কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ এর এই ডিজিটাল পদ্ধতির বিরোধিতা কেন? এই পদ্ধতি চালু হলে নাকি শিক্ষকদের স্বাধীনতা খর্ব করে নিয়ন্ত্রণারোপ করা হবে। এভাবে শৃঙ্খলিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও মুক্ত চিন্তার পরিপন্থি। তাছাড়া, ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স এর এ সিদ্ধান্ত নাকি ৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী শিক্ষকরা যে শুধু বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে তার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ!
কিন্তু আমার প্রশ্ন ডিজিটাল অ্যাটেন্ডেন্স মনিটরিং সিস্টেম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে শুধু বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে গবেষণা ও মুক্ত চিন্তার করার অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কতটা বাঁধাকর হবে? নাকি এ পদ্ধতি চালু করলে নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে না এসে, সংশ্লিষ্ট বিভাগে সময়মত ক্লাস পরীক্ষা না নিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনা কাজে সময় ব্যয় না করে শুধুমাত্র রাজনীতি আর বেসরকারী প্রতিষ্টানে শ্রম দেয়ার বিষয়টি একটু হলেও প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বলেই শিক্ষকদের এ বিরোধিতা!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯