শাহবাগের ’মুক্তিযুদ্ধ’এর লক্ষ্য ইসলাম এর বিরোধীতা নয় বরং যুদ্ধপরাধের বিরোধীতা।
একারনে নাস্তিকতার প্রচারকারী যদি কেউ এই যুদ্ধের নেতৃত্বে থাকেন, তবে দেশের স্বার্থে এবং আন্দোলনের স্বার্থ্বে তাদের সরে দাড়ানো উচিত হবে। কারন না হলে শত্রুপক্ষ এই আন্দোলনকে ইসলাম বিরোধীদের আন্দোলন হিসাবে প্রচার করবে। তাতে আমাদের মধ্যে ভাঙন ধরবে। এই মুহূর্তে শত উস্কানীর ও ষড়যন্ত্রের মধ্যেও বৃহত্তর ঐক্য ধরে রাখা বেশী জরুরী। তীরে এসে তরী আমদের এর আগেও ডুবেছে। এবার পরাজয়ের পরিনতি কতোটা ভয়ংকর হতে পারে তার নমুনা সবে মাত্র দেখা গেল। আর এরা মার্কিন শয়তানদের মদদপুষ্ট। অনেকেই বলে মার্কিনীরা পাক-আফগানের মতোন আমাদের দেশে জঙ্গী তৈরী করে পরে জঙ্গী দমনের নাম করে ঢুকতে চায়। তার আলামত এখন খুবই স্পষ্ট। জামাতের সন্ত্রাসের মাত্রা এবং তাদের তথ্য সংগ্রহের সক্ষ্যমতা পেছনের শক্তির উপস্থিতি প্রমান করে। লক্ষনীয় যে থাবাবাবার হত্যার খবর ডিফেন্স.পিকে তে প্রথমেই প্রচার হয়েছে!View this link
সর্বশেষে কেউ নাস্তিক ও ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচার করলে মহানবি কি তাকে কখোনো খুন করেছেন ? ওই সময়ে মহানবীর প্রতিপক্ষ তাকে কতো রকমভাবে উত্তক্ত করেছে। পথে কাঁটা পুতে রেখেছে, নামাজ পড়ার সময় উত্তক্ত করেছে। সবসময়ই মহনবী সংযম এবং ক্ষমার অনুপম দৃষ্টান্ত বই কোন রকম পাল্টা আক্রমনোতো করেন নি। এখন জামাতের কাছে তাঁর আদর্শ নয় বরং তার প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসই বরং বেশী পছন্দ মনে হয়। নাহলে থাবাবাবাকে খুন কেন করতে হবে? তাকে তার বছরাধিক পুরনো ও অনেকদিন ধরে ইন্যাক্টিভ ব্লগের জন্যে আজ এতোদিন পরে নিশ্চয়ই খুন করা হয় নি, বরং খুন করা হয়েছে স্পষ্টতই শাহবাগের জন্যে। এই হত্যার বিচার আমরা চাই-ই চাই। আর একই সঙ্গে "শাহবাগের যুদ্ধের নেতৃত্বে নাস্তিকতার প্রচারকারী কাউকে চাই না” – এরকম কেউ থাকলে নিজে থেকে সরে দাড়ান , আমাদের বিজয় ধরে রাখাটা অনেক অনেক বেশী জরুরী। আপনারা থাকতে পারেন, হিন্দু মুসলিম সবারই যেহেতু আন্দোলনে থাকার অধিকার আছে, আপনারাও থাকতে পারেন। কিন্তু নেতৃত্বে থাকলে জামাত = ইসলাম হয়ে যেতে পারে। সেটা হবে ভয়ংকর ভুল।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



