তারমধ্যে বর্তমান সময়ে অন্যতম মাধ্যম হতে পারে এফএম রেডিওর আর জে । উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীর কাছে আর জে মানেই ‘অস্থির অবস্থা’। ‘হোয়াট গরজিয়াস জব..!’
তাই আর জে হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে অনেকেই হাফ ডজন কোর্সও কপ্লিট করেছেন। ক্রেজি হওয়ার কিছু নেই। আপনাদের ক্রেজিনেসকে পুঁজি করে অনেকেই ফায়দা লুটছে। এমনকি ইমোশনাল ব্লাক মেইলও করছে।
ইন্টারমেডিয়েট, অনার্স ফার্স্ট/ সেকেন্ড/ থার্ট ও ফোর্থ ইয়ার পড়ুয়া শিক্ষর্থীদের মনে রাখা দরকার গ্র্যাজুয়েশন ছাড়া জেনারেলি ‘আর জে’ হওয়া যায় না। যদি কেউ হয়ে থাকেন তবে সেটি বিশেষ ক্ষমতা বলে, রেফারেন্স বলে অথবা মামা-খালুর জোরে।
যাহোক, এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে আপনি ‘আর জে’ হবেন.?
এ প্রসঙ্গে এবিসি রেডিও’র আর জে গোলাম কিবরিয়া সরকার সবসময় বলেন, ‘আর জে’ হতে হলে বাংলা উচ্চারণে সাবলীল ও শুদ্ধ হতে হবে। ভাষায় জড়তা থাকা যাবে না। বাচনভঙ্গি ও ভাষা প্রয়োগে দক্ষ হওয়া উচিত।
আরজিং-এ উপস্থিত বুদ্ধি অত্যন্ত প্রখর ও সুতীক্ষ থাকা উচিত বলে সব আর জেই একবাক্যে সমর্থন করেন।
আর এ উপস্থিত বুদ্ধি বাড়াতে পারেন বেশি বেশি বই পড়ে ও খবরের কাগজ পড়ে। সবসময় নিজেকে আপডেট রাখুন । তার মানে এই নয় যে ব্যাকডেডেট সংবাদ ভুলে যাবেন। নিজেকে বিতর্ক চর্চা, থিয়েটার কিংবা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখেন।
সুযোগ পেলে অবশ্যই আপানার এলাকার কোন ফাকশনে বক্তব্য রাখতে ভুল করবেন না। কারণ ছোট-ছোট স্থানে বক্তৃতা করে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। আর যে কোন পারফর্মিং আর্টে অবশ্যই আপনার ভোকাল, কথা বলার স্টাইল, সাবলীল প্রেজেন্টেশন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কবিতা প্রিয় বন্ধুকে কখনো কবিতা আবৃত্তি করে শোনাতে ভুল করবেন না।
অনেকেই বলেন, আরজে হতে হলে কোচিং বা কোর্স করা জরুরি। আসলে বাস্তবে সে কথা শতভাগ সত্য নয়। আপনি গভীরভাবে লক্ষ করুণ আপনার আশে পাশের আনেক শিক্ষার্থী কোনরকম কোচিং না করে বুয়েট, মেডিক্যাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যারয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। অতএব সেই সূত্রটা এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
আপনার প্রয়োজন শেখার সেটা নিজে- নিজেই শিখতে পারেন কিংবা বড় ভাই/ আপুর কাছেও শিখতে পারেন। অথবা কোন কোচিংয়ে ভর্তি হয়েও শিখতে পারেন। আসলে আপনার দরকার কোয়ালিটি । সেটি যেভাবে পারেন অর্জন করুন।
তারপর আপনি আর জে ভাইভা এবং অডিশনের জন্য প্রস্তুত হন। দেখবেন প্রথম-প্রথম ফেল মারলেও এক সময় ঠিকই আপনি আর জে হয়ে গেছেন।
বস্তুত কোন প্রস্তুতই বৃথা যায় না। এমনো হতে পারে আপনি আরজে’র জন্য প্রস্তুতি নিলেন হয়ে গেলেন রেডিও বা টেলিভিশন রিপোর্টার অথবা নিউজ প্রেজেন্টার ।
আপনি যেখানেই সুযোগ পান কাজে লেগে যান। এবং আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যান। দেখবেন অনেক ধানাইপানাই শেষে আপনি একদিন আপনার লক্ষ্যস্থানে ঠিকই পৌঁছে গেছেন।
মনে রাখবেন, ‘বিশুদ্ধ জীবনের জন্য শুদ্ধ বাক।’ আর বাকশিল্প চার্চার মাধ্যমেই মিডিয়াতে যে কোন ক্ষেত্রে তারকা হতে পারেন।
সম্প্রতি খুব শিগরিই বাজারে আসছে, নতুন ‘রেডিও কালার’ নামে এফএম রেডিও, দীপ্ত টিভি এবং ইয়থ টিভি।
আপনি চোখ কান খোলা রেখে এসব স্থানে যোগাযোগ করতে পারেন।
মনে রাখবেন, বর্তমান সময়ে ভালো মেধা, ভালো যোগাযোগ, ভালো পরিচিতি এবং ভালো রেফরেন্স অনস্বীর্কায। তাই সর্বদা তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে থাকুন, নিজেকে সবশ্রেনীর মানুষের সাথে সম্পৃক্ত রাখুন। আপনি আপনার স্বপ্নের জায়গায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন।
সজিব তৌহিদ
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২২