আল্লামা শাহাবুদ্দীন ইবনে হাজর হায়তামী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করার নীতি প্রচলন ছিল। যেমনঃ- হযরত আবুবকর সিদ্দিক রদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম অর্থ খরচ করবে, সে ব্যক্তি বেহেশ্তে আমার সাথী হবে”।(আন নিয়ামাতুল কুবরা)
হযরত ওমর ফারুক রদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাজীম ও সম্মান করলো, সে যেন ইসলামকেই জীবিত রাখলো”।(আন নিয়ামাতুল কুবরা) হযরত ওসমান রদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম অর্থ খরচ করলো, সে যেন বদর ও হোনাইনের যুদ্ধে শরীক হলো”।(আন নিয়ামাতুল কুবরা)
হযরত আলী রদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন- “যে ব্যক্তি ‘মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্মান করবে এবং মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করার উদ্যোক্তা হবে, সে দুনিয়া থেকে (তওবার মাধ্যমে) ঈমানের সাথে বিদায় হবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”।(সূত্রঃ আননে’মাতুল কোবরা আলাল ফি মাওলিদি সাইয়্যেদ ওলদে আদম ৭-৮ পৃষ্ঠা)।
সাহাবায়ে কেরামগন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সামনে মিলাদ মানিয়ে ছিলেন এবং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা বারণ করেননি বরং খুশি হয়েছিলেন ।যেমন হযরত হাসসান বিন সাবেত রদিয়াল্লাহু আনহুর জন্য মেম্বার করা হয়, যার উপর উঠে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তারিফ প্রশংসা করে বিভিন্ন ছন্দ পাঠ করতেন,এবংহুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত হাসসান বিন সাবেত রদিয়াল্লাহু আনহু জন্য এরূপ ভাবে দোয়া করতেন –হে আল্লাহ পাক হযরাত হাসসান বিন সাবেত রদিয়াল্লাহু আনহু কে আপনি জীবরাইল আলাইহিস সালাম দ্বারা মদদ করুন (সহীহ বোখারি ১ম খন্ড ৬৫ পৃঃ) ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




