শিয়ালদহ স্টেশন। রাতের আলোক উজ্জল নিয়ন গুলো নিভে যাবার পর এখন একেবারে অন্য রকম শহর। ঢাকা শহর ভালো করে না দেখেই শিয়ালদহ দেখা সত্যিই একটা অন্য রকম ব্যাপার। উড়াল সড়কের নিচের ফুটপাতের দোকান গুলো প্রায় সারা রাত জেগে চেচামেচি করলেও এখন সবই শুনশান। রাতে ভেবেছিলাম সকালে ক্ষিধা লাগলে এখান থেকেই খেয়ে নেবো। কিন্তু এখন ক্ষুধা চরম লাগলেও দোকান গুলো ঘুমিয়ে।
রাস্তা পার হয়ে অন্য একটা বেশ বড় দোকানে ঢুকে পড়লাম, খেতে হবে। আমি কোন অর্ডার না করলে ওয়েটার আমাকে পাঁচটা গরম পুরি আর এক প্লেট মাংস এনে দিলো। খেলাম খুব তৃপ্তি নিয়ে। পকেটে আছে ত্রিশ রূপির মতো। কাউন্টারে বিল দিতে এলাম, ম্যানেজার আমাকে বলে কেতনা হুয়া। আমি আতকে উঠালাম, এইরে ধরা খেয়ে যাবো নাকি! আমি যে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশ থেকে এসেছি। আমি তো হিন্দি জানি না। আমি বিজ্ঞের মতো ওয়েটারের দিকে তাকিয়ে থাকলাম, ওয়েটার বললো দু'রূপিয়া পঁচিশ।
আমার ঘাম দিয়ে জ্বর সারলো। দুই রূপিয়া পঁচিশ পয়সা দিয়ে হাটা ধরলাম উড়াল সেতুর দিকে.........
গল্প লিখা আমার দ্বারা কখনো সম্ভব হবে কিনা জানি না, তবে জীবনের খন্ড চিত্র নিয়ে এমন ছোট ছোট কিছু লিখা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে শুরু করলাম জীবনের টুকরো কথা.....আশা করছি আপনাদের ভালো লাগতে পারে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




