মুখোশটা খুলে ফেলি মানুষের ভিড়ে
সেলিম রেজা
উড়ছে প্রজাপতি চলছে ঠোঁটের অভিসার
কাঁটাহীন ঘড়িও সময়গুনে দিন করছে পার
গাঢ অন্ধকারের আস্তরণ কোন তিথি কে জানে?
ষড়যন্ত্রের ঊর্ণাজাল বুননে এখন ব্যস্ত সময়
তাহলে চলো...
মুখোশটা খুলে ফেলি মানুষের ভিড়ে
যেখানে প্রকাশ্যে বিকোয় আধুনিকীকরণ
ইদানীং মানুষ মানুষের পণ্য
সেরদরে বেচে বিবেক ঠোঁটকাঁটা মানুষ
ঈশ্বর ঈশ্বর খেলায় কেউ হাসে কেউ ভাসে
দেয় ভোঁদৌড় লেবাসেঢাকা আলখেল্লা খুলে
তাতে কিছু যায় আসে না কখনো কারো
বাড়ছে দূরত্ব, আয়নায় দেখে আয়না
কবিরা নাকি পুষে কবিতা! বৃক্ষই মহীরূহ
মায়া জড়ায় মায়ায়, মাঝে মাঝে শাসায়
অভিমানে মুখ ফেরায় কে জানে কে কোথায়!
পড়ে আছে ঘরদোর বিছানা লেপ বালিশ যে যার মতো
নাস্তানাবুদ উড়ুক্কু মন- ঝিমোয় আগোছালো জীবন
এদিকে চুম্বকের মতো টানে ক্লিওপেট্রার দৃষ্টি
আচ্ছা বলো তো...
এতটা দূরত্ব কেন তাহলে? কেন কাছে এসেও দূরে
কাঁদার বদলে হাসে, দুঃখকে ভালোবাসে
লাজুক নারী ও কবিতা; শরমে মরে হায়!
কষ্টের জঠর থেকে নাকি বেরিয়ে আসে শব্দ
নারী পরম মমতায় তাতে এঁকে দেয় স্বপ্ন
বাহারী আয়োজনে বারবিকিউ গ্রিলে জ্বলে মুরগী
চলো সময় ফুরিয়ে যাবার আগেই
খাবো দাবো মুখোশ পরে হাঁটবো...
না... না......
এর চেয়ে ঢের ভালো মুখোশে ঢেকে রাখি নিজেকে...