প্রাইভেট ভার্সিটতে ব্যাচেলর লেভেলের ফুল কোর্সে মিনিমাম খরচ ২/২.৫ লক্ষ টাকা। এটা কেবল একাডেমিক ফি। আরো অন্যান্য খরচ তো আছেই। এখন নতুন যোগ হতে যাচ্ছে ১০% করের বোঝা। ভালো ত ভালো না?
নিত্যব্যবহার্য এবং আবশ্যকীয় পন্যে কর কমনো হয় আর বাড়ানো হয় সাধারনত বিলাশবহুল কিংবা তুলনামুলক অপ্রয়োজনীয় পন্যে। তবে কি শিক্ষা বিলাসবহুল আইটেম?
সরকার কি মনে করে প্রাইভেট ভার্সিটিতে কেবল বড়লোকের সন্তানরাই পড়ে? বাস্তবতা কিন্তু তা বলে না। আমার জানামতে মধ্যবিত্তশ্রেনী পিতা মাতার সন্তানরাই এগুলাতে বেশি পড়ে। প্রাইভেটে পড়ে তাড়াতাড়ি পাশ করে একটা চাকরী জোগার-ই মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে। তাছাড়া প্রাইভেট ভার্সিটিগুলাতে ছাত্ররাজনীতি সাধারনত হয় না এটাও অন্যতম উদ্দেশ্য। সন্তানকে ভার্সিটিতে ভর্তির সময় একটা বাবা মায়ের প্রধান চিন্তাই থাকে টাকার সঙ্কুলান কিভাবে হবে। যখন আয় আর ব্যয় মিলিয়ে দেখা যায় প্রয়োজনীয় টাকার জোগান হচ্ছেনা তখন মা কান্না বুকে চেপে তার পরম শখের বিয়ের গহনা হাতে নেন কিংবা বাবা তার দীর্ঘদিনের সাথী মোটর সাইকেলটা বিক্রি করে। তাও সন্তানটা পড়ুক। পড়ালেখা করে মানুষের মত মানুষ হোক। এখন হয়তো ১০% অতিরিক্ত করের জন্য আরেকটি প্রিয় বস্তু বিক্রি করবেন।
অসুবিধা কি? কর দিতে হবে না? কর না দিলে দেশের উন্নতি হবে কিভাবে?
সরকার হয়তো মনে করে, প্রাইভেট ভার্সিটিতে কেবল খারাপ ছাত্ররাই পড়ে। আসলেই কি তাই? মোটেও তা না। প্রাইভেট ভার্সিটিতে কেঊ শখ করে ভর্তি হয় না। অপ্রতুল আসনের বিপরিতে ছাত্র সংখ্যা বেশি হওয়া, তুলনামুলক ভালো ফল করতে না পারা, কাঙ্খিত বিষয় বা ভার্সিটিতে ভর্তি হতে না পারলে, নোংরা ছাত্ররাজনীতি, পরিবেশ ভালো না থাকা, যোগাযোগ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা, সর্বোপরি সেশনজটে না পড়তেই কেবল ছাত্র-ছাত্রীরা অতিরিক্ত টাকা ব্যায়ে প্রাইভেট ভার্সিটিতে যায়।
সিট দেবার মুরোদ নেই, কিন্তু কর বাড়াতে এক পা বাড়া।
আমার নিজের দেখা, কত ছাত্র টিউশনি করে কিংবা পার্ট টাইম চাকুরি করে, খেয়ে না খেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিস্তি জমা দেয়। সামান্য Discount এর জন্য কতজনের কাছে ধরণা দেয়া, রেজিষ্টার স্যারকে কত অনুনয় বিনয়!
এখন অতিরিক্ত মাত্র ১০% কর !! এটাও পারবে সমস্যা নেই।
পুনশ্চঃ বাজেট পাশ হয়নি এখনো, খসড়া দিয়েছে শুধু । আশার আলো খুবই সামান্য, হয়তোবা এই কর implement করবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




