somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

!!!বিদায় ২০১১!!! মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে~~~এসো নতুন !!!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিদায় শব্দটার মাঝে ভয়ংকর এক বিষাদ জমা আছে। কথাটা শুনলেই বুকের মাঝে জাগে ব্যাথার কাঁপন । মনটা কিছুক্ষনের জন্য খারাপ হয়ে যায়। বিদায় প্রাক্কালে পেছন ফিরে তাকালেই স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে, ফেলে আসা কত শত মন্দ-মধুর মুহুর্ত, কত ভালোবাসা, কত গান বা ব্যাথা বেদনায় ভরা স্মৃতি। ২০১১ এ বছরটিতেও কত কিছুইনা ছিলো এমন। কিছু প্রাপ্তি, কিছু ভালোবাসা , মনোমালিন্য বা কিছু মান অভিমান। সাফল্য , ব্যার্থতা সবকিছুই স্মৃতির ঝুলিতে নিয়ে শেষ হয় একটা বছর। ভরে তোলে আমাদের জীবনের মূল্যবান সম্পদ। সোনালী অতীতের খাতা।

এই ব্লগটায় আমার বয়স খুব একটা কম না। ২০০৮ এর এক জুলাই মাসে এখানে এসেছিলাম আমি একজন পুরোনো ব্লগারের হাত ধরে। তিনি চিনিয়েছিলেন আমাকে আমার জীবনের এক মহানন্দের উপকরণ এই সামহয়্যারইন ব্লগ। এ ছিলো আমার জীবনের এক শ্রেষ্ঠ উপহার। সারাদিনের শত দুঃখ বেদনা আমি ভুলেছি এখানে এসে। টুকরো টুকরো তুচ্ছ আনন্দগুলোও আমি ভাগাভাগি করেছি এখানেই। কখন যেন এ ব্লগ আমার জীবনের দৈনন্দিন রুটিনের এক অংশ হয়ে গিয়েছে!!!

কত কথা শুনেছি প্রিয় পরিজনের কাছে, এইখানে টাইম দেওয়া নিয়ে, কত অনুযোগ, কত অভিমান। তবুও যখন তারাও মুগ্ধ হয়েছে বা এতটুকু প্রশংসা করেছে আমার কবি প্রতিভা বা লেখক প্রতিভা নিয়ে, গলে গেছি আমি। সামু আমাকে অনেক দিয়েছে। আমি কনফিডেন্ট হয়েছি যে কোনো কিছু লিখে ফেলাতে। এখন আমার কর্মক্ষেত্রে বা রিয়েল লাইফে দু চার লাইন লিখে ফেলতে মোটেও কুন্ঠিত হইনা আমি। এই কারণে সামু , সামুর পাঠক এবং আমার প্রিয় ভাইয়া আপুনিদের উপর আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

যখন আমি ছিলাম অচিনপাখি
কেন যেন কেউ স্মীকার করতেই চায়না আমি যে ইনট্রোভার্ট একজন মানুষ। কিন্তু আমি জানি আমি কতটাই ইন্ট্রোভার্ট। তাই আমি তখন ছিলাম অচিনপাখি । মনের না বলা কথা যার অনেককিছুই হয়তো বাস্তব জীবনে বলা হয়নি কাউকে, সে সব অবলীলায় বলে যাওয়া কোনো এক অচিনপাখি ছিলাম আমি। একটা সময় এখানেই গেয়েছিলাম বুকের গভীরে বেজে যাওয়া সেসব গান। অপ্সরা বা অচিনপাখি এই নিকটাকে এখানে সবাই যে ভালোবাসায় জড়িয়ে নিয়েছিলো, সে কথা ভোলা হবেনা আমার কখনও।

মন্জুভাইয়া,কালপুরুষভাইয়া,ফারিহানভাইয়া,স্বপ্নজয়ভাইয়া,কৌশিকভাইয়া,অরুনাভভাইয়া,ধীবরভাইয়া,নির্ঝরিনীআপু,সহেলীমনি,তায়েফভাইয়া,হিমালয়ভাইয়া,ভাস্কর,বাবুনিমনি,আবুসালেহ,অনন্তদিগন্ত,বৃত্তবন্দী,সাইফভাইয়া,মাহবুবুল আলম লীংকন,ত্রেয়া,ভাঙ্গা পেনসিল,রাহাত ভাইয়া,আজনাবী ভাইয়া,বিবর্তনবাদী,অন্ধ দাঁড়কাক,কাব্য, রুমমা, সুনীল সমুদ্রভাইয়া,জটিল,সাজি আপু, ফেরারী পাখি আপু, শ্রাবনসন্ধ্যা আপুনি, আরিয়ানা আপু ও আরও অনেক হাজার হাজার অদেখা ভুবনের মানুষগুলোর স্নেহধন্যা হয়েছি আমি। খুব অল্প সময়ে আমি আটকে পড়েছিলাম সামুর মায়াবী জালে।

মনে আছে সে বছর অপরবাস্তব বইটার লেখকগুলো যে এ ব্লগটারই আমারই চেনাপরিজন, এটা জেনেই শিহরিত হয়েছি আমি। ২০০৯ এ আমি এই ভালোবাসা থেকেই কৌশিকভাইয়ার রিকোয়েস্টে এই অপরবাস্তব নিয়ে লেখা আহবান করে পোস্ট দিয়েছিলাম। অবশ্য তখন থেকে আমাকে কেউ কেউ মডু ভাবা শুরু করলো। এটা আমার জন্য কখনও কখনও খুব মজার আবার কখনও কখনও একটু কষ্টকর ছিলো।

তোমায়(সামু) ছেড়ে বলো যাবো কোনখানে?
যাইহোক পালালাম আমি অপ্সরা থেকে। অচিন পাখি হয়ে উড়াল দিলাম। ভেবেছিলাম আর লিখবোনা । পালিয়ে যাবো অনেক দূরে। পারলাম না।

ফিরে এলাম আমি জাতিস্মর হয়ে-শঙ্খচিল শালিকের বেশে - শায়মা~~
ততদিনে আমি ব্লগীয় হালচাল বেশ জেনে গেছি।একেকটা দিন তো আমাদের কম অভিজ্ঞতা বাড়ায় না। শায়মা থেকে প্রথম এক লাইনের একটা পোস্ট দিলাম। সেটা শুধু রেজি করানোর পরই লেখা আমার ইন্ট্রোডাকশন। কিন্তু ২য় লেখাটা, আমার ধারনা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ লেখাই ছিলো সেটা। অনেক মজা পেয়েছিলাম পাগলা জগাই লিখে। কারণ ঠিক যেন ছোট্ট বেলার সেই লুকোচুরি খেলা। কেউ চিনতে পারছেনা আমাকে। যাইহোক আবার নতুন করে প্রিয় কজন মানুষ।

যে মানুষগুলো ২০১১ এর শেষ দিনটি পর্যন্ত জড়িযে আছে আমার ভালোবাসায়,যাদের ভালোবাসায় হয়েছি ধন্য আর যাদের কাছে আমার সাত খুন মাফ!!

মুকুট বিহীন সম্রাট- ঠিক এমনি একজন মানুষ এই মুকুট বিহীন সম্রাট। এমন ধৈর্য্যবান ও নিজগুণে সাফল্যমন্ডিত একজন মানুষ তাকে না দেখা হলে এই জীবনে হয়তো দেখা হতোনা কাউকেই আমার। আমার ধারনা জীবনের শেষ দিনটিতেও তার কাছে গিয়ে যে কোনো প্রয়োজনে যে কেউ দাঁড়ালে ফেরাবে না সে কাউকেই।
ফারিহান ভাইয়া-যখন তখন যে কোনো রকম সাহায্য প্রয়োজন হলেই আমি ম্যাসেন্জারে গিয়ে ভাইয়াকে একটা ডাক দিলেই পেয়েছি তার সাড়া। এমন মগের মুলুকের আবদার বুঝি শুধু একমাত্র তার কাছেই করা যায়।
সুরণ্জনা আপু- এই আপুটার কথা আর তার ভালোবাসার কথা কি আর বলবো? আমার মন খারাপ বা ভালো যেটাই হোক না কেনো কি করে যেন টের পেয়ে যায় এই আপুনিটা। কি করে পায় সেটা অবশ্য আমি জানি। সে কারণটার নামই নিস্বার্থ ভালোবাসা। যার যোগ্য মোটেও এই স্বার্থপর আমি নই।
এস.কে.ফয়সাল আলম/sb] - তার এ্যান্জেলিকা আপুর স্থানে কাউকেই সে বসাতে পারেনা কখনও আর তাই সে কখন আমাকে ক্ষমা করতে পারেনা। বাট অলওয়েজ আই লাভ ইউ সো মাচ ভাইয়া।
বড়বিলাই-বিল্লি আর বাঘ নিয়ে যার কাজ কারবার তার নামই বড়বিলাই আপুনি। এমন শিশুর সারল্য ঠিক তার মত আর কারো মাঝে খুঁজে পাওয়া দুস্কর!!
রেজাভাইয়া[/sb আমার তানসেন ভাইয়া। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত আর ভীষন প্রকৃতি প্রেমী এই ভাইয়াটাকে মনে হয়না এইখানে আমার চাইতে বেশী কেউ চিনেছে।ভাইয়ার কাছে আমার জন্য কেনা একটা ঈদের শাড়ি রাখা আছে। বোনদের সাথে সাথে আমার জন্যও শাড়িটা কিনতে ভুলেনি ভাইয়া। তোমার এ ভালোবাসার ঋণ কখনও শোধ হবেনা ভাইয়া। আর শোধ করতেও চাইনা আমি।
মোঃমোজাম হক -এক সময় ভাইয়া আমাকে খেপিয়েছিলো মেয়ে বলেই নাকি এত মানুষ আমার পোস্ট পড়ে। মেয়ে না হলে নাকি কেউ ওমন অং বং পোস্ট পড়তোই না। তারপর কি করে যে ভাইয়াটা আমার এমন আপন হয়ে গেলো। এখন বং অং লিখলেও ভাইয়া এসে ঢু মেরে যেতে ভুল করেনা।
ইমন কুমার দে - কেউ জানে কিনা জানিনা। তবে ভাইয়ার সাথে আমার একটা দারুন মিল আছে। ভাইয়া একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী আর আমি একজন অদক্ষ নৃত্যশিল্পী।
একরামুল হক শামীম- যখনি আমার কারো উপর রাগ হয়েছে, অথবা দুঃখ অথবা মজাদার কোনো ঘটনা। আমি সেটা অন্তত একজনের কাছে গিয়ে চিল্লাতে ভুলিনি। সেটা শামীমু। সদা হাস্যমুখী এমন ভালোমানুষ খুব কমই আছে আমার শামীমু পিচকা ভাইয়ার মত।
আমি ভাল আছি- এই ভাইয়াটাকে আমি ভাত ভাইয়া ডাকি। এক থালা ভাত এর প্রোপিক দেখে আর ভাত এর প্রতি তার ফ্যাসিনেশন জেনেই একদিন এ ডাকের শুরু। কত দুষ্টুমী যে জানে ভাইয়াটা সে কথা ক জনাই বা জানে।
মাহফুজার রহমান- অতি সুদর্শন এই ভাইয়াটার জন্য আমাদের একজন ভাবী প্রয়োজন। দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি এ বছরের প্রথম মাসেই দেখা মিলুক আমাদের ভাবীটার। তবে ভাবীকে অবশ্যই অনেক অনেক ভালো হতে হবে ঠিক আমার প্রিয় ভাইয়াটার মতই।
সান্তনূ ভাইয়া-এমন আধ্যাত্মিক চিন্তা ভাবনা মনে হয় শুধু লালনই করতে পারতেন। ভাইয়ার মত চাপা একজন মানুষের মাঝে
লুকিয়ে রয়েছে এমন এক শৈল্পিক মন যার তুলনা শুধুই বুঝি তিনি।
রুদ্রপ্রতাপ- নামটা শুনলেই পরাক্রমশালী কোনো ইয়া মোঁচওয়ালা জমিদারের চেহারা মনে পড়ে আমার। তাই ভাইয়াটাকে ভয় লাগতো একটু একটু । পরে জেনেছি নামটার মত একফোটাও ভয়ানক নয় তার মনটা।
স্তব্ধতা-অতি প্রিয় এবং স্পষ্টবাদী একজন জ্ঞানীভাইয়া। তার কমেন্টগুলোই এক একটা পোস্ট যেন।
স্পর্শহীনকিছুদিন-অনেক দিনের পুরোনো বন্ধু।একজন রিয়েল জেন্টেলম্যান।
anisa,মেহবুবা, জুন আপুনি- ভালোবাসা, মায়াময়তা আর সরলতার প্রতীক বলতে বুঝি এই তিন আপুনিকেই বুঝায়।
রেজোওয়ানা- পরম সৌন্দর্য্যবিলাসী ও জ্ঞানী একজন মানুষ। সেই পরিচয় তার টেবিল ডেকোরেশন, বাড়িঘর সাজানো আর কঠিন সব লেখাগুলো দেখলেই পাওয়া যায়।
জিসান শা ইকরাম - এমন সদা হাসিখুশী, প্রান চান্চল্যে ভরপুর ভাইয়াটাকে দেখে সত্যি অবাক হতে হয়।সবার জন্য এক বুক ভালোবাসা বয়ে বেড়ানো ও শুধু আমারই না সকলের সাত খুন মাফ করে দেওয়া সে শুধু তার পক্ষেই বুঝি সম্ভব।



যারা আমার স্নেহধন্য ও যাদের সাত দুগুনে চৌদ্দ খুন মাফ আমার কাছে
ত্রাতুল- এই পিচকাটাকে দেখে অবাক হই। এই বয়সে এমন গুরু গম্ভীর কথা বার্তা!!! তবে দুঃখবিলাস রোগটাকে ছাড়তে হবে পিচকাটার!!!
সোহানুর রহমান সোহান- পর পর দু' দুবার আমার জন্মদিনে পোস্ট দিয়ে অবাক করে দিয়েছিলো আমাকে! লাভ ই সো মাচ ভাইয়ামনি।
সায়েম মুন- আমাকে যে বিউটি আপি বলে ডাকে। আর আমার এই বেবি ভাইয়াটা দিন দিন হয়ে উঠেছে এক সুদক্ষ লেখক আর কবি।
বৃষ্টি ভেজা সকাল- পৃথিবীর যে যাই বলুক এই ভাইয়াটার জন্য এক টুকরো সফট কর্নার রয়ে যাবেই আমার অন্তরের এক কোনে। আর এটাও জানি কারো কারো হৃদয়ে নিস্বার্থ ভালোবাসার বীজ রোপিত থেকে যায়। আই লাভ ইউ অলওয়েজ ভাইয়া।
শফিক আসাদ- শফিক আসাদ আর রফিক আসাদ দুই ভাইয়ারই ছড়া প্রতিভা আর ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি আমি বার বার ।
সমুদ্র কন্যা- এই গভীরতার কন্যাটার সাথে সাথে মিস করি আরেকজনকে। কোথায় যে হারালো সেই প্রিয় শব্দকারিগর নৈশচারী! আই মিস ইউ আপুনি।
১,২,৩,৪,৫...... তোমাকেও অনেক অনেক মিস করি আপুনি।:( যেখানেই থাকো ভালো থেকো।
সিদ্দিক আহমেদ হঠাৎ পাওয়া এই ভাইয়াটাও খুব ইরেগুলার। মিস করি ভাইয়াটাকে।
রাজ সোহান- পুত্তুম পেলাস খ্যাত ভাইয়াটা আজকাল বড় হয়ে গেছে। আগের মত আর দেখা যায়না তাকে।
আশকারি রহমান-এত্ত ছোট্ট পিচকি ভাইয়াটাকে দেখে আমি অবাক!!! সবার আদরে আর ভালোবাসায় ভরে থাকো ভাইয়া। আর অনেক বড় মানুষ হও।
আবদুর রহমান (রোমাস)- একজন হাসিখুশী সরল মনের মানুষ। সেই কবে থেকেই যে পরিচয় তোমার সাথে।
ভিয়েনাস- ভাইয়াটাকে কেবলি সেদিন দেখলাম। শহীদ সাগর- যে সত্য কাহিনীর কথা লিখেছি আমি সেই শহীদ সাগরের প্রত্যক্ষদর্শী এই ভাইয়াটা। তাই সে মনে গেঁথে গেলো আজীবনের জন্য।
বুমবুম- ভাইয়াটাকে আইসক্রিম খাওয়ানো হয়নি বলে আমার পোস্ট পড়েই না একদম। আসল কথা এটা আমার ফাঁকিবাজ ভাইয়া।
মায়া নেকড়েমায়া নেকড়ের নেকড়ে হবার রহস্যটা হয়তো শুধু আমিই জানি।
হাসান মাহবুব বাপরে! ভয় পাই আমি পিচকাটাকে!!! এমন লেখায় পান্ডিত্য!!! খুব কম মানুষের মাঝেই আছে এখানে।
নীল দর্পন- একজন আদরের আপুনি। সৌখিন রাঁধুনী! নিশ্চয় একদিন এই রান্না দিয়েই শ্বসুরবাড়ির সকলের মন ভরিয়ে দেবে।
ইষ্টিকুটুম আর অপলক ভাইয়া- শিল্পী বুঝি একেই বলে!! তাদের আঁকা ছবি দেখে মুগ্ধ আমি!!!
হুপফূলফরইভার এই ভাইয়াটার রেজাল্ট শুনে আর একটু হলে আমি চেয়ার থেকে পড়ে যেতাম।
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে - নিকটা একে রবিঠাকুরের গানের লাইন তাই আমার লেখা একটা পোস্টের শিরোনাম। এটা কি আর আমার প্রিয় ভাইয়া না হয়ে পারে!!!
নীলাদ্রিতা- আমার লেখা কবিতা থেকে এ আপুটাকে উঠে আসতে দেখে অবাক আমি!!!http://www.somewhereinblog.net/blog/saimahq/29479888
প্রতীক্ষা আর ফুল পরী - এভাবে কি হারিয়ে যেতে হয়!!!:(
আহাদিল- পহেলা ফাল্গুন আর এ দিনে আমি যাবোনা চারুকলায়!!! তাই কি কখনও হয়!!! এমনি এক বসন্ত বিকেলে গানের সারিতে বসতেই চোখে পড়লো ক্যামেরা নিয়ে আমার সামনেই দাঁড়ানো ছোট চুলের এক আপুকে। সাথে সাথেই বুঝে গেলাম এটা আহাদিল আপুনি না হয়ে যাইই না। মজা লেগেছে আমি আপুকে নিশ্চিৎ চিনে ফেলেছি অথচ আপুটা জানেই না আমি তার সামনেই।:P
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার- এই যে আরেক পিচকি প্রতিভাবান!!! অনেকবার ভেবেছি এই রকম নিক নেবার কারণটা কি জিগাসা করবো ভাইয়াটাকে।
টুকিঝা আর মৌ রি ল তা - ঠিক যেন আমার গল্প থেকে উঠে আসা দুটি চরিত্র!!! অনেক অনেক ভালোবাসা এই দুইটার জন্য।:)


তুমি কেমন করে লেখালিখি কর হে গুণী!!! আমি পড়ি আর অবাক হয়ে ভাবি................

স্বদেশ হাসনাইন- নচিকেতা, ভুপেন হাজারিকা বা নজরুল ইসলাম আর স্বদেশ হাসনাইন।পার্থক্য করা কঠিন আমার কাছে। বিশেষ করে তার গল্পগুলো দেখে অবাক হই। জীবনকে এইভাবে যে কেউ দেখতে জানে তার লেখাগুলো না পড়লে জানাই হতনা আমার।
মাহী ফ্লোরা - আমার ভাবনাগুলো যেসব গলার কাছে দলা বেঁধে আছে অথচ পেটে বোম্ব মারলেও বের হবেনা কখনও। তাই যেন মনের মাধুরী মিশিয়ে বের হয়ে আসে মাহীমনির হাত ধরে। অবাক হয়ে যাই! সত্যিকারের কবি বুঝি একেই বলে!!
ম্যাভেরিক- বিদ্যার জাহাজ বলে যদি কোনো মানুষ থাকে তো সে আমার ম্যাভেরিকভাইয়া। এমন অমায়িক আর জ্ঞানী ভাইয়া থেকে কত কিছুই না জানার আছে আমাদের।
রিয়েল ডেমন- আমার সবচাইতে প্রিয় গল্পকার!!! এই পিচকাটাকে আমার মনে হয় বড় হয়ে হুমায়ুন আহমেদ হবে। অনেক অনেক দোয়া আর ভালোবাসা ভাইয়াটার জন্য।
শিরীষ - কঠিন কাব্যও যে কত মধুর হতে পারে তারই প্রমান শিরীষ কবির কবিতাগুলো!!!
শত রুপা- শিরীষ কবির মতন আর একজন প্রিয় কবি শতরুপা আপুনি।
হাসান জোবায়ের- এ আমাদের লিটল জিনিয়াস!! সে কি আর কাউকে বলে দিতে হয়!!!
রাইসুল জুহালা- আমার লালপরীটাকে নিয়েই তার সাথে পরিচয়। অনেক অনেক ব্যাক্তিত্ববান প্রিয় একটা ভাইয়া।
অরুদ্ধসকাল, সকাল রয় -সত্যিকারের কবি!!! কবিতাগুলো যেন ছবি হয়ে যায়।
নস্টালজিক- আমার প্রিয় একজন মানুষ ও লেখক!! আর একটা কথা তার কাছেও আমার সাত দুগুনে চৌদ্দ খুন মাফ!!
জিকসেস,আলিম আল রাজি ,আহমেদ আরিফ - এই ব্লগে এদের রম্য পড়ে আমি অনেক অনেক হেসেছি। প্রিয় লেখক ভাইয়াদেরকে জানাই অনেক ভালোবাসা।
আরিশ ময়ুখ,সুষম,সরলতা,ত্রিনিত্রি,ডেইফ - এরা সবাই একে অন্যের তুলনা। কি করে যে লিখে ফেলে অবলীলায় এমন সব লেখা!!!
শেরজা তপন ,আকাশ অম্বর, আকাশচুরি- শীর্ষেন্দুর পরে এরাই আমার অবাক করা প্রিয়।
জাহাজী পোলা- কখনও কোথাও কেনো যেন কোনো কমেন্টে, মেসেন্জারে বা ফেসবুকেও কথা হয়নি তার সাথে। তবুও ভীষন সৎ একটা ছেলে এমনি মনে হয়েছে আমার তাকে। ভীষন ভালো লাগে এই ভাইয়াটাকে। তার লেখা , কমেন্ট বা রিপ্লাই যা কিছু পড়েছি তাই মনে হয়েছে ভীষন সুন্দর!!!
রাত্রি২০১০, রিমঝিম বর্ষা,নীল ত্রিস্তান,নীলতারা, যৈবন দা- অবাক , মুগ্ধ আর আবেগাপ্লুত হয়েছি বারবার এদের লেখা পড়ে।
রােশদ হাসান - বাংলা ভাষা বিকৃত করার দায়ে তাকে জেইলে দেওয়া হয়েছে নাকি সে নিজে থেকেই রাগ করে আর আসেনা এখানে জানিনা। তবে আমি তাকে মিস করি। অনেক অনেক মিস করি এই ভাইয়াটাকে। এমন সব পাগলামী ক'জনাই বা পারে করতে!!


সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৮
১৯৬টি মন্তব্য ১৯৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×