গ্রামের নাম সোনর। এটা নরসিংদীর পলাশ থানার অন্তর্গত একটা গ্রাম। গ্রামের প্রধান রাস্তার পাশেই রয়েছে বিশাল একটা পুকুর, আর পুকুরের পুর্ব পাশে রয়েছে অনেকগুলো বট গাছ। এই বটগাছগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট হল এরা সকলে সকলের সাথে মিশে গেছে কোন না কোন ভাবে। দেখা গেল একটি গাছের ডাল বলে আপনি যেটাকে ভাবছেন ওটা অন্য গাছেরও ডাল। মানে ওরা প্রত্যেকে একে অপরের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে, আলাদা ভাবে চেনা যায় না।
প্রতি বছর কোন একটা সময় এখানে গ্রামীন মেলা বসে। মাঝে মাঝে মন খারাপ থাকলে আমি চলে যাই ওই যৌথ বটের নির্জনতায়। আমার ভীষণ ভালো লাগে এই এলাকাটা। জন মানবহীন এমন নির্জনতায় বসে পাখির কুজন শুনতে ভালো লাগবে না কার? এবারের আমার পোষ্ট আমার সেই প্রিয় বট গাছদের নিয়ে।
(২) গ্রামের প্রধান রাস্তা থেকে পুকুরের পাড় ধরে বট গাছের দিকে চলে যাওয়া রাস্তা।
(৩) পুকুরের পাড়ের ছিটকি গাছগুলোতে ছিটকি ফল ঝুলছে।
(৪) গাছগুলো পরস্পরের প্রতি এমন ভাবেই জড়িয়ে রয়েছে, আলাদা করে বুঝার কোন উপায় নাই কোন গাছের মূল কোনটা।
(৫) কোথাও বা এমন গেইটের মতো।
(৬) আবার কোথাও পা দুলিয়ে আরাম করে বসে পাখির কুজন শোনার মতো।
(৭) এখানে বসেই দেখা যাবে জাতিয় পাখি দোয়েলদের ব্যপক আনাগোনা।
(৮) বটের পাতার ফাঁকে ইতিউতি দেখা যাবে স্ত্রী কোকিলদের বট ফল খাওয়ার চিত্র।
(৯) অথবা দেখা যায় বুলবুলিদের অলস বেলা।
(১০/১১) পাশের গ্রাম থেকে বট গাছের তলায় আসার জন্য রয়েছে এমন কিছু মেটো পথ।
(১২/১৩) পথের ধারের সন বনে দেখা যাবে এমন রঙবেরঙা ফড়িংদের।
(১৪) বৈশাখ জৈষ্ঠ মাসে এমন চিত্রটা অতি স্বাভাবিক।
(১৫) পাশের সোনালু গাছে ঝুলছে ফুলও ফল।
(১৬) পাশের গ্রামের লোকজনও অনেক সময় বট গাছের ভেতরের পথ দিয়াই যাতায়াত করে।
(১৭) এটা কি পাখি আমার নাম জানা নাই।
(১৮) পুকুরে ভাসছে একটা স্টিলের নৌকা।
(১৯) পুকুরের অন্য দিকে বসে আছে একটা ধ্যনি বক।
(২০) শেষ বিকালের সূর্য্যের আলোয় পুকুরের পানিকে মনে হচ্ছে যেন গোলানো সোনা।
জানিনা ব্লগে পোষ্ট হিসাবে এটাকে আপনারা কিভাবে নেবেন, সোনর এর এই বট গাছ এবং আশেপাশের যায়গাটা আমার অত্যন্ত প্রিয় বলেই সময় পেলে বার বার আমি ওখানে ছুটে যাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬