somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন পর্ণস্টারের আত্মকথন (পার্ট-১: ডানপিটে ছোটবেলা) [NO 18+]

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



[এটি একটি গল্প মাত্র। কারো বাস্তব জীবনের সাথে মিল খুঁজতে যাবেন না প্লিজ। আর এটি সম্পূর্ণ আমার মনগড়া গল্প। আমি কোন পর্ণস্টারের সাক্ষাৎকার নিয়ে এটা লিখতে বসিনি। ধন্যবাদ।]



খুব ছোটবেলা থেকেই আমি বেশ ডানপিটে স্বভাবের ছিলাম, এটা অন্য সবাই বলার সাথে সাথে আমি নিজেও বুঝতাম। কেননা আমি কারো বিধি-নিষেধ তেমন একটা তোয়াক্কা করতাম না।
দিনের বেশীরভাগ সময়টা আমি বাড়ির বাইরে হৈ-হৈ টই-টই করে ঘুরে বেড়াতাম আর প্রতিবেশী ছেলেমেয়েদের সাথে খেলা করে বেড়াতাম। তবে আমার বেশী পছন্দ ছিল ছেলেদের সাথে খেলা করায়।
মা এ নিয়ে প্রায়ই বকাবকি করতেন। বকাবকি করছেন আর বলছেন ‘মেয়েদের এত ডানপিটে হতে নেই। একটু শান্ত থাকতে হয়।’ আবার মাঝে মাঝে রাগ হয়ে মা কে এটাও বলতে শুনেছি যে মা বলছেন, ‘এত ছোট বয়স থেকেই এত ছেলেবন্ধু, বড় হলে না জানি কি হবে!’
স্বাভাবিকভাবেই আমি মা’র সেই সব কথা খুব অল্পই বুঝতাম, নয়তো কিছুই বুঝতাম না।এ কারণে ওইসব কথা তেমন একটা গুরুত্ব দিতাম না। কেননা মা তো আর জানতেন না যে ছেলেদের সাথে খেলায় কত মজা! ওদের কি গতি, কি দুরন্ত ওরা! ব্যাথা পেলে মেয়েদের মত কাঁদে না, ছোটখাটো কোন কিছুতে নালিশ নেই।

একটু যখন বড় হলাম, তখন আমার আশেপাশের অনেককেই বলতে শুনেছি আমি বেশ সুন্দরী। এসব কথায় আমি তেমন একটা গুরুত্ব দিতাম না।

একদিনের ঘটনা।

আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এলেন এক আঙ্কেল-আন্টি আর সাথে তাদের পিচ্চি। যতক্ষণ উনারা ছিলেন, আমি পিচ্চির সাথে খাতির করে খুব খেলাধুলা করলাম। আমি তখন ফিফথ স্ট্যান্ডার্ডে পড়ি। পিচ্চির সাথে তাই জমিয়ে নিতে আমার বেশী সময় লাগেনি। উনারা চলে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই আঙ্কেল আমাকে কোলে তুলে নিলেন। ফিফথ স্ট্যান্ডার্ডে পড়া তুলনায় আমি একটু বেশ লম্বাই ছিলাম। তাই এভাবে হঠাৎ করে কোলে নেওয়াতে আমি বেশ অবাকই হয়েছিলাম। আরো অবাক হয়েছিলাম এইটা টের পেয়ে যে উনি আমাকে কোলে নেওয়ার সময় কৌশলে উনার বাম হাতটা আমার স্কার্টের নিচ দিয়ে নিয়ে সেই হাতে বসালেন আর ডান হাত নিয়ে আমার দুই পায়ের মাঝে হাত রাখলেন। এরপর কিভাবে জানি আমাকে একটু নড়িয়ে উনার বাম হাতটা আমার প্যান্টির মধ্যে দিয়ে দিলেন। অবাক হয়ে আঙ্কেলের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি উনি হেঁ হেঁ করে হাসছেন আর আমার মা-বাবাকে বলছেন, আপনাদের মেয়েটা এ বয়সেই দেখতে খুবই সুন্দরী হয়েছে।দেখলেই কোলে তুলে নিয়ে আদর করতে ইচ্ছে করে। এ কথা বলতে বলতেই উনি উনার হাত আমার প্যান্টির মধ্যে নিয়ে আমার ওইখানে হাত দিতে লাগলেন।সমানে হাত চলছে আর সেই সাথে মুখে বলছেন, বড় হলে দেখবেন ডাকসাইটে সুন্দরী হবে, হেঁ হেঁ। হাত চালানোর গতি যখন একটু একটু করে বাড়ছিল তখনই আমি আমার অবাক হয়ে থাকা অবস্থা কাটিয়ে অসস্তিতে শরীর মোচড় দিতেই উনি হাত বের করে নিয়ে আমাকে উনার কোল থেকে নামিয়ে দিলেন।


সেদিন উনারা চলে যাবার পর আমি আমার ঘরে এসে বালিশে মুখ গুঁজে খুব কেঁদেছিলাম। কেন বা কি ফিলিংসের জন্য কেঁদেছিলাম জানি না, তবে খুব কান্না পাচ্ছিলো এতটুকু মনে আছে। তারপর কিছু পরে উঠে চোখ মুখ মুছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম আমি আসলে কেমন সুন্দরী। আমার সৌন্দর্য আসলে কোথায়। মানুষ তো আমার মুখ দেখে বলে আমি সুন্দরী। মুখেই যদি সৌন্দর্য থাকবে তাহলে ওই আঙ্কেল আমার ঐখানে হাত দিয়ে কেন বললেন যে আমি এই বয়সেই অনেক সুন্দরী! কেউ একজন আরেকজনের ওখানে কখনো হাত দেয়! ছিঃ! আমার আবার কান্না পেল। কাঁদলামও বেশ কিছুক্ষণ।

পরদিন সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় ‘ক’ আর ‘খ’ এর সাথে দেখা হলে কেন জানি আমি ওদের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছিলাম না। ‘ক’ আর ‘খ’ আমার খুব ভাল বন্ধু। আমার কোন বান্ধবী নেই। এরাই আমার বন্ধু জগতের মানুষ। আমরা তিনজনে একে অন্যের সাথে সব কিছু শেয়ার করি। আমাদের একটা গোপণ আস্তানা আছে। কোন কারণে আমাদের লুকানোর দরকার পড়লে আমরা সেইখানে গিয়ে লুকাই। আমার এমন ধারার চুপচাপ আচরণ ‘ক’ আর ‘খ’ এর নজর এড়ালো না। রোজ যেই আমি অনেক হৈ-হল্লা করতে করতে স্কুলে যাই সেই আমি কিনা চুপচাপ!
সারাদিন স্কুলে চুপচাপ ছিলাম। থেকে থেকে গতদিনের ওই ঘটনাটা মনে পড়ছিল আর আবার কান্না পাচ্ছিলো।আমার এমন ধারা সারাদিন ধরে ওরা দুজন দেখেছে। তখনও আমি ওদের কে কিছু বলিনি। তাই স্কুল শেষে ওরা আমাকে আচ্ছাসে পাকড়াও করে জানতে চাইলো আমার কি হয়েছে। কেন জানি আমার এইটাকে খুব লজ্জার একটা ব্যাপার বলে মনে হচ্ছিলো। তাই ওদেরকে বলতে পারছিলামও না। শেষে ওদের জোরাজোরিতে আমি ওদেরকে সব খুলে বলি। বলেই আমি আবারো কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি। ওরা দু’জনও মনে হয় এমন ধারার কথা জীবনে প্রথম শুনেছিলো। ওরাও কিছুক্ষণ হা হয়ে থেকে প্রচন্ড রেগে গেল। পারলে তখনই সেই লোককে খুঁজে তাকে জবাই করে ফেলে।

সে বয়সে এই রকম একটা ঘটনা আমার জন্য অনেক বড় একটা ব্যাপার ছিল। আমি জানি আমার ওই বয়স পার করতে থাকা বা পার করে আসা কম বেশী অনেক মেয়ে কেই কোন না কোন সময় এই ধরণের একটা পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে।

ফটো কার্টেসি: আর্টপিকস


পরের পর্ব

শেষ পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:১৫
৪৪টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×