somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিম পাথর ঝিরি

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নামটা শুনে অনেকেরই খটকা লাগতে পারে। বান্দরবানের থানচি গেলে ওখান থেকে সাধারণত আমরা সাঙ্গু নদী ধরে চলে যাই রেমাক্রির দিকে। কিন্তু থানচির নৌকা ঘাটা থেকে বাম পাশের বিজিবি ক্যাম্প পার হলেই ছোট্ট একটা ঝিরি পথ, উল্টো দিক থেকে স্রোতের বেগে পানি এসে মিশছে সাঙ্গু নদীতে। এই ঝিরি পথ ধরে কিছুদূর ট্রলারে যাওয়া যায়, পরে আরো কিছুটা পথ পায়ে হাটতে হবে তবে পৌছানো যায় এই ডিম পাথর এলাকায়।

ওখানে পৌছলে দেখা যাবে পাথরের ফাঁকে ফাঁকে প্রবাহিত পানির স্রেতধারা সাঙ্গু অভিমুখে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ছোট বড় প্রায় সবগুলো পাথরের আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো। যতোই এগিয়ে যাবেন পাথরের সংখ্যাটা বেড়েই চলছে। এই ডিম্বাকৃতির পাথরগুলো ওখানে রয়েছে বলেই এই এলাকাটার হয়েছে নাম ডিম পাথর।


(২) চান্দের গাড়ি থেকে থানচি নেমেই পেলাম দুঃসংবাদটা। গত রাতে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় সাঙ্গু নদীতে পানির উচ্চতা ও স্রোত অনেক বেড়ে গেছে, তাই পরবর্তি ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিজিবি। সুতরাং আমাদের কোন ভাবেই এই দিন আর রেমাক্রি যাওয়া হবেনা।


(৩/৪) সাঙ্গুর দিকে তাকিয়ে আমার কাছেও যেন সাঙ্গুকে কেমন অচেনা লাগলো। চিরচেনা সাঙ্গুর স্ফটিক স্বচ্ছ জল একেবারে ঘোলাটে আকার ধারণ করেছে, সেই সাথে সব সময় খড়স্রোতা সাঙ্গু আজ যেন রূদ্র রূপ ধারণ করেছে।




(৫) সিদ্ধান্ত বদল করে থানচি ট্রলার ঘাটে চললাম ডিম পাথর আর সেগুন ঝিরি দেখতে।


(৬) থানচি বাজার এবং বিজিবি ক্যাম্পকে বাঁয়ে রেখে ঝুলন্ত সেতুর নিচ দিয়া ট্রলার এবং গাইড নিয়ে ছুটে চললাম ডিম পাথর এলাকার দিকে।


(৭) দুই পাশে পাহাড়, মাঝ খানের ঝিরি পথটা ক্রমেই সরু হয়ে আসছে।


(৮) এক সময় ট্রলারের তলা পাথরে ঠেকে ঠেকে যচ্ছিল, সুতরাং হাটা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।


(৯) শুকনো দিয়ে হাটার কোন উপায় ছিল না, আর পানি দিয়ে হাটাটাও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, কখন পাথরে কখন স্রোতে ভেসে আসা বাঁশ কিংবা অন্য কোন বস্তুর উপর পা পড়ছিলো তা বুঝা যাচ্ছিল না।


(১০) এক সময় পানি কমে আসছিল আর পাথরেরা মাথা বের করে তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিল।


(১১) এই পাতাটাকে ভুলেই গিয়েছিলাম, ডিম পাথর ঝিরিতে প্রথম যখন দূর্গন্ধ পাচ্ছিলাম ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না ব্যপারটা কি? এক সময় বুঝলাম এই পাতাদের সাথে অনেক দিন পর সাক্ষাৎ হওয়ায় তাদেরকে আমি ভুলতেই বসেছি।


(১২/১৩) যতই সামনের দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি ততই ডিমের সংখ্যা, আরে না পাথরের সাখ্যা বাড়ছে। সব পাথরই যে গোল তেমন না, তবে ডিমও তো সব গোল হয়না, তাইনা? ;)




(১৪) পিচ্ছিল পাথর দিয়ে হেটে যাওয়াটা বেশ ঝুকিপুর্ণ ছিল, বিশেষ করে আমার কাতে ক্যামেরা থাকায় ঝুকিটা ছিলো আরো বেশী। ক্যামেরার পিছনে থেকে যখন টায়ার্ড লাগছিল তখন দুটো বড় ডিম পেছনে নিয়ে ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়াইলাম :-B


(১৫/১৬) ক্রমান্বয়ে পাথরের সংখ্যা বাড়ছে এবং বড় হচ্ছে।




(১৭/১৮) পাথরের সংখ্যাধিক্য এবং বড় হওয়ার কারণে এক সময় ঘোলা পানিগুলো পাথরের নিচ দিয়াই চলে যেতে দেখা গেল।




(১৯/২০) অবশেষে পথের পাথর শেষ হলো, সামনে দেখা গেল সেগুন ঝিরি থেকে আসা ঘোলা পানির স্রোত। সেগুন ঝিরি নিয়ে পরবর্তিতে কোন সময় আবার পোষ্ট দিবো।

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯
১৯টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×