somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামুর সব ব্লগারদের কাছে একটি প্রশ্ন রাখছিঃনিচের এই সাম্প্রদায়িক কুলাঙ্গারটাকে এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়াটা আদৌ ঠিক হবে কিনা??

১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তোমরা (খেলোয়াড়েরা) হলে চাকর। আমি হলাম বস
তামিমদের ‘চাকর’ বলেছিলেন ডিন জোন্স!



হতাশার প্রথম বিপিএলে অপমানও সইতে হয়েছিল তামিম ইকবালকে। চিটাগং কিংসের অস্ট্রেলিয়ান টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ডিন জোন্স নাকি এক দিন তামিমকে বলেছিলেন, ‘তোমরা (খেলোয়াড়েরা) হলে চাকর। আমি হলাম বস।’
বিপিএলে জোন্সের সঙ্গে তামিমের ঝামেলা নিয়ে তখন পত্রপত্রিকায় নানা ধরনের খবর ছাপা হয়েছিল। আসলে কী হয়েছিল, এত দিন পর তা খুলে বললেন তামিম। বিপিএলের প্রথম ম্যাচের পর কুঁচকিতে চোট পেয়েছিলেন। পরের দিন মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনের সময় জোন্সের সঙ্গে সমস্যার শুরু বলে জানান তামিম, ‘ডিন জোন্স আমাকে এসে বললেন, “তোমার কিছু করার দরকার নেই। তুমি শুধু ফিজিওর সঙ্গে হাঁটাহাঁটি করবে।” কিন্তু ফিজিও টেস্ট করে বললেন, “আমি ব্যাটিং করতে পারব।” আমি তখন বলি, আগে আপনি ডিন জোন্সকে জিজ্ঞেস করে নেন ব্যাটিং করতে পারব কি পারব না। ফিজিও তাঁকে জিজ্ঞেস করে আমাকে বললেন, পারব। আমি নেটে ঢুকে দুই বল খেলার পরই ও (জোন্স) চিৎকার করে উঠল, “গেট আউট, গেট আউট।” আমি তখন প্রতিবাদ করি, আপনি আমাকে ডাকলেন, আবার আপনিই এমন অপমান করছেন! আমি জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়। এত মানুষের সামনে এমন বিচ্ছিরিভাবে আমাকে বের করে দিচ্ছেন, এটা ঠিক না।’
কুঁচকির চোটের পর জাতীয় দলের ফিজিও বিভব সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে চিটাগং কিংসের ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম খান দু-তিন দিনের বিশ্রাম দেন তামিমকে। কাল বায়েজেদুল প্রথম আলোকেও টেলিফোনে বলেছেন, ‘তামিমকে আমরা দুই থেকে তিন দিনের বিশ্রাম দিই। ১৬ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বার্নার্সের বিপক্ষে ম্যাচ পর্যন্ত তাঁকে খেলতে দিইনি। এর পর থেকে পুরো টুর্নামেন্টে সে খেলার মতো ফিট ছিল।’ অথচ ডিন জোন্স নাকি তামিমকে বলেছিলেন, দুই সপ্তাহের আগে তিনি ফিট হতে পারবেন না।
তামিম-জোন্স দ্বৈরথ এর পর থেকেই চলতে থাকে। মাঝে এক দিন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক সামির কাদের চৌধুরী তামিমকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর জোন্সের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। প্রথমে রাজি না হলেও পরে দুঃখ প্রকাশ করতে জোন্সের হোটেল রুমে যান তামিম। চূড়ান্ত অপমানিত হন সেখানেই। ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের সম্মান রাখতে আমি জোন্সের রুমে যাই। কিন্তু তাঁর কথাবার্তা ছিল খুবই রূঢ়। শেষ পর্যন্ত তিনি আমাকে এমনও বললেন, “তোমরা (খেলোয়াড়েরা) হলে চাকর। আমি হলাম বস।” আমি হতভম্ব হয়ে যাই। কিন্তু কিছু করার ছিল না। তখন আমি এমন একটা অবস্থায় ছিলাম...পত্রপত্রিকায়ও আমার ব্যাপারে উল্টাপাল্টা কথা লেখা হচ্ছে। এ জিনিসটা নিয়ে কিছু করলে আমার নামে আরও লেখা হবে। আমি মালিককেও কিছু বলিনি।’
চট্টগ্রামে দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচের আগেও এক চোট হয় তামিম-জোন্সের মধ্যে। খেলার দিন সকালে দেওয়া খেলোয়াড় তালিকায় নাম থাকার পরও শেষ পর্যন্ত তামিমের ওই ম্যাচে না খেলা ছিল তারই পরিণতি। ‘রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন উনি (জোন্স) জিজ্ঞাসা করেন, আমি তিনে ব্যাটিং করব কি না। আমি বলি, আমি তো কোনো দিন তিনে ব্যাটিং করিনি। ওপেন করলে বেশি ভালো, তবে তিনে হলেও সমস্যা নেই। কিন্তু ম্যাচের আগের রাতে সুজন ভাইকে (কোচ খালেদ মাহমুদ) জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “তুই ওপেনই করবি।”’
পরদিনের ঘটনা তামিমের জবানিতেই শুনুন, ‘পরদিন ম্যাচের আগে ওয়ার্মআপ করছিলাম। তিনি (জোন্স) আমার কাছে এসে মা-বাপ তুলে গালাগাল শুরু করে দিলেন। বারবার বলতে থাকেন, “তুমি মালিকের কাছে অভিযোগ করেছ তিনে ব্যাটিং করবে না।” আমি বললাম, আমি তো কিছুই বলিনি। সুজন ভাই ব্যাপারটা দেখে তাড়াতাড়ি কাছে এসে বললেন, “ও তো মালিককে কিছুই বলেনি। ও আমাকে জিজ্ঞেস করেছে তিনে ব্যাটিং করবে নাকি ওপেন করবে। আমাকে জিজ্ঞেস না করলে কাকে করবে? আই অ্যাম দ্য হেড কোচ অব দ্য টিম, নট ইউ।”’ এ ঘটনার পর তামিম নিজেই ওই ম্যাচে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন, ‘ডিন জোন্স এমন পরিস্থিতি তৈরি করলেন যে আমার আর ওই সময় খেলার মতো অবস্থা ছিল না। আমি নিজ থেকেই বলি ম্যাচটা আমাকে না খেলাতে। কিন্তু অফিশিয়ালি বলা হলো, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণে আমি খেলছি না।’

সাবুর মন্তব্যঃ হারামজাদার বুঝা উচিত যে এখন আমরা স্বাধীন দেশ,ব্রিটিশ আমল শেষ হয়ে গেছে বহু আগে!!

সূত্রঃ প্রথম-আলো
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×