somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আকন্ঠ হতাশায় নিমজ্জিত মানুষরাই ধর্ম নিয়ে কুটুক্তি করে

২৮ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজের পিতৃপ্রদত্ত ধর্ম নিয়ে যারা খুব frustrated থাকে তারাই নিজ এবং অন্য ধর্ম নিয়ে কুটুক্তি করে...। সে যেই ধর্মেরই হোক এটা প্রযোজ্য। ইহা আমার ধারনা নয়, একেবারে জলজ্যান্ত গবেষনায় প্রাপ্ত। বিশেষ করে, আমার অনেক বন্ধু আছে যারা আমার ধর্মের অনুসারী নয়। প্রায়ই তারা তাদের নিজ ধর্মীয় বিভিন্ন contradiction গুলো আমার সাথে শেয়ার করে। আপাত দৃষ্টিতে তাদের দেখে বেশ নিরীহ মনে হলে ও ব্লগ বা ফেসবুকে খুবই arrogant হয়। তাদেরকেই দেখা যায় অপ-সত্যের কিংবা ঢাহা মিথ্যার বিভিন্ন উসকানি মুলক লেখা শেয়ার করতে। ব্যাক্তিগতভাবে যুক্তিতর্কে কিংবা সরাসরি বিতর্কে তারা না আসলেও ব্লগে দেখা যায় অত্যন্ত কুৎসিত ভাবে যুক্তিহীন লেখা লিখতে। তারা কখনই কুনো Authentic writer এর বই পড়েনা বা পড়তে চায় না। বাজারে যেসব অর্বাচীনদের সত্যের সাথে মিথ্যা মিশ্রিত লেখা চটি জাতীয় বই বের হয় সেগুলো পড়ে মনে করে ধর্ম বিষয়ে বিরাট পন্ডিত হয়ে গেছে। তাদের লেখার মূল রেফারেন্স হচ্ছে সেগুলো।

অন্যদিকে যারা নিয়মিত ধর্ম পালন করে। সে যেই ধর্মের ই হোক তারা সাধারনত অন্য ধর্মের সমালোচনা করে না। আমি নিজে দেখেছি অনেকের সাথে compare করে।

একেক মানুষের বিশ্বাস একেক রকম হতে পারে। এটা খুব স্বাভাবিক। কেউ মনে করে মানুষ মরে গেলে আকাশের তারা হয়ে যায়। কেউ বা বিশ্বাস করে অন্য কিছু। সব গুলা যে সত্য, তা তো না। তার বিশ্বাস আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। তাই বলে তাকে নিয়ে উপহাস করা কি উচিত? মিথ্যা রঙ ছড়িয়ে অপবাদ দিতে হবে? আরেকজনের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করা উচিত। তার বিশ্বাস কে প্রথমে শ্রদ্ধা করে আপনার চিন্তা তাকে বলতে পারেন সে যদি মেনে নেয় তবে ত খুব ভালো নতুবা তাকে নিয়ে তার প্রিয় ব্যাক্তিত্ব কে নিয়ে খারাপ ভাষায় কুৎসিত নির্জলা মিথ্যা অপ-রচনা করা জগন্যতম অপরাধ।

একজন ধর্ম বিশ্বাস করে, আরেকজন করে না... হতেই পারে। যার যার বিশ্বাস নিয়ে থাকলেই ত হয়, কেন ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালাতে হবে?

কোন ব্যাক্তি বা গোষ্টির উপর রাগের কারনে কিংবা ব্যাক্তিগত অপূর্ণতার কারনে পুরো ধর্মকে নিয়ে বা ঈশ্বর এবং তাঁর প্রেরিত পুরুষ কে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দেয়া কি যুক্তিসম্মত ?

প্রচলিত নব্য নাস্তিকদের (পড়ুন ধর্মবিদ্বেষী) বিষয়টা আরো অদ্ভুত!!! তারা মুখে বলে মুক্তমনের কথা, বাক স্বাধীনতার কথা কিন্তু কাজ করে পুরা উলটা। তারা জোর করে তাদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। কেউ যুক্তিযুক্ত প্রতিবাদ করলে শুরু হয় কুতর্ক (মিথ্যা গলাবাজি) যুক্তির ষ্টক ফুরিয়ে গেলে শুরু হয় দুর্গন্ধময় অশ্লীল কুৎসিত গালাগাল। যেগুলোর অধিকাংশই হচ্ছে স্ত্রী-লিঙ্গ সংক্রান্ত (বিষ্টামুখ থেকে তো আর গোলাপের সুঘ্রান আশা করা যায় না)। তারাই আবার নিজেদের নারীবাদী বলে পরিচয় দেয়। কতটুকু ভন্ডামী! ভাবতেই ঘৃণায় গা রি রি করে উঠে।

ধর্ম নিয়ে বিশ্লেষন করা যেতে পারে। একজনের কাছে মনে হতেই পারে ধর্মগ্রন্থগুলো মানুষের বানানো। আরেকজন অকাট্য প্রমান দেবে এগুলোর পক্ষে। এটাইতো স্বাভাবিক। কিন্ত ধর্ম নিয়ে ধর্মের সর্বচ্চো সম্মানিত মানুষদের নিয়ে মিথ্যাচার করা, মিথ্যা অপবাদ দেয়া, অশ্লীল গালাগাল করা, এগুলো কি মুক্তবুদ্ধির সংজ্ঞা?

আমার একটা অভিমত বলি এখন। রাগ করেন আর যাই করেন, নাস্তিকরাই সবচে ঈশ্বরে বিশ্বাসী। কিভাবে??? হা হা ...।
তাদের কথা মতো আল্লাহ যদি নাই থাকেন, তবে কেনো তারা আল্লাহর ব্যাপারে এতো ইন্টারেষ্টেড? তাদের কে দায়িত্ব দিলো মানুষকে বুজানোর যে “ঈশ্বর বলে কোন কিছুই নাই” ? আর যদি বুজাতেই হয় তবে সাধারন মানুষ যারা ব্লগিং বা ভার্চুয়াল জগতের সাথে পরিচিত নয়, (এদের সংখাই তো বেশি) এদের পর্যায় থেকে শুরু করতে হবে। বিপ্লবতো সাধারন মানুষের কাছ থেকেই আসে। ভীতু কাপুরুষদের মতো করে লুকিয়ে ছদ্মনামে কেনো? ভার্চুয়াল জগতের বাঘ সিংহরা বাস্তব জীবনে বিড়ালের চেয়েও অধম।

প্রত্যেকেই আপন ধর্মকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলে মনে করে। সকলে মুখ দিয়েই চায় নিজের ধর্মের (নাস্তিকতাকে আমি একটি ধর্ম বলেই মনে করি) শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত করে ফেলতে, কাজ দিয়ে নয়। মুখের সাথে কাজের সমন্বয় ঘটলেই তো কেবল সফলতা আসে। যুগে যুগে যেসব প্রেরিত মহাপুরুষ’রা এসেছেন তাঁরা কি কখনো অন্য ধর্মের বিষয়ে কুৎসা রচনা করেছেন? বরং তারা ছিলেন সে যুগের শ্রেষ্ঠ মানুষ। তাদের ছিলো লক্ষ লক্ষ অনুসারী, যারা পরবর্তীতে সে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। কাজ আর আত্মত্যাগ দিয়েই নিজের প্রচারিত ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তাঁরা যদি অন্য ধর্মের সমালোচনা করা শুরু করে দিতেন তবে তো সেদিকেই পুরো সময়ই কেটে যেতো। নিজের কাজ কখনই সম্পন্ন করতে পারতেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×