে টেকনাফ জাহাজ ঘাটায়। সময় লাগবে প্রায় ১০ ঘন্টা।

এসি বাস- ১১০০/-
সেন্টমার্টিন সার্ভিস

নন-এসি- ৫৬০/-
এস আলম, শ্যামলী, মডার্ন লাইন, ঈগল।

টেকনাফ থেকে জাহাজ ছাড়ে সকাল ১০ টা নাগাদ, ২ ঘন্টায় পৌছবে সেন্টমার্টিন।
কেয়ারী সিনবাদ, এল সি কুটুব দিয়া, কাজল প্রভৃতি জাহাজ আছে। ভালো কেয়ারী সিনবাদ।
ভাড়া ৩৫০/-

ওপরে সিট পেলে ভালো। নিচে পেলেও অসুবিধা নেই। নিচে বসে বসে আশপাশের দৃশ্য দেখে তেমন সুবিধা হবে না। মানুষ বেশীরভাগ সময় বাইরেই দাড়িয়ে থাকে ।
এছাড়া ট্রলারে করেও যাওয়া যায়।

সেন্টমার্টিনে জাহাছ থেকে নেমে ভ্যানে করে যেতে পারেন, তবে এইসময়ে ওদের ভাড়া প্রতি ভ্যান ১০০/- যা অন্য সময় (অফপিক) ২০/-। জাহাজ ঘাটা থেকেই যেতে হবে ছেড়াদিয়া দ্বীপ।

বেশীরভাগ মানুষ ছেড়াদিয়া যায় সকালে, ৩:৩০ এর মধ্যে ফিরে এসে ফিরতি জাহাজ ধরে। এজন্যে ভাড়া এইসময়ে বেশী আবার বেশীক্ণন সময়ও থাকতে পারবেন না, কারন নৌকার আরও ট্রিপ দিতে হবে। এইজন্যে সময় হাতে থাকলে ৪টার পরে যাওয়াই ভালো- অপূর্ব সূযাস্ত দেখতে পারবেন।

ট্রলার প্রতিজন ১০০/- (আপ- ডাউন) / রিজার্ভ ৬০০-৭০০/-(যাওয়া আসা ১ ঘন্টা)
স্পিডবোট ১২০০/- ১৫০০/- (যাওয়া আসা ১/২ ঘন্টা)
এছাড়া হেটেও যাওয়া যাও- যখন পানি কম থাকে- ২ ঘন্টার মতো লাগে।
ওখানে ডাব (২০/-) ছাড়াও কাকড়া ভাজা খেতে পারেন (১০/- - ২০/-)।

সেন্টমার্টিনে অসংখ্য হোটেল, কটেজ আছে। ভাড়া সিজনে ৩ গুণ।
আমার ভীষণ ভালো লেগেছে- সীমানা পেরিয়ৈ। ২ রুমের এক-একটি কটেজ, একরুমে ২টি ডাবল বেড (৪‍-৬ জন থাকা যাবে) , ভাড়া ১২০০/-১৪০০/-।

এছাড়া আছে নীল দীগন্তে, সেল্যার মুন রিসোর্ট। আর হোটেল আছে ব্লু-মেরীন, অবকাশ । ডাবল রুম ভাড়া সিজনে ২০০০ (+/-)। এগুলো প্রতিটিই বিচের পাশে। এছাড়া তাবুর ব্যবস্থা আছে।

খাওয়া-
অবকাশে-
দুপুর/রাতে- রুপচান্দা/মুরগী/চিংড়ী প্যাকেজ (ডাল, ভাত, ভত্তা সহ) ১০০/-
সকালে (২ পরাটা, ১ ডিম, আলু ভাজি, চা) ৫০/-

সীমানা পেরিয়ে-
দুপুর/রাতে- রুপচান্দা প্যাকেজ ২৫০ কোরাল প্যাকেজ ১২৫ (ডাল, ভাত, ভত্তা সহ)
সকালে খিচুড়ী।

জাহাজ ঘাটায়-
দুপুর/রাতে- রুপচান্দা (৮০/- ‍‍+) , কোরাল (৫০/- +), ভাত (২০/- +), ডাল (১০/- +) ।
সকালে- পরাটা ৫/-,ডিম ১৫/-, চা ৫/-।

সারাদিনই প্রচুর ডাব খেতে পারেন ১৫/- ২০/- করে।

সবমিলিয়ে ২ রাত ৩ দিন (নন-এসি) জনপ্রতি ৪০০০/- (+/-) খরচ পড়বে।

কেনাকাটা।
ওখানকার লোক আকাশচুমিব দাম কখোনোই হাকবে না। তবে জায়গাভেদে একটু এদিক ওদিকহতে পারে।

শুটকির দাম একটু কম হুমায়ুন আহমেদের বাড়ীর সামনে- (প্রতি কেজি ছুরি ১২০/-, পুটি ১০০/-, সুন্দরি ২৭০/-, রুপচান্দা ৪০০/- - ৭৫০/-)

জ্যান্ত মাছও নিয়ে আসতে পারেন জাহাজঘাটাতেই পাইকারী দোকান আছে। ৪/৫ কিনে শোলার বক্সে করে (২০০/-) আনলে ভালো। কম কিনলে পলিথিনের ব্যাগে বরফ দিয়ে আনলেও ১৮-২০ ঘন্টা টিকবে, তবে নেয়াটা ঝামেলা।

দামঃ রুপচান্দা (বড় সাইজ/৩টায় ১ কেজি) ৪০০/-, কোরাল ২৫০/-

এছাড়া বর্মিজ বাদাম, আচাড়, জুতা, লুঙ্গি ইত্যাদী পাওয়া যায়।
স্কুবা ডাইভিং করতে পারেন জনপ্রতি ২০০০/-২৫০০/- পড়বে এক সিলিণ্ডার গ্যাস নিয়ে সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে।

ঢাকার বাসের টিকেটও করতে পারবেন জাহাজ ঘাটা থেকে।


প্রয়োজনীয় কিছু ফোন নাম্বার

সীমান পেরিয়ে রিসোর্ট এবং এলসি কুতুবদিয়া জাহাজের এজেন্ট-মিঃ রানা (দারুন মানুষ) ০১৯১১১২১২৯২
ওনাদের টুর কোম্পানীর অফিস- ডিওএইচএস-এ ল্যাণ্ড লাইন-৮৮০২- ৮৮৩৫৮৩১

সেল্যার মুন- কেয়ার টেকার খোকন- ০১৭২৯৭৪৮৬৪
ব্লু মেরীন -
অবকাশ- ইস্কাটন রোড, ০১৭১৩১৪৫৫৮৪

কেয়ারী সিনবাদ জাহাজ (Mr. Saiful- 01727 266077, মামুন টেকনাফ, আর কেয়ারীর অফিস ধানমনন্ডি)

মাছের আড়ত-০১৮২৪৬৫৭৫৮৫

সর্তকতাঃ গোটা সেন্ট মাটিনে বিদু্ নেই। ৬-১২ টা জেনারেটর চলে। চার্জের জন্যে মাল্টিপাগ নিয়ে যাওয়া ভালে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২৪
৩৪টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×