somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বনে বাঁদাড়ে.....৩৮

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে আমার প্রেম । বনে বাঁদাড়ে ঘুরে বেড়াই, পাখি দেখি, ফুল দেখি, আর মাঝে মাঝে ছবি তোলার চেষ্টা করি। ইচ্ছে করে পাহাড়ে হেলান দিয়ে নীল আকাশ দেখি, ইচ্ছে করে ঘাস ফুলদের সাথে চুপি চুপি কথা বলি, ইচ্ছে করে সাগর, নদী খাল-বিলে সাতার কাটি রাজহংসের মতো । ইচ্ছে করে বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি মাটির সুবাস নেই।

ইচ্ছেগুলো কতটা সফল হবে জানিনা, তবে সংসারের যাতাকল থেকে সুযোগ পেলেই আমি হারিয়ে যাই আমার ইচ্ছে ভুবনে । সেই সাথে আমার দেখা সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য তুলে রাখি অঢেল ছবি, আর সেই ছবিগুলো নিয়েই আমার বনে বাঁদাড়ে সিরিজটা শুরু করলাম, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।


(২) মাটির ঘর, নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া গ্রাম থেকে তোলা ছবি।


(৩) ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র জায়গা মসজিদ আল হারাম এর একটা মিনার, পাশেই 'মক্কা রয়েল হোটেল ক্লক টাওয়ার', যা সৌদি আরবের মক্কার সরকারের মালিকানাধীন একটি কমপ্লেক্স ভবন। এই টাওয়ারটি রাজা আব্দুল আজিজ এনডাওমেন্ট প্রকল্পের একটি অংশ। ভবনটি কয়েকটি বিশ্ব রেকর্ড ধারণ করে আছে; যেমন- বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ঘড়ির টাওয়ার এবং বিশ্বের বৃহত্তম ঘড়ি মুখ। কমপ্লেক্সটি হোটেল টাওয়ার তাইওয়ানের তাইপে ১০১ টপকিয়ে ২০১২ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন হয়ে ওঠে এবং বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ ভবনের মর্যাদা লাভ করেছে, শুধুমাত্র দুবাই এর বুর্জ খলিফা এবং সাংহাই এর সাংহাই টাওয়ার ছাড়া। বিল্ডিং কমপ্লেক্সটি হল বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদ এবং ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র জায়গা মসজিদ আল হারামের একেবারেই গা ঘেষে দাঁড়ানো।


(৪) মেঘনা নদীর পারে, নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দি গ্রাম থেকে তোলা ছবি।


(৫) দাতরাঙ্গা ফুল, নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার সোনাইমুড়ি পাহাড় থেকে তোলা ছবি।


(৬) ঢাকা বই মেলা, ২০১৬ সালের বই মেলা থেকে তোলা ছবি।


(৭) দয়াল বাবা গনিশাহ এর মাজার, কালাইনগর-গ্রামের গনি শাহ (রঃ)। অলৌকিকভাবে শাহান শাহের দরশন এবং বেলায়ত প্রাপ্ত হয়ে গৃহ ত্যাগি হন তিনি। কখনো নদীতে নৌকায়,কখনো ডাঙায় বহু বিচিত্র সাধনে রেয়াজতে গনি শাহ এক সময় হয়ে উঠেন শাহান শাহের প্রিয় একজন। শাহান শাহের আচার আচরন তার ধাতস্ত হয়।তিনি হয়ে যান মজ্জুব একজন।জিবনের শেষাংশ তার কাটে নবিনগর থানাস্ত থোল্লাকান্দি গ্রামে। ওফাৎ প্রাপ্তির পর সেখানেই তার মাজার হয়েছে। অগনিত ভক্তের আগমনে প্রতি বৎসরই তার ওরশ উদযাপিত হয়।


(৮) ভড়া বর্ষায় বিছানাকান্দি, বিছানাকান্দি হল একটা পাথরের বিছানা, যার উপর দিয়ে মেঘালয় রাজ্য থেকে ধেয়ে আসা স্বচ্ছ শীতল জলের তলদেশে পাথরের পাশাপাশি নিজের শরীরের লোমও দেখা যাবে স্পষ্ট। আর অন্য দিয়ে ক্ষণে ক্ষণে বাতাসে ভেসে আসা মেঘগুলো সামনের পাহাড়গুলোকে ঢেকে দিচ্ছে, কখনো বা হুট করে বৃষ্টি নেমে এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে সব কিছু। এখানে প্রকৃতির এ যেন এক মজার খেলা।


(৯) একটি গ্রাম্য মেলা, বিরাব, কাঞ্চন, রূপগঞ্জ থেকে তোলা ছবি।


(১০) সাজেক যাওয়ার পথ, প্রায় দুই হাজার ফুট পাহাড়ের ওপর ঝকমকে প্রশস্ত পথ। শহরের আদলে তৈরি ফুটপাত একেবারে পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি। পথের পাশে পাহাড়িদের বাড়িঘর নান্দনিকভাবে সাজানো। খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটির সাজেক যাওয়ার পথের ছবি এটা।


(১১) মাছ ধরা, এই ছবিটা তুলেছি নরসিংদীর মেঘনা নদী থেকে।


(১২) চমৎকার এই ঘুঘুর ছবিটা তুলেছি দুলালপুর, শিবপুর, নরসিংদী থেকে।


(১৩) আদিবাসি নারী, বগা লেক থেকে তোলা ছবি, যেই বগালেক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির একটি লেক। (উচ্চতা প্রায় ২,৪০০ ফুট)।


(১৪) ল্যাংটার মাজারে একজন ফকিরের সাথে আমি, প্রতি বছর চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার বেলতলীতে ১৭ থেকে ২১ চৈত্র এখানে ওরস হয়।


(১৫) রত্ন পাথর, যা নিমিষেই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটায়, ল্যাংটার মাজার থেকে তোলা ছবি।


(১৬) কৃষক জমিতে কীটনাশক ছিটাচ্ছে, কুমিল্লার রাজাপুর থেকে তোলা ছবি।


(১৭) চিংড়ি ঝর্ণা, বান্দরবানের বগালেক থেকে কেউকারাডাং যাওয়ার পথেই দেখা মিলবে এই ঝর্ণার, শুনা যায় এক সময় নাকি এই ঝর্ণায় প্রচুর চিংড়ি মাছ পাওয়া যেতো, তাই নাম হয়েছে চিংড়ি ঝর্ণা।


(১৮) ছোট্ট ফড়িং, বটেশ্বর, বেলাব, নরসিংদী থেকে তোলা ছবি।


(১৯) প্রাণীটির নাম আলপাকা, এই ছবিটা গাজিপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে তুলেছি।


(২০) কৃষ্ণচুড়া, এটা শিবপুর, নরসিংদী থেকে তোলা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×