শনির আখড়ায় প্রচন্ড যানজট। আমাদের বাস ঢাকার দিকে কোন ভাবেই আর এগোতে পারছেনা। ভ্রমণ বাংলাদেশ টিমের সাথে রাত আটটায় গাবতলী থেকে খুলনার বাসে চড়তে হবে। যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের কাজ চলছে বলে নিয়মিত যানজটটা আজকে যেনো সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বাস থেকে নেমে সিএনজি নিলাম, কিন্তু পকেট একটু পাতলা হওয়া ছাড়া আর কোন উপকারই পেলাম না। এক সময় সিএনজি থেকে নেমে হাটা ধরলাম, রাত যখন ৮টা বাজে তখন মাত্র সায়েদাবাদ। এমতাবস্থায় সায়েদাবাদ থেকে তিন ঘন্টায়ও গাবতলী যাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। চরম হতাশ, আমার প্রথম সুন্দরবন ট্যুরটা বুঝি মিস হয়ে গেলো?
টিমের পরামর্শক্রমে আমি সায়েদাবাদ থেকে খুলনার টিকিট নিয়ে একটা বাসে চড়ে বসলাম, বাসের সর্বশেষ সিট পেয়েও যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো খুশি হলাম। প্রচন্ড কুয়াশা থাকা সত্বেও খুব দ্রুতই আমাদের বাস মাওয়া ঘাটে পৌছে ফেরিতে উঠে গেলো। এবার একটা আরামের ঘুম দিলাম। কয়েক ঘন্টা পরে ঘুম ভাঙলে দেখি ফেরী মধ্য পদ্মায় নিশ্চুপ দাড়িয়ে, চারিদিকে কুয়াশার চাদরে ঢাকা। জানলাম আমাদের ফেরি চড়ে আটকা পড়েছে। ইচ্ছে করছে মাথার চুল ছিড়ি। বক ঢাকা ভোরে একটা বিশাল সাইজের জেলে নৌকা আমাদের ফেরির গায়ে ভিড়ে হাকডাক করছে কাওড়াকান্দি, কাওড়াকান্দি....অন্য কিছু না ভেবে ব্যগটা কাধে নিয়ে লাফিয়ে উঠে পড়লাম জেলে নৌকায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৪